০৮:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

২৪ পৌরসভায় ভোট চলছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১১:২৫:১৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২০
  • / ৪১২৮ বার দেখা হয়েছে

স্থানীয় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ স্তর পৌরসভার প্রথম ধাপের ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। রোববার প্রথম ধাপে ২৪ পৌরসভায় ভোট নেওয়া হচ্ছে। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) সকাল ৮টায় শুরু হওয়া ভোট গ্রহণ একটানা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

রোববার যে ২৪ পৌরসভায় ভোট গ্রহণ করা হচ্ছে সেগুলো হলো- পঞ্চগড় জেলার পঞ্চগড় সদর, ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ, দিনাজপুরের ফুলবাড়ী, রংপুরের বদরগঞ্জ, কুড়িগ্রামের কুড়িগ্রাম সদর, রাজশাহীর পুঠিয়া ও কাটাখালী, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর, পাবনার চাটমোহর, কুষ্টিয়ার খোকসা, চুয়াডাঙ্গার চুয়াডাঙ্গা সদর, খুলনার চালনা, বরগুনার বেতাগী, পটুয়াখালীর কুয়াকাটা, বরিশালের উজিরপুর ও বাকেরগঞ্জ, ময়মনসিংহের গফরগাঁও, নেত্রকোনার মদন, মানিকগঞ্জের মানিকগঞ্জ সদর, ঢাকার ধামরাই, সুনাগঞ্জের দিরাই, মৌলভীবাজারের বড়লেখা, হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ এবং চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড।

গত ২২ নভেম্বর প্রথম ধাপে ২৫টি পৌরসভার তফসিল ঘোষণা করেছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কিন্তু গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার একজন প্রার্থী মৃত্যুবরণ করায় নির্বাচন স্থগিত করে ইসি।

ইসির নিবন্ধিত পাঁচটি রাজনৈতিক দলের ৯৩ মেয়র প্রার্থী নিজ দলীয় প্রতীকে ভোটযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন। দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক শক্তি আওয়ামী লীগের নৌকা, বিএনপির ধানের শীষ ও সংসদে প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থীদের পাশাপাশি সাধারণ ও সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী রয়েছেন এক হাজার ৬৭ জন। নির্বাচনে মেয়র পদে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে আওয়ামী লীগ-বিএনপি প্রার্থীর মধ্যে। তবে ২৪টি পৌরসভার মধ্যে বিএনপির প্রার্থী রয়েছে ২৩টিতে। শুধু রাজশাহীর পুঠিয়ায় বিএনপির কোনো প্রার্থী নেই।

এ নির্বাচন নিয়ে যেমন রয়েছে উত্তেজনা, তেমনি রয়েছে শঙ্কাও।  তবে নির্বাচনী পরিবেশ স্বাভাবিক রাখতে মাঠে রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। প্রথম ধাপের নির্বাচনী লড়াইয়ে অংশ নিয়েছেন আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি-জাপা, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশসহ ৫ দলের ৯৩ মেয়র প্রার্থী। পাশাপাশি মেয়র পদে লড়ছেন বেশকিছু স্বতন্ত্র প্রার্থীও। এবার পৌরসভায় দ্বিতীয়বারের মতো দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হচ্ছে। সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে নির্দলীয় প্রতীকে ভোট হবে। ২৪ পৌরসভায় মেয়র পদে চূড়ান্ত প্রার্থী ৯৩ জন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ২৬৬ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৮০১ জন।

ভোট গ্রহণের ৩২ ঘণ্টা আগে গত শনিবার মধ্যরাতে ভোটের প্রচার শেষ হয়। প্রচারের শেষ মুহূর্তের কিছু ঘটনা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ বাড়িয়েছে। কুষ্টিয়ায় নির্বাচনী হামলায় একজন মারা গেছেন। এ ছাড়া ঢাকার ধামরাই পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তিন ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী ও কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংর্ঘষের ঘটনা ঘটেছে।

এদিকে নির্বাচনী পরিবেশ-পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশ ও আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা টহল শুরু করেছেন গত শনিবার থেকেই। চার স্তরের নিরাপত্তা থাকছে ভোটের পরের দিন পর্যন্ত। সঙ্গে রয়েছে নির্বাহী ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। ইসি-সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, আজ দেশের ২৪ পৌরসভায় অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট গ্রহণ হবে।

দেশের পৌরসভা রয়েছে মোট ৩২৯টি। প্রথম ধাপের মাধ্যমে পৌরসভায় সাধারণ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হলো। দ্বিতীয় ধাপে আগামী ১৬ জানুয়ারি ৬১ পৌরসভায় এবং তৃতীয় ধাপে ৬৪ পৌরসভায় ৩০ জানুয়ারি ভোট হবে। চতুর্থ ধাপের তফসিল এখনও ঘোষণা করা হয়নি। স্থানীয় সরকার আইন সংশোধনের পর ২০১৫ সালে মেয়র পদে প্রথম দলীয় প্রতীকে ভোট হয় পৌরসভায়। ওই সময় ২০টি দল ভোটে অংশ নেয়।

