০৭:৫৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মূলধন কমেছে ১.১১ শতাংশ

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১১:৩০:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ মে ২০২২
  • / ৪১৯৯ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: সদ্য সমাপ্ত সপ্তাহে (৮-১২ মে) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) শেয়ার কেনার চেয়ে বিক্রির চাপে বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে। বিদায়ী সপ্তাহে সব ধরনের মূল্য সূচকের পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। তবে বিক্রির চাপের কারনে ডিএসইতে টাকার অংকে লেনদেন বেড়েছে। আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইতে ৩৩.০২ শতাংশ লেনদেন বেড়েছে। এর ফলে চলতি সপ্তাহের প্রথম দুদিন সূচক বৃদ্ধির পর মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার টানা পতন হয়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে বাজার মূলধনের নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে ১ হাজার ৩৪২ কোটি ৯৪ লাখ ৪৫ হাজার ৪৪৬ টাকা বা ১.১১ শতাংশ বাজার মূলধন কমেছে। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ইউক্রেন-রাশিয়া ইস্যু যেতে না যেতেই শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি দেউলিয়ার ঘটনায় দেশের পুঁজিবাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। শ্রীলঙ্কার মতই বাংলাদেশের অর্থনীতি দেউলিয়া হতে পারে এমন গুজব ছড়িয়ে পড়েছে পুঁজিবাজারে। ফলে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছে। এমন হয়েছে যে গত দুই থেকে তিন বছর ধরে বন্ধ থাকা বিও থেকেও শেয়ার বিক্রি করা হয়েছে। আর বিদেশিদের শেয়ার বিক্রির ইস্যুকে কেন্দ্র করে দেশি বিনিয়োগকারীরাও শেয়ার বিক্রি করে অর্থ তুলে নিয়েছেন। তাতেই দরপতন হচ্ছে।

এ বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, বিদেশিরা কম দামে শেয়ার কেনেন আর বেশি দামে বিক্রি করেন। তারা মুনাফা না হলে শেয়ার বিক্রি করেন না। কারণ পুঁজিবাজারে সবাই লাভ করতে আসেন, লোকসান করতে আসেন না। তবে নিয়মের বাইরে যদি ব্রোকারেজ হাউজ ও কাস্টডিয়ানের কাছ থেকে বন্ধ বিও থেকে শেয়ার কেনা-বেচা হয় তবে জবাব সন্তোষজনক না হলে এ বিষয়ে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

গত সপ্তাহে ডিএসইতে ৪ হাজার ৫৭৯ কোটি ১২ লাখ ৭ হাজার ৯২৩ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আগের সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৫ হাজার ৩৯৭ কোটি ৩ লাখ ১০ হাজার টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে ১ হাজার ৩৪০ কোটি ১ লাখ ৮২ হাজার টাকার বা ৩৩.২ শতাংশ লেনদেন বেড়েছে।

ডিএসইতে প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স সপ্তাহের ব্যবধানে ৯০ দশমিক ২০ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৩৬ শতাংশ কমে ৬ হাজার ৫৬৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

গত সপ্তাহে বাজারমূলধনের শীর্ষ৩০  কোম্পানির মূল্যসূচক ডিএস৩০ আগের সপ্তাহের চেয়ে ৫৩ দশমিক ৮৫ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ১৯ শতাংশ কমে ২ হাজার ৪০৬ পয়েন্টে নেমেছে।

অন্যদিকে ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ১৪.৮১ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ০২ শতাংশ কমেছে।

ডিএসইতে গত সপ্তাহে ৩৯৩টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা হয়। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ১২৩টির, কমেছে ২২৭টির। আর ৩৫টির দাম ছিল অপরিবর্তিত।

অন্যদিকে ডিএসইতে বাজার মূলধনেও নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে ১ হাজার ৩৪২ কোটি ৯৪ লাখ ৪৫ হাজার ৪৪৬ টাকা বা ১ দশমিক ১১ শতাংশ বাজার মূলধন কমেছে।

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৫৩ লাখ ৬৯ হাজার ৬১০ কোটি ৮৬ লাখ ৫ হাজার  টাকায়। আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৫৩ লাখ ১০ হাজার ১২৯ কোটি ৯৫ লাখ ১ হাজার  টাকায়।

দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৮১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৯ হাজার ২৪৮পয়েন্টে। এ বাজারে ২৯২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৬৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ১৯৫টির, আর অপরিবর্তিত রয়েছে ২৯টির। এতে ২৯ কোটি ৯৪ লাখ ৯৮ হাজার ১৬৯ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২৫ কোটি ৮০ লাখ ৪৩ হাজার ৯৮৭ টাকার শেয়ার ।

