০৭:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

‘অনিচ্ছাকৃত খেলাপি’ ঠেকাতে ঋণ পরিশোধে আরও ৩ বছর সময় দাবি বিএবির

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০১:৫৩:৪০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / ৪১৩১ বার দেখা হয়েছে

দেশের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানসমূহ এখনো করোনা ভাইরাসের সংকট পার করতে পারেনি। বর্তমানে অধিকাংশ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ৫০ শতাংশ বা কোনোটি তারও কম উৎপাদন সক্ষমতা কাজে লাগাতে পারছে। করোনার নেতিবাচক প্রভাবে ভোগ্যপণ্যের স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক ব্যয় ব্যাপকভাবে কমে যাওয়ায় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোর গড় বিক্রিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। এছাড়া পোশাক কারখানাগুলোর ক্রয়াদেশ ৩০-৪০ শতাংশ কমেছে। এজন্য মেয়াদি ঋণের মেয়াদ আরও তিন বছর বাড়ানোর দাবি করেছে ব্যাংকমালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি)।

পাশাপাশি চলতি মূলধন ও তলবি ঋণের পরিশোধযোগ্য অংশকে মেয়াদি ঋণ হিসেবে পুনর্গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে সংগঠনটি। এছাড়া কোনো ডাউন পেমেন্ট বা এককালীন জমা ছাড়াই কমপক্ষে তিন বছরে ঋণ পরিশোধের সুযোগ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছে বিএবি।

এসব নিয়ে বিএবির চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার গত বৃহস্পতিবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরকে একটি চিঠি দেন।

এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক গত রোববার (৩১ জানুয়ারি) এক প্রজ্ঞাপনে জানায়, ২০২০ সালে সব ধরনের ঋণ শ্রেণীকরণে বিলম্ব সুবিধা দেওয়া হয়েছিল, যা গত ১ জানুয়ারি থেকে আর না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে এখন মেয়াদি ঋণের অবশিষ্ট মেয়াদের সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত সময় বাড়ানো যাবে। আর বর্ধিত সময়সীমা কোনভাবেই দুই বছরের বেশি হবে না।

বিএবি বলছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের মেয়াদি ঋণের অবশিষ্ট মেয়াদের ৫০ শতাংশ বা দুই বছরের অতিরিক্ত সময় বাড়ানোর ফলে যাদের ঋণের মেয়াদের পরিমাণ বেশি তারা সুবিধা পাবে। তবে যাদের অবশিষ্ট মেয়াদ অনেক কম তাদের অল্প সময়ে বড় অঙ্কেও ঋণ পরিশোধ করতে হবে। এতে ঋণের বড় অংশ অনিচ্ছাকৃত খেলাপিতে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলেও জানায় বিএবি। তাই সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নগদ টাকা প্রবাহ বিবেচনায় নিয়ে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ঋণ পরিশোধের সময়সীমা কমপক্ষে আরও তিন বছর বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে।

বিএবি উল্লেখ করে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক চলতি মূলধন ও তলবি ঋণ সম্পর্কে কিছুই বলেনি, যা এক বছরের মধ্যে পরিশোধযোগ্য ঋণ। ফলে মোট ঋণের ৬৫ থেকে ৭০ শতাংশ নির্দেশনার বাইরে রয়ে গেছে। তাই ২০২০ সালের সব কিস্তি ও সুদ এখনই শোধ না হলে চলতি বছরের জানুয়ারিতেই এসব ঋণ খেলাপি হয়ে যেতে পারে। এতে ব্যবসায়ে অচলাবস্থা সৃষ্টি হবে। সেজন্য চলতি মূলধন ও তলবি ঋণের পরিশোধযোগ্য অংশ কোনো জমা ছাড়াই মেয়াদি ঋণ হিসেবে তিন বছরে পরিশোধের ব্যবস্থা করার প্রস্তাব দিয়েছে বিএবি।