শেয়ার করুন

x
English Version

২৪ পৌরসভায় ভোট চলছে

আপডেট: ১১:২৫:১৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২০

স্থানীয় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ স্তর পৌরসভার প্রথম ধাপের ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। রোববার প্রথম ধাপে ২৪ পৌরসভায় ভোট নেওয়া হচ্ছে। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) সকাল ৮টায় শুরু হওয়া ভোট গ্রহণ একটানা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

রোববার যে ২৪ পৌরসভায় ভোট গ্রহণ করা হচ্ছে সেগুলো হলো- পঞ্চগড় জেলার পঞ্চগড় সদর, ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ, দিনাজপুরের ফুলবাড়ী, রংপুরের বদরগঞ্জ, কুড়িগ্রামের কুড়িগ্রাম সদর, রাজশাহীর পুঠিয়া ও কাটাখালী, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর, পাবনার চাটমোহর, কুষ্টিয়ার খোকসা, চুয়াডাঙ্গার চুয়াডাঙ্গা সদর, খুলনার চালনা, বরগুনার বেতাগী, পটুয়াখালীর কুয়াকাটা, বরিশালের উজিরপুর ও বাকেরগঞ্জ, ময়মনসিংহের গফরগাঁও, নেত্রকোনার মদন, মানিকগঞ্জের মানিকগঞ্জ সদর, ঢাকার ধামরাই, সুনাগঞ্জের দিরাই, মৌলভীবাজারের বড়লেখা, হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ এবং চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড।

গত ২২ নভেম্বর প্রথম ধাপে ২৫টি পৌরসভার তফসিল ঘোষণা করেছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কিন্তু গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার একজন প্রার্থী মৃত্যুবরণ করায় নির্বাচন স্থগিত করে ইসি।

ইসির নিবন্ধিত পাঁচটি রাজনৈতিক দলের ৯৩ মেয়র প্রার্থী নিজ দলীয় প্রতীকে ভোটযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন। দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক শক্তি আওয়ামী লীগের নৌকা, বিএনপির ধানের শীষ ও সংসদে প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থীদের পাশাপাশি সাধারণ ও সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী রয়েছেন এক হাজার ৬৭ জন। নির্বাচনে মেয়র পদে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে আওয়ামী লীগ-বিএনপি প্রার্থীর মধ্যে। তবে ২৪টি পৌরসভার মধ্যে বিএনপির প্রার্থী রয়েছে ২৩টিতে। শুধু রাজশাহীর পুঠিয়ায় বিএনপির কোনো প্রার্থী নেই।

এ নির্বাচন নিয়ে যেমন রয়েছে উত্তেজনা, তেমনি রয়েছে শঙ্কাও।  তবে নির্বাচনী পরিবেশ স্বাভাবিক রাখতে মাঠে রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। প্রথম ধাপের নির্বাচনী লড়াইয়ে অংশ নিয়েছেন আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি-জাপা, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশসহ ৫ দলের ৯৩ মেয়র প্রার্থী। পাশাপাশি মেয়র পদে লড়ছেন বেশকিছু স্বতন্ত্র প্রার্থীও। এবার পৌরসভায় দ্বিতীয়বারের মতো দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হচ্ছে। সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে নির্দলীয় প্রতীকে ভোট হবে। ২৪ পৌরসভায় মেয়র পদে চূড়ান্ত প্রার্থী ৯৩ জন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ২৬৬ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৮০১ জন।

ভোট গ্রহণের ৩২ ঘণ্টা আগে গত শনিবার মধ্যরাতে ভোটের প্রচার শেষ হয়। প্রচারের শেষ মুহূর্তের কিছু ঘটনা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ বাড়িয়েছে। কুষ্টিয়ায় নির্বাচনী হামলায় একজন মারা গেছেন। এ ছাড়া ঢাকার ধামরাই পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তিন ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী ও কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংর্ঘষের ঘটনা ঘটেছে।

এদিকে নির্বাচনী পরিবেশ-পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশ ও আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা টহল শুরু করেছেন গত শনিবার থেকেই। চার স্তরের নিরাপত্তা থাকছে ভোটের পরের দিন পর্যন্ত। সঙ্গে রয়েছে নির্বাহী ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। ইসি-সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, আজ দেশের ২৪ পৌরসভায় অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট গ্রহণ হবে।

দেশের পৌরসভা রয়েছে মোট ৩২৯টি। প্রথম ধাপের মাধ্যমে পৌরসভায় সাধারণ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হলো। দ্বিতীয় ধাপে আগামী ১৬ জানুয়ারি ৬১ পৌরসভায় এবং তৃতীয় ধাপে ৬৪ পৌরসভায় ৩০ জানুয়ারি ভোট হবে। চতুর্থ ধাপের তফসিল এখনও ঘোষণা করা হয়নি। স্থানীয় সরকার আইন সংশোধনের পর ২০১৫ সালে মেয়র পদে প্রথম দলীয় প্রতীকে ভোট হয় পৌরসভায়। ওই সময় ২০টি দল ভোটে অংশ নেয়।