ধরা পরলো ৪ ‘জীনের বাদশা’
- আপডেট: ০৫:১৭:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২
- / ১০২৪৪ বার দেখা হয়েছে
বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: গভীর রাতে মুঠোফোনে কল করে ‘জ্বীনের বাদশা’ পরিচয় দিতেন তাঁরা। এরপর নানাভাবে প্রতারণা করে হাতিয়ে নিতেন টাকা, স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান জিনিস। এভাবে ঝিনাইদহ শহরের খাজুরা গ্রামের রেনুকা খাতুনের কাছ থেকে নেওয়া হয় স্বর্ণালংকারসহ প্রায় ১০ লাখ টাকা।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
রেনুকার অভিযোগের ভিত্তিতে বিকাশ ও নগদ অ্যাকাউন্টের সূত্র ধরে ঝিনাইদহ পুলিশ কথিত জ্বীনের বাদশা চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ শনিবার দুপুরে ঝিনাইদহ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছেন পুলিশ সুপার মুনতাসিরুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ার সাঈদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবুল বাশারসহ অন্যরা।
গ্রেপ্তার চারজন হলেন গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বিশ্বনাথপুর গ্রামের মিন্টু সর্দারের ছেলে রায়হান হোসেন (২৫) ও তুহিন হোসেন (২০), একই গ্রামের আজমল হকের ছেলে জিয়াউর রহমান (২২) ও শাকপালা গ্রামের নারায়ণ দাসের ছেলে মিলন দাস (৩৫)।
পুলিশ সুপার মুনতাসিরুল ইসলাম বলেন, গত বছরের ৩ নভেম্বর গভীর রাতে রেনুকা খাতুনকে মুঠোফোনে কল করেন ওই প্রতারক চক্রের একজন। এ সময় তাঁরা জানান, রেনুকার বাড়ির পাশের পুকুরে সাত কলস সোনা রাখা আছে। ওই সোনা পেতে হলে জায়নামাজ কেনার জন্য হাদিয়া হিসেবে তাঁদের ৫৬০ টাকা দিতে হবে। এরপর রেনুকা নগদ অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে টাকা পাঠান তাঁদের। পরে তাঁর কাছ থেকে এভাবে কৌশলে হাতিয়ে নেওয়া হয় চার ভরি স্বর্ণালংকার ও ছয় লাখ টাকা। প্রতারণার বিষয়টি টের পেয়ে ওই নারী ২৫ ফেব্রুয়ারি ঝিনাইদহ সদর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করেন।