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

x
English Version

সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মূলধন কমেছে ১.১১ শতাংশ

আপডেট: ১১:৩০:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ মে ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: সদ্য সমাপ্ত সপ্তাহে (৮-১২ মে) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) শেয়ার কেনার চেয়ে বিক্রির চাপে বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে। বিদায়ী সপ্তাহে সব ধরনের মূল্য সূচকের পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। তবে বিক্রির চাপের কারনে ডিএসইতে টাকার অংকে লেনদেন বেড়েছে। আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইতে ৩৩.০২ শতাংশ লেনদেন বেড়েছে। এর ফলে চলতি সপ্তাহের প্রথম দুদিন সূচক বৃদ্ধির পর মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার টানা পতন হয়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে বাজার মূলধনের নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে ১ হাজার ৩৪২ কোটি ৯৪ লাখ ৪৫ হাজার ৪৪৬ টাকা বা ১.১১ শতাংশ বাজার মূলধন কমেছে। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ইউক্রেন-রাশিয়া ইস্যু যেতে না যেতেই শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি দেউলিয়ার ঘটনায় দেশের পুঁজিবাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। শ্রীলঙ্কার মতই বাংলাদেশের অর্থনীতি দেউলিয়া হতে পারে এমন গুজব ছড়িয়ে পড়েছে পুঁজিবাজারে। ফলে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছে। এমন হয়েছে যে গত দুই থেকে তিন বছর ধরে বন্ধ থাকা বিও থেকেও শেয়ার বিক্রি করা হয়েছে। আর বিদেশিদের শেয়ার বিক্রির ইস্যুকে কেন্দ্র করে দেশি বিনিয়োগকারীরাও শেয়ার বিক্রি করে অর্থ তুলে নিয়েছেন। তাতেই দরপতন হচ্ছে।

এ বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, বিদেশিরা কম দামে শেয়ার কেনেন আর বেশি দামে বিক্রি করেন। তারা মুনাফা না হলে শেয়ার বিক্রি করেন না। কারণ পুঁজিবাজারে সবাই লাভ করতে আসেন, লোকসান করতে আসেন না। তবে নিয়মের বাইরে যদি ব্রোকারেজ হাউজ ও কাস্টডিয়ানের কাছ থেকে বন্ধ বিও থেকে শেয়ার কেনা-বেচা হয় তবে জবাব সন্তোষজনক না হলে এ বিষয়ে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

গত সপ্তাহে ডিএসইতে ৪ হাজার ৫৭৯ কোটি ১২ লাখ ৭ হাজার ৯২৩ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আগের সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৫ হাজার ৩৯৭ কোটি ৩ লাখ ১০ হাজার টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে ১ হাজার ৩৪০ কোটি ১ লাখ ৮২ হাজার টাকার বা ৩৩.২ শতাংশ লেনদেন বেড়েছে।

ডিএসইতে প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স সপ্তাহের ব্যবধানে ৯০ দশমিক ২০ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৩৬ শতাংশ কমে ৬ হাজার ৫৬৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

গত সপ্তাহে বাজারমূলধনের শীর্ষ৩০  কোম্পানির মূল্যসূচক ডিএস৩০ আগের সপ্তাহের চেয়ে ৫৩ দশমিক ৮৫ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ১৯ শতাংশ কমে ২ হাজার ৪০৬ পয়েন্টে নেমেছে।

অন্যদিকে ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ১৪.৮১ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ০২ শতাংশ কমেছে।

ডিএসইতে গত সপ্তাহে ৩৯৩টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা হয়। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ১২৩টির, কমেছে ২২৭টির। আর ৩৫টির দাম ছিল অপরিবর্তিত।

অন্যদিকে ডিএসইতে বাজার মূলধনেও নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে ১ হাজার ৩৪২ কোটি ৯৪ লাখ ৪৫ হাজার ৪৪৬ টাকা বা ১ দশমিক ১১ শতাংশ বাজার মূলধন কমেছে।

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৫৩ লাখ ৬৯ হাজার ৬১০ কোটি ৮৬ লাখ ৫ হাজার  টাকায়। আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৫৩ লাখ ১০ হাজার ১২৯ কোটি ৯৫ লাখ ১ হাজার  টাকায়।

দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৮১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৯ হাজার ২৪৮পয়েন্টে। এ বাজারে ২৯২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৬৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ১৯৫টির, আর অপরিবর্তিত রয়েছে ২৯টির। এতে ২৯ কোটি ৯৪ লাখ ৯৮ হাজার ১৬৯ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২৫ কোটি ৮০ লাখ ৪৩ হাজার ৯৮৭ টাকার শেয়ার ।

ঢাকা/টিএ