শেয়ার করুন

x
English Version

‘অনিচ্ছাকৃত খেলাপি’ ঠেকাতে ঋণ পরিশোধে আরও ৩ বছর সময় দাবি বিএবির

আপডেট: ০১:৫৩:৪০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২১

দেশের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানসমূহ এখনো করোনা ভাইরাসের সংকট পার করতে পারেনি। বর্তমানে অধিকাংশ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ৫০ শতাংশ বা কোনোটি তারও কম উৎপাদন সক্ষমতা কাজে লাগাতে পারছে। করোনার নেতিবাচক প্রভাবে ভোগ্যপণ্যের স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক ব্যয় ব্যাপকভাবে কমে যাওয়ায় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোর গড় বিক্রিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। এছাড়া পোশাক কারখানাগুলোর ক্রয়াদেশ ৩০-৪০ শতাংশ কমেছে। এজন্য মেয়াদি ঋণের মেয়াদ আরও তিন বছর বাড়ানোর দাবি করেছে ব্যাংকমালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি)।

পাশাপাশি চলতি মূলধন ও তলবি ঋণের পরিশোধযোগ্য অংশকে মেয়াদি ঋণ হিসেবে পুনর্গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে সংগঠনটি। এছাড়া কোনো ডাউন পেমেন্ট বা এককালীন জমা ছাড়াই কমপক্ষে তিন বছরে ঋণ পরিশোধের সুযোগ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছে বিএবি।

এসব নিয়ে বিএবির চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার গত বৃহস্পতিবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরকে একটি চিঠি দেন।

এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক গত রোববার (৩১ জানুয়ারি) এক প্রজ্ঞাপনে জানায়, ২০২০ সালে সব ধরনের ঋণ শ্রেণীকরণে বিলম্ব সুবিধা দেওয়া হয়েছিল, যা গত ১ জানুয়ারি থেকে আর না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে এখন মেয়াদি ঋণের অবশিষ্ট মেয়াদের সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত সময় বাড়ানো যাবে। আর বর্ধিত সময়সীমা কোনভাবেই দুই বছরের বেশি হবে না।

বিএবি বলছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের মেয়াদি ঋণের অবশিষ্ট মেয়াদের ৫০ শতাংশ বা দুই বছরের অতিরিক্ত সময় বাড়ানোর ফলে যাদের ঋণের মেয়াদের পরিমাণ বেশি তারা সুবিধা পাবে। তবে যাদের অবশিষ্ট মেয়াদ অনেক কম তাদের অল্প সময়ে বড় অঙ্কেও ঋণ পরিশোধ করতে হবে। এতে ঋণের বড় অংশ অনিচ্ছাকৃত খেলাপিতে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলেও জানায় বিএবি। তাই সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নগদ টাকা প্রবাহ বিবেচনায় নিয়ে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ঋণ পরিশোধের সময়সীমা কমপক্ষে আরও তিন বছর বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে।

বিএবি উল্লেখ করে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক চলতি মূলধন ও তলবি ঋণ সম্পর্কে কিছুই বলেনি, যা এক বছরের মধ্যে পরিশোধযোগ্য ঋণ। ফলে মোট ঋণের ৬৫ থেকে ৭০ শতাংশ নির্দেশনার বাইরে রয়ে গেছে। তাই ২০২০ সালের সব কিস্তি ও সুদ এখনই শোধ না হলে চলতি বছরের জানুয়ারিতেই এসব ঋণ খেলাপি হয়ে যেতে পারে। এতে ব্যবসায়ে অচলাবস্থা সৃষ্টি হবে। সেজন্য চলতি মূলধন ও তলবি ঋণের পরিশোধযোগ্য অংশ কোনো জমা ছাড়াই মেয়াদি ঋণ হিসেবে তিন বছরে পরিশোধের ব্যবস্থা করার প্রস্তাব দিয়েছে বিএবি।