০৪:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

৫ দিনে বাজার মূলধন কমেছে সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৬:০০:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ মে ২০১৮
  • / ৪৪০০ বার দেখা হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাপ্তাহিক ব্যবধানে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের ব্যাপক পতন ঘটেছে পাশাপাশি গড় লেনদেনও কমেছে। সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হওয়া ৫ কার্যদিবসের মধ্যে ৫দিনই কমেছে সূচক। এরই ধারাবাহিকতায় দেশের উভয় শেয়ারবাজারে প্রায় সব ধরনের সূচক কমেছে। এদিকে সূচকের পাশাপাশি ৫৬.৭৩ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে। আলোচিত সপ্তাহটিতে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৬১৭ কোটি ৭৭ লাখ ৯৮ হাজার ৭০০ টাকা। পাশাপাশি চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন হয়েছে ১১৬ কোটি ৭০ লাখ ৬০ হাজার ৫৮৬ টাকা।

গত সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধনের পরিমাণও কমেছে। সপ্তাহ শেষে ডিএসইর বাজার মূলধনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৯৪ হাজার ৯৩৩ কোটি ৮৮ লাখ ২০ হাজার ৪৪ টাকা। আগের সপ্তাহে যার পরিমাণ ছিল ৩ লাখ ৯৮ হাজার ৩৪২ কোটি ৪৩ লাখ ৮৭ হাজার ৯৮১ টাকা। সে হিসেবে সপ্তাহশেষে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ৩ হাজার ৪০৮ কোটি ৫৫ লাখ ৬৭ হাজার ৯৩৭ টাকা ।

সাপ্তাহিক বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সপ্তাহশেষে ডিএসই ব্রড ইনডেক্স বা ডিএসইএক্স সূচক কমেছে ১.৯৬ শতাংশ বা ১১১.৪৭ পয়েন্ট। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসই-৩০ সূচক কমেছে ২.৫৭ শতাংশ বা ৫৪.৭৮ পয়েন্ট। অপরদিকে শরীয়াহ বা ডিএসইএস সূচক কমেছে ০.৮৯ শতাংশ বা ১১.৮০ পয়েন্ট। আর সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত মোট ৩৪২টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১১৯টি কোম্পানির। আর দর কমেছে ১৯৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৮টির। আর লেনদেন হয়নি ১টি কোম্পানির শেয়ার। এগুলোর ওপর ভর করে গত সপ্তাহে লেনদেন মোট ২ হাজার ৬১৭ কোটি ৭৭ লাখ ৯৮ হাজার ৭০০ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। তবে এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় ১ হাজার ৬৬ কোটি ৯৩ লাখ ৭২ হাজার ৯২৭ টাকার। সেই হিসাবে সমাপ্ত সপ্তাহে লেনদেন বেড়েছে ১৪৫.৩৫ শতাংশ।

গত সপ্তাহে ডিএইতে ৫ কার্যদিবসে গড় লেনদেন হয়েছে ৫২৩ কোটি ৫৫ লাখ ৫৯ হাজার ৭৪০ টাকা। এর আগের সপ্তাহে ২ কার্যদিবসে গড় লেনদেন হয়েছে ৫৩৩ কোটি ৪৬ লাখ ৮৬ হাজার ৪৬৩ টাকা। সেই হিসেবে ডিএসইতে গড় লেনদেন কমেছে ৯ কোটি ৯১ লাখ ২৬ হাজার ৬৮৩ টাকা।

আর সমাপ্ত সপ্তাহে ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৮৯.০৩ শতাংশ। ‘বি’ ক্যাটাগরির কোম্পানির লেনদেন হয়েছে ৭.১২ শতাংশ। ‘এন’ ক্যাটাগরির কোম্পানির লেনদেন হয়েছে ২.৬৪ শতাংশ। ‘জেড’ ক্যাটাগরির লেনদেন হয়েছে ১.২০ শতাংশ।

সপ্তাহশেষে চট্টগ্রাম স্টক এক্সেচঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএসসিএক্স ২১০.৩৪ পয়েন্ট বা ১.৯৭ শতাংশ কমে সপ্তাহ শেষে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৪২৯ পয়েন্টে। আর সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে হাত বদল হওয়ার ২৮৩টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১২২টি কোম্পানির। আর দর কমেছে ১৪০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২১টির। এগুলোর ওপর ভর করে বিদায়ী সপ্তাহে ১১৬ কোটি ৭০ লাখ ৬০ হাজার ৫৮৬ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

