০৭:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

২৩ মিলিয়ন ইউরো অনুদান দেবে ইইউ

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৫:৫৪:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ৪২২৩ বার দেখা হয়েছে

দুই লাখ ১৫ হাজার অতিদরিদ্র খানার টেকসই উন্নয়নে প্রায় ২৩ মিলিয়ন ইউরো অনুদান দেবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ইইউ।

বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) ঢাকার আগারগাঁওয়ে পিকেএসএফ ভবনে এ চুক্তি স্বাক্ষর হয়। অনুদান চুক্তির আওতায় পিকেএসএফকে পিপিইপিপি-ইইউ প্রকল্প বাস্তবায়নে ২২ দশমিক ৮১ মিলিয়ন ইউরো দেবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

‘পাথওয়েজ টু প্রসপারিটি ফর এক্সট্রিমলি পুওর পিপল- ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের অনুদান চুক্তি স্বাক্ষর করেন পিকেএসএফ’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. নমিতা হালদার এনডিসি। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষে স্বাক্ষর করেন ইইউ ডেলিগেশন টু বাংলাদেশের হেড অব কোঅপারেশন মাওরিজিও চায়ান।

দেশের অতিদারিদ্র্যপ্রবণ ১২ জেলার ১৪৫টি ইউনিয়নে ২ লাখ ১৫ হাজার অতিদরিদ্র খানাভুক্ত ৮ লাখ ৬০ হাজার মানুষকে সহায়তা করবে এ প্রকল্প। অতিদরিদ্র এই জনগোষ্ঠীর সক্ষমতা বাড়িয়ে অতিদারিদ্র্য দূরীকরণ এবং সমৃদ্ধির পথে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি নিশ্চিত করা প্রকল্পের মূল্য লক্ষ্য।

উত্তর-পশ্চিমের নদী তীরবর্তী বন্যাপ্রবণ অঞ্চল (যেমন- রংপুর, কুড়িগ্রাম, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, নীলফামারী ও গাইবান্ধা জেলা); দক্ষিণ-পশ্চিমের ঘূর্ণিঝড় ও লবণাক্ততাপ্রবণ অঞ্চল (যেমন- খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পটুয়াখালী ও ভোলা জেলা); উত্তর-পূর্বের হাওরাঞ্চল (যেমন- কিশোরগঞ্জ জেলা) এবং উত্তরাঞ্চলের কিছু নির্বাচিত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী অধ্যুষিত এলাকায় অতিদরিদ্র মানুষের জীবনমান উন্নয়নে প্রকল্পটি কাজ করবে।

এ প্রকল্প বাস্তবায়নে জীবিকায়ন ও উদ্যোগ উন্নয়ন, পুষ্টি ও প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা, কমিউনিটি মোবিলাইজেশনের মাধ্যমে সেবাপ্রাপ্তি নিশ্চিত করা হবে। একই সঙ্গে প্রতিবন্ধিতা একীভূতকরণ, জলবায়ু সহনশীলতা সৃষ্টি এবং নারীর ক্ষমতায়নে কাজ করবে এই প্রকল্প। প্রকল্পের টার্গেট খানার মধ্যে রয়েছে নারীপ্রধান খানা, বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তা নারী, প্রবীণ, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীভুক্ত খানা এবং শিশুশ্রমে নিয়োজিত খানা।

যুক্তরাজ্য সরকারের ফরেন, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস এবং ইইউ-এর যৌথ অর্থায়নে ২০১৯ সালে এই প্রকল্পের যাত্রা শুরু হয়। তবে, প্রকল্পের চার বছরের মাথায় এফসিডিও প্রকল্পের অর্থায়ন থেকে সরে আসার পর অপর উন্নয়ন সহযোগী ইইউ বর্ধিত তহবিলের জোগান দিয়ে পিপিইপিপি-ইইউ শীর্ষক প্রকল্পটি আরও তিন বছর অব্যাহত রাখতে চুক্তি করে। বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ এবং পিকেএসএফ’র সঙ্গে এ সংক্রান্ত পৃথক দুটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ইইউ।

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

x
English Version

২৩ মিলিয়ন ইউরো অনুদান দেবে ইইউ

আপডেট: ০৫:৫৪:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২২

দুই লাখ ১৫ হাজার অতিদরিদ্র খানার টেকসই উন্নয়নে প্রায় ২৩ মিলিয়ন ইউরো অনুদান দেবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ইইউ।

বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) ঢাকার আগারগাঁওয়ে পিকেএসএফ ভবনে এ চুক্তি স্বাক্ষর হয়। অনুদান চুক্তির আওতায় পিকেএসএফকে পিপিইপিপি-ইইউ প্রকল্প বাস্তবায়নে ২২ দশমিক ৮১ মিলিয়ন ইউরো দেবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

‘পাথওয়েজ টু প্রসপারিটি ফর এক্সট্রিমলি পুওর পিপল- ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের অনুদান চুক্তি স্বাক্ষর করেন পিকেএসএফ’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. নমিতা হালদার এনডিসি। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষে স্বাক্ষর করেন ইইউ ডেলিগেশন টু বাংলাদেশের হেড অব কোঅপারেশন মাওরিজিও চায়ান।

দেশের অতিদারিদ্র্যপ্রবণ ১২ জেলার ১৪৫টি ইউনিয়নে ২ লাখ ১৫ হাজার অতিদরিদ্র খানাভুক্ত ৮ লাখ ৬০ হাজার মানুষকে সহায়তা করবে এ প্রকল্প। অতিদরিদ্র এই জনগোষ্ঠীর সক্ষমতা বাড়িয়ে অতিদারিদ্র্য দূরীকরণ এবং সমৃদ্ধির পথে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি নিশ্চিত করা প্রকল্পের মূল্য লক্ষ্য।

উত্তর-পশ্চিমের নদী তীরবর্তী বন্যাপ্রবণ অঞ্চল (যেমন- রংপুর, কুড়িগ্রাম, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, নীলফামারী ও গাইবান্ধা জেলা); দক্ষিণ-পশ্চিমের ঘূর্ণিঝড় ও লবণাক্ততাপ্রবণ অঞ্চল (যেমন- খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পটুয়াখালী ও ভোলা জেলা); উত্তর-পূর্বের হাওরাঞ্চল (যেমন- কিশোরগঞ্জ জেলা) এবং উত্তরাঞ্চলের কিছু নির্বাচিত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী অধ্যুষিত এলাকায় অতিদরিদ্র মানুষের জীবনমান উন্নয়নে প্রকল্পটি কাজ করবে।

এ প্রকল্প বাস্তবায়নে জীবিকায়ন ও উদ্যোগ উন্নয়ন, পুষ্টি ও প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা, কমিউনিটি মোবিলাইজেশনের মাধ্যমে সেবাপ্রাপ্তি নিশ্চিত করা হবে। একই সঙ্গে প্রতিবন্ধিতা একীভূতকরণ, জলবায়ু সহনশীলতা সৃষ্টি এবং নারীর ক্ষমতায়নে কাজ করবে এই প্রকল্প। প্রকল্পের টার্গেট খানার মধ্যে রয়েছে নারীপ্রধান খানা, বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তা নারী, প্রবীণ, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীভুক্ত খানা এবং শিশুশ্রমে নিয়োজিত খানা।

যুক্তরাজ্য সরকারের ফরেন, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস এবং ইইউ-এর যৌথ অর্থায়নে ২০১৯ সালে এই প্রকল্পের যাত্রা শুরু হয়। তবে, প্রকল্পের চার বছরের মাথায় এফসিডিও প্রকল্পের অর্থায়ন থেকে সরে আসার পর অপর উন্নয়ন সহযোগী ইইউ বর্ধিত তহবিলের জোগান দিয়ে পিপিইপিপি-ইইউ শীর্ষক প্রকল্পটি আরও তিন বছর অব্যাহত রাখতে চুক্তি করে। বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ এবং পিকেএসএফ’র সঙ্গে এ সংক্রান্ত পৃথক দুটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ইইউ।

ঢাকা/টিএ