০৯:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫

তিন বিভাগীয় কমিশনারসহ ৮ জনকে হাইকোর্টে তলব

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০১:০৩:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ১০৩৩০ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

অবৈধ ইটভাটা ও ইটভাটার জ্বালানি হিসেবে কাঠের ব্যবহার বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ায় তার ব্যাখ্যা দিতে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনার বিভাগীয় কমিশনারকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাটের ডিসি ও সাভার-ধামরাই উপজেলার ইউএনওকেও তলব করা হয়েছে। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি তাদের আদালতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। বুধবার (২৯ জানুয়ারি) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তানিম খান, মহসীন কবির রকি, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন।

আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, সমগ্র বাংলাদেশে লাইসেন্সবিহীন অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধে ২০২২ সালে জনস্বার্থে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) একটি রিট পিটিশন দাখিল করেন। রিট পিটিশন শুনানি শেষে আদালত ২০২২ সালের ১৩ নভেম্বর বিবাদীদের প্রতি রুল জারি করে অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেন। এ বিষয়ে বিভাগীয় কমিশনাররা এখন পর্যন্ত কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় বিগত ২৮ নভেম্বর তারিখে প্রতিটি বিভাগের বিভাগীয় কমিশনারদের অবৈধ ইটভাটা বন্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে নির্দেশ প্রদান করা হয়। উক্ত আদেশ প্রাপ্তির পর বিভাগীয় কমিশনার আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন এবং উক্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায় পূর্বের বন্ধকৃত ইটভাটাগুলোর নাম পুনরায় বন্ধকৃত ইটভাটার তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে এবং সব অবৈধ ইটভাটা তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে। এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে না পারায় ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনার বিভাগীয় কমিশনার এবং নীলফামারী, লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক এবং সাভার ও ধামরাই উপজেলার নির্বাহী অফিসারকে আদালতে হাজির হয়ে এ ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য এইচআরপিবির পক্ষে আদালতে একটি সম্পূরক আবেদন করা হয়।

আরও পড়ুন: রেলকর্মীদের যৌক্তিক দাবি বিবেচনা করা হবে: অর্থ উপদেষ্টা

আজ বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এবং বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর আদালতে আবেদনটির উপরে শুনানি হয়। শুনানি শেষে আদালত ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনার বিভাগীয় কমিশনার এবং নীলফামারী, লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক এবং সাভার ও ধামরাই উপজেলার নির্বাহী অফিসারকে আদালতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা প্রদান করতে বলেন।

ঢাকা/এসএইচ

ট্যাগঃ

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

তিন বিভাগীয় কমিশনারসহ ৮ জনকে হাইকোর্টে তলব

আপডেট: ০১:০৩:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫

অবৈধ ইটভাটা ও ইটভাটার জ্বালানি হিসেবে কাঠের ব্যবহার বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ায় তার ব্যাখ্যা দিতে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনার বিভাগীয় কমিশনারকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাটের ডিসি ও সাভার-ধামরাই উপজেলার ইউএনওকেও তলব করা হয়েছে। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি তাদের আদালতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। বুধবার (২৯ জানুয়ারি) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তানিম খান, মহসীন কবির রকি, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন।

আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, সমগ্র বাংলাদেশে লাইসেন্সবিহীন অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধে ২০২২ সালে জনস্বার্থে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) একটি রিট পিটিশন দাখিল করেন। রিট পিটিশন শুনানি শেষে আদালত ২০২২ সালের ১৩ নভেম্বর বিবাদীদের প্রতি রুল জারি করে অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেন। এ বিষয়ে বিভাগীয় কমিশনাররা এখন পর্যন্ত কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় বিগত ২৮ নভেম্বর তারিখে প্রতিটি বিভাগের বিভাগীয় কমিশনারদের অবৈধ ইটভাটা বন্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে নির্দেশ প্রদান করা হয়। উক্ত আদেশ প্রাপ্তির পর বিভাগীয় কমিশনার আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন এবং উক্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায় পূর্বের বন্ধকৃত ইটভাটাগুলোর নাম পুনরায় বন্ধকৃত ইটভাটার তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে এবং সব অবৈধ ইটভাটা তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে। এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে না পারায় ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনার বিভাগীয় কমিশনার এবং নীলফামারী, লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক এবং সাভার ও ধামরাই উপজেলার নির্বাহী অফিসারকে আদালতে হাজির হয়ে এ ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য এইচআরপিবির পক্ষে আদালতে একটি সম্পূরক আবেদন করা হয়।

আরও পড়ুন: রেলকর্মীদের যৌক্তিক দাবি বিবেচনা করা হবে: অর্থ উপদেষ্টা

আজ বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এবং বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর আদালতে আবেদনটির উপরে শুনানি হয়। শুনানি শেষে আদালত ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনার বিভাগীয় কমিশনার এবং নীলফামারী, লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক এবং সাভার ও ধামরাই উপজেলার নির্বাহী অফিসারকে আদালতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা প্রদান করতে বলেন।

ঢাকা/এসএইচ