বিশ্বের প্রথম মাঙ্কিপক্স টিকার ট্রায়াল শুরু করল চীন

- আপডেট: ০৭:৩০:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫
- / ১০৩৫০ বার দেখা হয়েছে
প্রাণঘাতী রোগ মাঙ্কিপক্সের টিকা তৈরি করেছে চীন। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে এই টিকার মেডিকেল ট্রায়ালও শুরু করেছে তারা। টিকার নাম এখনও প্রকাশ করা হয়নি। চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত ওষুধ কোম্পানি চায়না ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল গ্রুপ কর্পোরেশনের (সিনোফার্ম) অন্যতম শাখা সাংহাই ইনস্টিটিউট অব বায়োলজিক্যাল প্রোডাক্ট (সিআইবিপি) তৈরি করেছে এই টিকা।
দেশটির সরকারি সংবাদামাধ্যম সিনহুয়া জানিয়েছে, মঙ্গলবার চীনের মধ্যাঞ্চলীয় প্রদেশ হেনানের রাজধানী শহার ঝেনঝৌ’য়ের হেনান ইনফেকশন ডিজিজ হাসপাতালে শুরু হয়েছে টিকাটির মেডিকেল ট্রায়াল।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
গত বছর সেপ্টেম্বরে সিআইবিপিকে মেডিকেল ট্রায়াল পরিচালনার অনুমতি দিয়েছিল চীনের জাতীয় চিকিৎসা প্রশাসন। ট্রায়ালে যারা অংশ নিয়েছেন, তাদের সবাই ১৮ বছরের অধিক বলে জানা গেছে।
একসময়ের বিরল ও স্বল্প পরিচিত রোগ মাঙ্কিপক্স প্রথম বিশ্ববাসীর মনযোগে আসে ২০২২ সালে। বিশেষজ্ঞদের মতে পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকার উষ্ণ ও আদ্র বনাঞ্চলের বানররা ছিল এ রোগের প্রথম শিকার ও বাহক। পরে এক সময় মানবদেহেও সংক্রমিত হওয়া শুরু করে মাঙ্কিপক্স।
স্মলপক্স ভাইরাস শ্রেণীর একটি ভাইরাস এ রোগের জন্য দায়ী। ভাইরাসটির দু’টি রূপান্তরিত ধরন রয়েছে— ক্ল্যাড – ১ (মধ্য আফ্রিকান) এবং ক্ল্যাড- ২ (পশ্চিম আফ্রিকান)। প্রতি ১০০ মাঙ্কিপক্স আক্রান্ত রোগীর মধ্যে মৃত্যু হয় ৪ জনের।
রোগটির বিভিন্ন লক্ষণের মধ্যে রয়েছে জ্বর, মাথাব্যথা, ঘেমে যাওয়া, পিঠে ব্যথা, মাংসপেশির টান ও অবসাদ। প্রথম পর্যায়ে রোগীর জ্বর আসে, পাশাপশি শরীরে দেখা দেয় ফোস্কা ও অধিকাংশ ঘটনায় শুরুতে মুখে ফুসকুড়ি দেখা দেয়। পরে শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে; বিশেষ করে হাতের তালু ও পায়ের তলা।
আরও পড়ুন: চীনে নার্সিং হোমে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, নিহত ২০
এতদিন মাঙ্কিপক্সের সুনির্দিষ্ট কোনো টিকা বা ওষুধ ছিল না। তবে ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, স্মলপক্স বা জলবসন্তের জন্য ব্যবহারযোগ্য টিকা মাঙ্কিপক্স প্রতিরোধে ৮৫ শতাংশ কার্যকর। তাই এ রোগের প্রতিষেধক হিসেবে জলবসন্তের টিকাই ব্যবহৃত হয়ে আসছিল এতদিন।
সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি