১০:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

ভাত খেয়েও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখবেন যেভাবে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৫:১১:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / ৪১৮৭ বার দেখা হয়েছে

ভাত বাঙালির প্রধান খাবার। বাঙালিরা সারাদিন যা কিছুই খান না কেন, ভাত ছাড়া বাঙালির যেন তৃপ্তিই মেটে না। তাইতো বলা হয় ‘মাছে-ভাতে বাঙালি’। কিন্তু অনেকে ওজন বাড়ার ভয়ে ভাত খাওয়া বন্ধ করে দেয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু ভাত একেবারে বন্ধ করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। তবে দেশীয় আচার–সংস্কৃতি ও অভ্যাস মেনেই কীভাবে খাদ্য নিয়ন্ত্রণ করা যায়। আসুন জেনে নিই খাবারের তালিকায় ভাত রেখেও কীভাবে এই কাজ করা যায়।

ভাতের পরিমাণ কমিয়ে ফেলুন। দুপুরে অথবা রাতে একবেলাই ভাত রাখুন, তা–ও মেপে।

ভাতের পুষ্টিগুণ বজায় রাখতে ভাতের মাড় না ফেলে খাওয়া ভালো। এতে পানিতে দ্রবণীয় ভিটামিন ও খনিজ উপাদান অটুট থাকে। 

সাদা চালের পরিবর্তে লাল চালে ফাইবার বেশি, ক্যালরি কম। তাই লাল চালের ভাত খাওয়ার চেষ্টা করুন। 

ভাত খাওয়ার পরপরই ঘুমাতে যাওয়া ঠিক নয়। খাওয়ার পর ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট নানা ধরনের কাজ ও হাঁটাহাঁটি করুন, যাতে তা বিপাক হওয়ার সময় পায়। 

ফ্রাইড রাইস, পোলাও, বিরিয়ানি ইত্যাদিতে ক্যালরি বেশি। এগুলো এড়িয়ে চলার চেষ্টা করতে হবে।

যে চালে অ্যামাইলোজ বেশি (যেমন বাসমতী), তা ঝরঝরে হয় এবং তাতে শর্করা কম তাড়াতাড়ি বাড়ে। যেসব চালের ভাত আঠালো, তাতে অ্যামাইলোজ কম আর অ্যামাইলোপ্যাকটিন বেশি। এতে শর্করা দ্রুত বাড়ে।

ভাত কমিয়ে চাহিদা পূরণে অন্যান্য উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার, যেমন ফাস্ট ফুড, চকলেট, আইসক্রিম, পরোটা, ব্রেড, অনেকগুলো রুটি খেলে তাতে কোনো সুফল পাওয়া যায় না।

থালার এক–চতুর্থাংশ ভাত নিন। থালার অর্ধেকটা জুড়ে থাকবে শাকসবজি আর সালাদ। বাকি এক–চতুর্থাংশ থাকবে প্রোটিন বা মাছ–মাংস।

খাবারের পদ বেশি থাকলে ভাত বেশি খাওয়া হয়ে যায়। বিশেষ করে ভর্তা, ভাজির ক্ষেত্রে ভাত খাওয়ার পরিমাণ বেড়ে যায়। কাজেই খাবারের পদ কম রাখার চেষ্টা করতে হবে। প্রতিদিন যথেষ্ট শাকসবজির সঙ্গে একটি আমিষ (মাছ বা মাংস বা ডিম) রাখতে হবে। সঙ্গে ডাল রাখলে ভালো।

ওজন নিয়ন্ত্রণে ভাত পুরোপুরি বাদ দিতে হবে, এমন কোনো কথা নেই। বরং দৈনিক ক্যালরি চাহিদার ৪০-৫০ শতাংশ গোটা শস্য থেকে নেওয়া ভালো।

 

আরও পড়ুন:

শেয়ার করুন

x
English Version

ভাত খেয়েও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখবেন যেভাবে

আপডেট: ০৫:১১:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২১

ভাত বাঙালির প্রধান খাবার। বাঙালিরা সারাদিন যা কিছুই খান না কেন, ভাত ছাড়া বাঙালির যেন তৃপ্তিই মেটে না। তাইতো বলা হয় ‘মাছে-ভাতে বাঙালি’। কিন্তু অনেকে ওজন বাড়ার ভয়ে ভাত খাওয়া বন্ধ করে দেয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু ভাত একেবারে বন্ধ করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। তবে দেশীয় আচার–সংস্কৃতি ও অভ্যাস মেনেই কীভাবে খাদ্য নিয়ন্ত্রণ করা যায়। আসুন জেনে নিই খাবারের তালিকায় ভাত রেখেও কীভাবে এই কাজ করা যায়।

ভাতের পরিমাণ কমিয়ে ফেলুন। দুপুরে অথবা রাতে একবেলাই ভাত রাখুন, তা–ও মেপে।

ভাতের পুষ্টিগুণ বজায় রাখতে ভাতের মাড় না ফেলে খাওয়া ভালো। এতে পানিতে দ্রবণীয় ভিটামিন ও খনিজ উপাদান অটুট থাকে। 

সাদা চালের পরিবর্তে লাল চালে ফাইবার বেশি, ক্যালরি কম। তাই লাল চালের ভাত খাওয়ার চেষ্টা করুন। 

ভাত খাওয়ার পরপরই ঘুমাতে যাওয়া ঠিক নয়। খাওয়ার পর ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট নানা ধরনের কাজ ও হাঁটাহাঁটি করুন, যাতে তা বিপাক হওয়ার সময় পায়। 

ফ্রাইড রাইস, পোলাও, বিরিয়ানি ইত্যাদিতে ক্যালরি বেশি। এগুলো এড়িয়ে চলার চেষ্টা করতে হবে।

যে চালে অ্যামাইলোজ বেশি (যেমন বাসমতী), তা ঝরঝরে হয় এবং তাতে শর্করা কম তাড়াতাড়ি বাড়ে। যেসব চালের ভাত আঠালো, তাতে অ্যামাইলোজ কম আর অ্যামাইলোপ্যাকটিন বেশি। এতে শর্করা দ্রুত বাড়ে।

ভাত কমিয়ে চাহিদা পূরণে অন্যান্য উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার, যেমন ফাস্ট ফুড, চকলেট, আইসক্রিম, পরোটা, ব্রেড, অনেকগুলো রুটি খেলে তাতে কোনো সুফল পাওয়া যায় না।

থালার এক–চতুর্থাংশ ভাত নিন। থালার অর্ধেকটা জুড়ে থাকবে শাকসবজি আর সালাদ। বাকি এক–চতুর্থাংশ থাকবে প্রোটিন বা মাছ–মাংস।

খাবারের পদ বেশি থাকলে ভাত বেশি খাওয়া হয়ে যায়। বিশেষ করে ভর্তা, ভাজির ক্ষেত্রে ভাত খাওয়ার পরিমাণ বেড়ে যায়। কাজেই খাবারের পদ কম রাখার চেষ্টা করতে হবে। প্রতিদিন যথেষ্ট শাকসবজির সঙ্গে একটি আমিষ (মাছ বা মাংস বা ডিম) রাখতে হবে। সঙ্গে ডাল রাখলে ভালো।

ওজন নিয়ন্ত্রণে ভাত পুরোপুরি বাদ দিতে হবে, এমন কোনো কথা নেই। বরং দৈনিক ক্যালরি চাহিদার ৪০-৫০ শতাংশ গোটা শস্য থেকে নেওয়া ভালো।

 

আরও পড়ুন: