০৫:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

অনিয়মের বেড়াজালে জাহিন স্পিনিং

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৩:০৪:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ৪৮১৬ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি জাহিন স্পিনিং মিলস লিমিটেড। কোম্পানিটির স্থায়ী সম্পদ ক্রয়ের ক্ষেত্রে আয়কর অধ্যাদেশ লঙ্ঘন করেছে বলে জানিয়েছে কোম্পানির মনোনীত নিরীক্ষক। এছাড়া কোম্পানির গ্রাহকদের কাছে পাওনা টাকা ও পণ্য বিক্রির প্রমাণ নিরীক্ষার সময় পাওয়া যায়নি। এ পরিস্থিতিতে কোম্পানিটিতে নানান ধরনের অনিয়ম হয়ে থাকতে পারে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্ট নিরীক্ষক। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

নিরীক্ষক জানিয়েছেন, জাহিন স্পিনিং কর্তৃপক্ষ ২০২১-২২ অর্থবছরে স্থায়ী সম্পদ প্রপার্টি প্লান্ট অ্যান্ড ইক্যুপমেন্ট হিসাবে ওয়ার্ক ইন প্রগ্রেস থেকে স্থানান্তরিত ৫ কোটি ৬৪ লাখ টাকা এবং ওয়ার্ক ইন প্রগ্রেস হিসাবে নতুন যুক্ত ১ কোটি ১৪ লাখ টাকা দেখিয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ৯০ লাখ টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া ২ কোটি ৩৪ লাখ টাকা বকেয়া হিসেবে দায় এবং বাকি টাকা দেনাদারের সঙ্গে সমন্বয় করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে এআইটি ও ভ্যাট হিসাব না করে আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ এর ধারা ৩০(এম) এবং ধারা ৪৮ লঙ্ঘন করা হয়েছে।

এদিকে, ওই প্লান্ট অ্যান্ড মেশিনারিজের মধ্যে ৫ কোটি ৯ লাখ টাকার নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠান ঢাকা এন্টারপ্রাইজ থেকে কেনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নিরীক্ষক। এক্ষেত্রে মানসম্মত ক্রয় প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি। এছাড়া ওই কেনা সম্পদের বিষয়ে নিরীক্ষার জন্য পর্যাপ্ত প্রমাণ পাননি বলে জানিয়েছেন নিরীক্ষক। যেখানে ওই সম্পদ নিয়ে আর্থিক হিসাবে ভুল তথ্য দেওয়া হতে পারে।

আরও পড়ুন: অস্বাভাবিক শেয়ার দর বাড়ার কারণ জানেনা মুন্নু অ্যাগ্রো

জাহিন স্পিনিং কর্তৃপক্ষ গত ৩০ জুন গ্রাহকদের কাছে ৩৭ কোটি টাকা পাওনা এবং ২০২১-২২ অর্থবছরে গ্রাহকদের কাছ থেকে ৩৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা আদায় দেখিয়েছে। কিন্তু ব্যাংক হিসাবে শুধুমাত্র ৮ কোটি ২১ লাখ টাকা আদায়ের তথ্য পাওয়া গেছে। এছাড়া গ্রাহকদের কাছে পাওনা টাকার বিষয়ে লিখিত দিয়েও কোন সাড়া পাওয়া যায়নি। যদিও কোম্পানি কর্তৃপক্ষ ৮ কোটি ৩৪ লাখ টাকার প্রভিশনিং গঠন করেছে।

কোম্পানির আর্থিক হিসাবে ৩৩ কোটি ৭৬ লাখ টাকার পণ্য বিক্রি দেখানো হয়েছে। এর মধ্যে শুধুমাত্র ৮ কোটি ২১ লাখ টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে পাওয়া গেছে। বাকি টাকা নগদে আদায় ও ঢাকা এন্টারপ্রাইজের থেকে ক্রয়ের সঙ্গে সমন্বয় করা হয়েছে। এসব বিষয়ে নিরীক্ষার জন্য পর্যাপ্ত প্রমাণ পাননি বলে জানিয়েছেন নিরীক্ষক।

