০৪:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪

‘অপ্রদর্শিত অর্থ’ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের সুযোগ থাকছে!

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১১:৩১:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ জুন ২০২১
  • / ৪১৬৩ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: দেশের পুঁজিবাজার গতিশীল ও উজ্জীবিত করতে সরকার নানাবিধ সংস্কারমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে। যার রূপরেখা ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে লক্ষ্য করা গেছে। পুঁজিবাজারে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগ করে সাদা করার সুযোগ এবারো থাকছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র অর্থসংবাদকে জানিয়েছে।

সূত্র জানায়, পুঁজিবাজারে কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ রাখতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন থেকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দায়িত্বশীলদের নিকট সুপারিশ করা হয়েছে। একই সাথে এ বিষয়ে ইতিবাচক সাড়াও মিলেছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছে।

সূত্র জানায়, কৌশলগত কারণে প্রস্তাবিত বাজেটে সুনির্দিষ্টভাবে কালো টাকা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের বিষয়ে কিছু বলা হয়নি, কিন্তু ৩০ জুনের মধ্যে প্রস্তাবিত বাজেটে নতুন করে কিছু বিষয় যোগ হবে এবং কিছু বাদ যাবে। তখন পুঁজিবাজারে কালো টাকা বিনিয়োগের বিষয়টি পরিস্কার করে উল্লেখ থাকবে। অর্থাৎ ৩০ শে জুন এ বিষয়ে পরিস্কার ধারণা আসবে।

এবিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, অপ্রদর্শিত অর্থ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করে সাদা করার সুযোগ দেওয়া হলে এটা দেশের অর্থনীতির জন্য ভালো হবে। কারণ দেশের অর্থ দেশেই বিনিয়োগ হবে, দেশের অর্থনীতিতে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। আর তা না হলে এ অর্থ বিদেশে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই এবারের বাজেটে এ সুযোগ থাকা উচিত এবং থাকবে বলেই আমি মনে করি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এদিকে বাজেটে পুঁজিবাজারের জন্য বেশ কিছু সুনির্দিষ্ট দিক নির্দেশনা দিয়েছে। ফলে সার্বিক দিক বিবেচনায় প্রস্তাবিত বাজেটকে পুঁজিবাজারবান্ধব বলে মনে করছে বাজার সংশ্লিষ্টরা। সর্বোপরি এবারের বাজেট শেয়ারবাজার ও ব্যবসাবান্ধব বলে মনে করছেন শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে শুক্রবার (৪ জুন) বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ রাখার বিষয়ে ইঙ্গিত দিয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, অপ্রদর্শিত অর্থ বৈধ করার সুযোগ দেওয়া যদি লাভজনক হয়, তাহলে অব্যাহত রাখার জন্য আলোচনা করা হবে। অপ্রদর্শিত অথের্র খারাপ ভালো দুটিই আছে। মন্দ দিক হচ্ছে, এ টাকাটা কোনো সিস্টেমে নাই, আমরা ব্যবহার করতে পারি না। আর যদি এটি প্রদর্শিত আয় হয়ে ঘুরে আসে তাহলে অর্থনীতিতে এর প্রভাব সুদূরপ্রসারী হবে-এটা ভাল দিক।

অর্থমন্ত্রীর এই মন্তব্যের বিশ্লেষণ করে সংশিষ্টরা ধারণা করছেন, প্রস্তাবিত বাজেটে অপ্রদর্শিত অর্থ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের সুযোগ তাহলে বহাল থাকছে। এর আগে ২০২০-২১ অর্থবছরে বাজেটে ১০ শতাংশ হারে কর দিয়ে জমি, ভবন ও অ্যাপার্টমেন্টের পাশাপাশি নগদ অর্থ, ব্যাংকে সঞ্চিত অর্থ, সঞ্চয়পত্র, বন্ড ও পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের মাধ্যমে অপ্রদর্শিত অর্থ বৈধ করার সুযোগ ছিল।

এদিকে ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, গত অর্থবছরে (২০২০-২১) কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রেখেছিল সরকার। ওই অর্থবছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৯ হাজার ৬২৩ জন করদাতা অপ্রদর্শিত সম্পদ রিটার্ন প্রদর্শন করে ১ হাজার ৩৮৬ কোটি ১০ লাখ ২ হাজার ৭৯৫ টাকা আয়কর দিয়েছেন। যে কারণে করোনাকালে দেশের অর্থনীতিতে পুঁজি প্রবাহ বেড়েছে। আর পুঁজিবাজারকে গতিশীল করার লক্ষ্যে ১ বছর লক-ইনসহ কয়েকটি শর্তসাপেক্ষে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়া হয়। ওই অর্থবছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৩১১ জন ব্যক্তিশ্রেণির করদাতা পুঁজিবাজারে অর্থ বিনিয়োগ করে ৪৩ কোটি ৫৪ লাখ ৫২ হাজার ৯৮ টাকা আয়কর পরিশোধ করেছেন। এর ফলে দেশের পুঁজিবাজারে অর্থের প্রবাহ বেড়েছে এবং পুঁজিবাজার শক্তিশালী হয়েছে।

এর আগে গত ১৯ মে (বুধবার) ক্রয় সংক্রান্ত কমিটির বৈঠকের পর ব্রিফিংয়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ আগামী বাজেটেও থাকবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘যতদিন অপ্রদর্শিত আয় থাকবে, ততদিন পর্যন্ত এ সুযোগ থাকবে।

সূত্র: অর্থসংবাদ

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন্:

ট্যাগঃ

শেয়ার করুন

x
English Version

‘অপ্রদর্শিত অর্থ’ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের সুযোগ থাকছে!

আপডেট: ১১:৩১:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ জুন ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: দেশের পুঁজিবাজার গতিশীল ও উজ্জীবিত করতে সরকার নানাবিধ সংস্কারমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে। যার রূপরেখা ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে লক্ষ্য করা গেছে। পুঁজিবাজারে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগ করে সাদা করার সুযোগ এবারো থাকছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র অর্থসংবাদকে জানিয়েছে।

সূত্র জানায়, পুঁজিবাজারে কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ রাখতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন থেকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দায়িত্বশীলদের নিকট সুপারিশ করা হয়েছে। একই সাথে এ বিষয়ে ইতিবাচক সাড়াও মিলেছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছে।

সূত্র জানায়, কৌশলগত কারণে প্রস্তাবিত বাজেটে সুনির্দিষ্টভাবে কালো টাকা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের বিষয়ে কিছু বলা হয়নি, কিন্তু ৩০ জুনের মধ্যে প্রস্তাবিত বাজেটে নতুন করে কিছু বিষয় যোগ হবে এবং কিছু বাদ যাবে। তখন পুঁজিবাজারে কালো টাকা বিনিয়োগের বিষয়টি পরিস্কার করে উল্লেখ থাকবে। অর্থাৎ ৩০ শে জুন এ বিষয়ে পরিস্কার ধারণা আসবে।

এবিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, অপ্রদর্শিত অর্থ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করে সাদা করার সুযোগ দেওয়া হলে এটা দেশের অর্থনীতির জন্য ভালো হবে। কারণ দেশের অর্থ দেশেই বিনিয়োগ হবে, দেশের অর্থনীতিতে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। আর তা না হলে এ অর্থ বিদেশে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই এবারের বাজেটে এ সুযোগ থাকা উচিত এবং থাকবে বলেই আমি মনে করি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এদিকে বাজেটে পুঁজিবাজারের জন্য বেশ কিছু সুনির্দিষ্ট দিক নির্দেশনা দিয়েছে। ফলে সার্বিক দিক বিবেচনায় প্রস্তাবিত বাজেটকে পুঁজিবাজারবান্ধব বলে মনে করছে বাজার সংশ্লিষ্টরা। সর্বোপরি এবারের বাজেট শেয়ারবাজার ও ব্যবসাবান্ধব বলে মনে করছেন শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে শুক্রবার (৪ জুন) বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ রাখার বিষয়ে ইঙ্গিত দিয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, অপ্রদর্শিত অর্থ বৈধ করার সুযোগ দেওয়া যদি লাভজনক হয়, তাহলে অব্যাহত রাখার জন্য আলোচনা করা হবে। অপ্রদর্শিত অথের্র খারাপ ভালো দুটিই আছে। মন্দ দিক হচ্ছে, এ টাকাটা কোনো সিস্টেমে নাই, আমরা ব্যবহার করতে পারি না। আর যদি এটি প্রদর্শিত আয় হয়ে ঘুরে আসে তাহলে অর্থনীতিতে এর প্রভাব সুদূরপ্রসারী হবে-এটা ভাল দিক।

অর্থমন্ত্রীর এই মন্তব্যের বিশ্লেষণ করে সংশিষ্টরা ধারণা করছেন, প্রস্তাবিত বাজেটে অপ্রদর্শিত অর্থ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের সুযোগ তাহলে বহাল থাকছে। এর আগে ২০২০-২১ অর্থবছরে বাজেটে ১০ শতাংশ হারে কর দিয়ে জমি, ভবন ও অ্যাপার্টমেন্টের পাশাপাশি নগদ অর্থ, ব্যাংকে সঞ্চিত অর্থ, সঞ্চয়পত্র, বন্ড ও পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের মাধ্যমে অপ্রদর্শিত অর্থ বৈধ করার সুযোগ ছিল।

এদিকে ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, গত অর্থবছরে (২০২০-২১) কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রেখেছিল সরকার। ওই অর্থবছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৯ হাজার ৬২৩ জন করদাতা অপ্রদর্শিত সম্পদ রিটার্ন প্রদর্শন করে ১ হাজার ৩৮৬ কোটি ১০ লাখ ২ হাজার ৭৯৫ টাকা আয়কর দিয়েছেন। যে কারণে করোনাকালে দেশের অর্থনীতিতে পুঁজি প্রবাহ বেড়েছে। আর পুঁজিবাজারকে গতিশীল করার লক্ষ্যে ১ বছর লক-ইনসহ কয়েকটি শর্তসাপেক্ষে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়া হয়। ওই অর্থবছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৩১১ জন ব্যক্তিশ্রেণির করদাতা পুঁজিবাজারে অর্থ বিনিয়োগ করে ৪৩ কোটি ৫৪ লাখ ৫২ হাজার ৯৮ টাকা আয়কর পরিশোধ করেছেন। এর ফলে দেশের পুঁজিবাজারে অর্থের প্রবাহ বেড়েছে এবং পুঁজিবাজার শক্তিশালী হয়েছে।

এর আগে গত ১৯ মে (বুধবার) ক্রয় সংক্রান্ত কমিটির বৈঠকের পর ব্রিফিংয়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ আগামী বাজেটেও থাকবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘যতদিন অপ্রদর্শিত আয় থাকবে, ততদিন পর্যন্ত এ সুযোগ থাকবে।

সূত্র: অর্থসংবাদ

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন্: