১২:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫

আবেদন করলেই খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়বে: আইনমন্ত্রী

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০১:০৩:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / ১০৩৫৪ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, আমরা আবেদন পাওয়ার অপেক্ষায় আছি। পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করলেই নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হবে।

আজ শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে বিচারকদের এক কর্মশালা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী এ কথা বলেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

সবশেষ গত ২৩ মার্চ বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে আগের দুটি শর্তে মুক্তির মেয়াদ ৬ মাস বাড়ানো হয়। এরপর মুক্তির মেয়াদ বাড়িয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। মোট পাঁচবার কারাবন্দি খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। বর্ধিত মেয়াদে খালেদা জিয়া ঢাকার নিজ বাসায় থেকে তার চিকিৎসা গ্রহণ করবেন এবং এই সময়ে তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না, এমন শর্ত দেওয়া হয়।

দুটি মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া কারাবন্দি ছিলেন। নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত রয়েছে। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ আদালত।

রায় ঘোষণার পর খালেদা জিয়াকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রাখা হয়। এরপর ওই বছরের ৩০ অক্টোবর এই মামলায় আপিলে তার আরও পাঁচ বছরের সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করেন হাইকোর্ট।

একই বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন একই আদালত। রায়ে ৭ বছরের কারাদণ্ড ছাড়াও খালেদা জিয়াকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন। ২০২০ সালের মার্চে করোনা মহামারি শুরু হলে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাহী আদেশে দণ্ড স্থগিত করে কারাবন্দি খালেদা জিয়াকে সরকার শর্ত সাপেক্ষে ৬ মাসের জন্য মুক্তি দেয়। এরপর থেকে পর্যায়ক্রমে ৬ মাস করে মুক্তি মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে। 

আরও পড়ুন: সাংবাদিকদের ওপর অত্যাচার সহ্য করা হবে না: আইনমন্ত্রী

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

আবেদন করলেই খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়বে: আইনমন্ত্রী

আপডেট: ০১:০৩:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, আমরা আবেদন পাওয়ার অপেক্ষায় আছি। পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করলেই নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হবে।

আজ শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে বিচারকদের এক কর্মশালা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী এ কথা বলেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

সবশেষ গত ২৩ মার্চ বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে আগের দুটি শর্তে মুক্তির মেয়াদ ৬ মাস বাড়ানো হয়। এরপর মুক্তির মেয়াদ বাড়িয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। মোট পাঁচবার কারাবন্দি খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। বর্ধিত মেয়াদে খালেদা জিয়া ঢাকার নিজ বাসায় থেকে তার চিকিৎসা গ্রহণ করবেন এবং এই সময়ে তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না, এমন শর্ত দেওয়া হয়।

দুটি মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া কারাবন্দি ছিলেন। নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত রয়েছে। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ আদালত।

রায় ঘোষণার পর খালেদা জিয়াকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রাখা হয়। এরপর ওই বছরের ৩০ অক্টোবর এই মামলায় আপিলে তার আরও পাঁচ বছরের সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করেন হাইকোর্ট।

একই বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন একই আদালত। রায়ে ৭ বছরের কারাদণ্ড ছাড়াও খালেদা জিয়াকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন। ২০২০ সালের মার্চে করোনা মহামারি শুরু হলে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাহী আদেশে দণ্ড স্থগিত করে কারাবন্দি খালেদা জিয়াকে সরকার শর্ত সাপেক্ষে ৬ মাসের জন্য মুক্তি দেয়। এরপর থেকে পর্যায়ক্রমে ৬ মাস করে মুক্তি মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে। 

আরও পড়ুন: সাংবাদিকদের ওপর অত্যাচার সহ্য করা হবে না: আইনমন্ত্রী

ঢাকা/টিএ