ঢাকা/এসআর

শেয়ার করুন

x
English Version

অনিয়মের বেড়াজালে জাহিন স্পিনিং

আপডেট: ০৩:০৪:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২২

নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি জাহিন স্পিনিং মিলস লিমিটেড। কোম্পানিটির স্থায়ী সম্পদ ক্রয়ের ক্ষেত্রে আয়কর অধ্যাদেশ লঙ্ঘন করেছে বলে জানিয়েছে কোম্পানির মনোনীত নিরীক্ষক। এছাড়া কোম্পানির গ্রাহকদের কাছে পাওনা টাকা ও পণ্য বিক্রির প্রমাণ নিরীক্ষার সময় পাওয়া যায়নি। এ পরিস্থিতিতে কোম্পানিটিতে নানান ধরনের অনিয়ম হয়ে থাকতে পারে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্ট নিরীক্ষক। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

নিরীক্ষক জানিয়েছেন, জাহিন স্পিনিং কর্তৃপক্ষ ২০২১-২২ অর্থবছরে স্থায়ী সম্পদ প্রপার্টি প্লান্ট অ্যান্ড ইক্যুপমেন্ট হিসাবে ওয়ার্ক ইন প্রগ্রেস থেকে স্থানান্তরিত ৫ কোটি ৬৪ লাখ টাকা এবং ওয়ার্ক ইন প্রগ্রেস হিসাবে নতুন যুক্ত ১ কোটি ১৪ লাখ টাকা দেখিয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ৯০ লাখ টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া ২ কোটি ৩৪ লাখ টাকা বকেয়া হিসেবে দায় এবং বাকি টাকা দেনাদারের সঙ্গে সমন্বয় করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে এআইটি ও ভ্যাট হিসাব না করে আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ এর ধারা ৩০(এম) এবং ধারা ৪৮ লঙ্ঘন করা হয়েছে।

এদিকে, ওই প্লান্ট অ্যান্ড মেশিনারিজের মধ্যে ৫ কোটি ৯ লাখ টাকার নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠান ঢাকা এন্টারপ্রাইজ থেকে কেনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নিরীক্ষক। এক্ষেত্রে মানসম্মত ক্রয় প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি। এছাড়া ওই কেনা সম্পদের বিষয়ে নিরীক্ষার জন্য পর্যাপ্ত প্রমাণ পাননি বলে জানিয়েছেন নিরীক্ষক। যেখানে ওই সম্পদ নিয়ে আর্থিক হিসাবে ভুল তথ্য দেওয়া হতে পারে।

আরও পড়ুন: অস্বাভাবিক শেয়ার দর বাড়ার কারণ জানেনা মুন্নু অ্যাগ্রো

জাহিন স্পিনিং কর্তৃপক্ষ গত ৩০ জুন গ্রাহকদের কাছে ৩৭ কোটি টাকা পাওনা এবং ২০২১-২২ অর্থবছরে গ্রাহকদের কাছ থেকে ৩৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা আদায় দেখিয়েছে। কিন্তু ব্যাংক হিসাবে শুধুমাত্র ৮ কোটি ২১ লাখ টাকা আদায়ের তথ্য পাওয়া গেছে। এছাড়া গ্রাহকদের কাছে পাওনা টাকার বিষয়ে লিখিত দিয়েও কোন সাড়া পাওয়া যায়নি। যদিও কোম্পানি কর্তৃপক্ষ ৮ কোটি ৩৪ লাখ টাকার প্রভিশনিং গঠন করেছে।

কোম্পানির আর্থিক হিসাবে ৩৩ কোটি ৭৬ লাখ টাকার পণ্য বিক্রি দেখানো হয়েছে। এর মধ্যে শুধুমাত্র ৮ কোটি ২১ লাখ টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে পাওয়া গেছে। বাকি টাকা নগদে আদায় ও ঢাকা এন্টারপ্রাইজের থেকে ক্রয়ের সঙ্গে সমন্বয় করা হয়েছে। এসব বিষয়ে নিরীক্ষার জন্য পর্যাপ্ত প্রমাণ পাননি বলে জানিয়েছেন নিরীক্ষক।

ঢাকা/এসআর