শেয়ার করুন

x
English Version

৫ দিনে বাজার মূলধন কমেছে সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা

আপডেট: ০৬:০০:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ মে ২০১৮

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাপ্তাহিক ব্যবধানে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের ব্যাপক পতন ঘটেছে পাশাপাশি গড় লেনদেনও কমেছে। সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হওয়া ৫ কার্যদিবসের মধ্যে ৫দিনই কমেছে সূচক। এরই ধারাবাহিকতায় দেশের উভয় শেয়ারবাজারে প্রায় সব ধরনের সূচক কমেছে। এদিকে সূচকের পাশাপাশি ৫৬.৭৩ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে। আলোচিত সপ্তাহটিতে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৬১৭ কোটি ৭৭ লাখ ৯৮ হাজার ৭০০ টাকা। পাশাপাশি চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন হয়েছে ১১৬ কোটি ৭০ লাখ ৬০ হাজার ৫৮৬ টাকা।

গত সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধনের পরিমাণও কমেছে। সপ্তাহ শেষে ডিএসইর বাজার মূলধনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৯৪ হাজার ৯৩৩ কোটি ৮৮ লাখ ২০ হাজার ৪৪ টাকা। আগের সপ্তাহে যার পরিমাণ ছিল ৩ লাখ ৯৮ হাজার ৩৪২ কোটি ৪৩ লাখ ৮৭ হাজার ৯৮১ টাকা। সে হিসেবে সপ্তাহশেষে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ৩ হাজার ৪০৮ কোটি ৫৫ লাখ ৬৭ হাজার ৯৩৭ টাকা ।

সাপ্তাহিক বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সপ্তাহশেষে ডিএসই ব্রড ইনডেক্স বা ডিএসইএক্স সূচক কমেছে ১.৯৬ শতাংশ বা ১১১.৪৭ পয়েন্ট। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসই-৩০ সূচক কমেছে ২.৫৭ শতাংশ বা ৫৪.৭৮ পয়েন্ট। অপরদিকে শরীয়াহ বা ডিএসইএস সূচক কমেছে ০.৮৯ শতাংশ বা ১১.৮০ পয়েন্ট। আর সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত মোট ৩৪২টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১১৯টি কোম্পানির। আর দর কমেছে ১৯৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৮টির। আর লেনদেন হয়নি ১টি কোম্পানির শেয়ার। এগুলোর ওপর ভর করে গত সপ্তাহে লেনদেন মোট ২ হাজার ৬১৭ কোটি ৭৭ লাখ ৯৮ হাজার ৭০০ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। তবে এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় ১ হাজার ৬৬ কোটি ৯৩ লাখ ৭২ হাজার ৯২৭ টাকার। সেই হিসাবে সমাপ্ত সপ্তাহে লেনদেন বেড়েছে ১৪৫.৩৫ শতাংশ।

গত সপ্তাহে ডিএইতে ৫ কার্যদিবসে গড় লেনদেন হয়েছে ৫২৩ কোটি ৫৫ লাখ ৫৯ হাজার ৭৪০ টাকা। এর আগের সপ্তাহে ২ কার্যদিবসে গড় লেনদেন হয়েছে ৫৩৩ কোটি ৪৬ লাখ ৮৬ হাজার ৪৬৩ টাকা। সেই হিসেবে ডিএসইতে গড় লেনদেন কমেছে ৯ কোটি ৯১ লাখ ২৬ হাজার ৬৮৩ টাকা।

আর সমাপ্ত সপ্তাহে ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৮৯.০৩ শতাংশ। ‘বি’ ক্যাটাগরির কোম্পানির লেনদেন হয়েছে ৭.১২ শতাংশ। ‘এন’ ক্যাটাগরির কোম্পানির লেনদেন হয়েছে ২.৬৪ শতাংশ। ‘জেড’ ক্যাটাগরির লেনদেন হয়েছে ১.২০ শতাংশ।

সপ্তাহশেষে চট্টগ্রাম স্টক এক্সেচঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএসসিএক্স ২১০.৩৪ পয়েন্ট বা ১.৯৭ শতাংশ কমে সপ্তাহ শেষে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৪২৯ পয়েন্টে। আর সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে হাত বদল হওয়ার ২৮৩টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১২২টি কোম্পানির। আর দর কমেছে ১৪০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২১টির। এগুলোর ওপর ভর করে বিদায়ী সপ্তাহে ১১৬ কোটি ৭০ লাখ ৬০ হাজার ৫৮৬ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।