১২:৪৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতে কাজ করতে রাষ্ট্রপতির আহ্বান

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৭:৩৪:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / ১০৩৫০ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: মানসম্মত শিক্ষাব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সরকারের পাশাপাশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, বেসরকারি সংস্থা, সুশীল সমাজসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) এক বাণীতে এ আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি।

বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস ২০২২’ পালিত হচ্ছে জেনে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, এবারের আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসের প্রতিপাদ্য ‘ট্রান্সফরমিং লিটারেসি লানিং’ বর্তমান প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

আবদুল হমিদ বলেন, শিক্ষিত জনগোষ্ঠী দেশের সম্পদ। বাংলাদেশকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত করতে প্রয়োজন শিক্ষিত ও দক্ষ জনগোষ্ঠী। এ লক্ষ্য অর্জনে সরকার বহুমুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

তিনি বলেন, মানসম্মত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিদ্যালয় গমনোপযোগী সব শিশুকে বিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ নিশ্চিত করা ও বিনামূল্যে শিক্ষা দান, বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক সরবরাহ, প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি প্রদান, দারিদ্র্যপীড়িত এলাকায় স্কুল ফিডিং চালু এবং পাঠদানের পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কাছে পাঠগ্রহণ প্রক্রিয়াকে আনন্দদায়ক করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়া শিশুদের পুনরায় শিক্ষাদানের আওতায় নিয়ে আসার কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ১৫ বছর বা তদূর্ধ্ব নিরক্ষর ব্যক্তিদের শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য ‘উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা আইন ২০১৪’র আওতায় কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

তিনি বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সবার জন্য শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি, বৃত্তিমূলক শিক্ষা, উদ্যোক্তা উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানমূলক প্রশিক্ষণ এবং তথ্যপ্রযুক্তিসহ সাক্ষরতা প্রদান জরুরি।

রাষ্ট্রপতি বলেন, কোভিড-১৯ মহামারির ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ‘সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশন’ ও ‘বাংলাদেশ বেতার’র মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষার বিষয়ভিত্তিক পাঠদান অনুষ্ঠান পরিচালনা করা হয়েছে। এই অভিজ্ঞতার আলোকে প্রচলিত ও ডিজিটাল পদ্ধতিতে শিখন কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে সব নিরক্ষর জনগোষ্ঠীকে জীবিকায়নের জন্য উপযুক্ত শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ দেওয়ার সুযোগ কাজে লাগানো যেতে পারে।

‘আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস ২০২২’ উপলক্ষে নেওয়া সব কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন তিনি।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক কৌশলগত অংশীদারিত্বের ঊর্ধ্বে: প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতে কাজ করতে রাষ্ট্রপতির আহ্বান

আপডেট: ০৭:৩৪:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: মানসম্মত শিক্ষাব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সরকারের পাশাপাশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, বেসরকারি সংস্থা, সুশীল সমাজসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) এক বাণীতে এ আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি।

বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস ২০২২’ পালিত হচ্ছে জেনে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, এবারের আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসের প্রতিপাদ্য ‘ট্রান্সফরমিং লিটারেসি লানিং’ বর্তমান প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

আবদুল হমিদ বলেন, শিক্ষিত জনগোষ্ঠী দেশের সম্পদ। বাংলাদেশকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত করতে প্রয়োজন শিক্ষিত ও দক্ষ জনগোষ্ঠী। এ লক্ষ্য অর্জনে সরকার বহুমুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

তিনি বলেন, মানসম্মত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিদ্যালয় গমনোপযোগী সব শিশুকে বিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ নিশ্চিত করা ও বিনামূল্যে শিক্ষা দান, বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক সরবরাহ, প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি প্রদান, দারিদ্র্যপীড়িত এলাকায় স্কুল ফিডিং চালু এবং পাঠদানের পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কাছে পাঠগ্রহণ প্রক্রিয়াকে আনন্দদায়ক করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়া শিশুদের পুনরায় শিক্ষাদানের আওতায় নিয়ে আসার কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ১৫ বছর বা তদূর্ধ্ব নিরক্ষর ব্যক্তিদের শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য ‘উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা আইন ২০১৪’র আওতায় কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

তিনি বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সবার জন্য শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি, বৃত্তিমূলক শিক্ষা, উদ্যোক্তা উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানমূলক প্রশিক্ষণ এবং তথ্যপ্রযুক্তিসহ সাক্ষরতা প্রদান জরুরি।

রাষ্ট্রপতি বলেন, কোভিড-১৯ মহামারির ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ‘সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশন’ ও ‘বাংলাদেশ বেতার’র মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষার বিষয়ভিত্তিক পাঠদান অনুষ্ঠান পরিচালনা করা হয়েছে। এই অভিজ্ঞতার আলোকে প্রচলিত ও ডিজিটাল পদ্ধতিতে শিখন কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে সব নিরক্ষর জনগোষ্ঠীকে জীবিকায়নের জন্য উপযুক্ত শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ দেওয়ার সুযোগ কাজে লাগানো যেতে পারে।

‘আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস ২০২২’ উপলক্ষে নেওয়া সব কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন তিনি।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক কৌশলগত অংশীদারিত্বের ঊর্ধ্বে: প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা/টিএ