১১:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

অবশেষে মুখ খুললেন ইরানের আয়াতুল্লাহ খামেনি

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৬:৩৩:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ অক্টোবর ২০২২
  • / ৪২১১ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: ইরানে কুর্দি তরুণী মাসা আমিনির মৃত্যুর পর চলমান আন্দোলন নিয়ে অবশেষে মুখ খুলেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি। গত ১৬ সেপ্টেম্বর মারা যান আমিনি। এই লম্বা সময়ে বিষয়টি নিয়ে চুপ ছিলেন খামেনি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তিনি চলমান এ আন্দোলনকে ‘দাঙ্গা’  হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ইরানে এমন দাঙ্গা বাধিয়েছে ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্র। যারা ইরানের ‘অগ্রগতি’ থামিয়ে দিতে অপচেষ্টা করছে।

পুলিশ হেফাজতে মাসা আমিনির মৃত্যুর পর ইরানজুড়ে আন্দোলন ছড়িয়ে পরে। বিক্ষোভকারীরা ইরানে ‘নৈতিকতা পুলিশের’ কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে আসছেন। 

ইরানে নারীরা যেন ঢিলেঢালা পোশাক পরেন এবং মাথায় ঠিকমতো হিজাব পরিধান করেন সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে কাজ করে নৈতিকতা পুলিশ। তাদের হাতে আটক হওয়ার পরই মারা যান মাসা আমিনি। মাসা আমিনির মৃত্যুর ব্যাপারে আয়াতুল্লাহ খামেনি বলেছেন, এটি আমার হৃদয়কে ভেঙে দিয়েছে, এটি একটি তীক্ত ঘটনা। 

সোমবার তেহরানে পুলিশ অ্যাকাডেমির অনুষ্ঠানে আন্দোলন নিয়ে খামেনি বলেন, এই দাঙ্গা যুক্তরাষ্ট্র ও অবৈধ ইহুদি অঞ্চল ও বিদেশে বসবাসরত কিছু ইরানির পরিকল্পনায় হয়েছে। 

তিনি আরও বলেন, তরুণীর মৃত্যু আমাদের সবাইকে কষ্ট দিয়েছে। কিন্তু এটি নিয়ে তদন্ত হচ্ছে। কিন্তু এর মাঝে দাঙ্গাবাজরা রাস্তায় নেমে এসে কুরআন শরীফ পোড়াচ্ছে, মাথা থেকে হিজাব ফেলে দিচ্ছে, মসজিদ ও মানুষের গাড়িতে আগুন দিচ্ছে। এটি কোনো সাধারণ ও স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া না। 

খামেনি দাবি করেছেন, যদি মাসা আমিনির মৃত্যু নিয়ে আন্দোলন না হত তাহলে অন্য কোনো উপায়ে ইরানে দাঙ্গা ছড়াত যুক্তরাষ্ট্র ও অবৈধ ইহুদি অঞ্চল (ইসরাইল)। সূত্র: আল জাজিরা

আরও পড়ুন: উত্তর প্রদেশে পূজা প্যান্ডেলে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৫

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x
English Version

অবশেষে মুখ খুললেন ইরানের আয়াতুল্লাহ খামেনি

আপডেট: ০৬:৩৩:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ অক্টোবর ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: ইরানে কুর্দি তরুণী মাসা আমিনির মৃত্যুর পর চলমান আন্দোলন নিয়ে অবশেষে মুখ খুলেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি। গত ১৬ সেপ্টেম্বর মারা যান আমিনি। এই লম্বা সময়ে বিষয়টি নিয়ে চুপ ছিলেন খামেনি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তিনি চলমান এ আন্দোলনকে ‘দাঙ্গা’  হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ইরানে এমন দাঙ্গা বাধিয়েছে ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্র। যারা ইরানের ‘অগ্রগতি’ থামিয়ে দিতে অপচেষ্টা করছে।

পুলিশ হেফাজতে মাসা আমিনির মৃত্যুর পর ইরানজুড়ে আন্দোলন ছড়িয়ে পরে। বিক্ষোভকারীরা ইরানে ‘নৈতিকতা পুলিশের’ কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে আসছেন। 

ইরানে নারীরা যেন ঢিলেঢালা পোশাক পরেন এবং মাথায় ঠিকমতো হিজাব পরিধান করেন সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে কাজ করে নৈতিকতা পুলিশ। তাদের হাতে আটক হওয়ার পরই মারা যান মাসা আমিনি। মাসা আমিনির মৃত্যুর ব্যাপারে আয়াতুল্লাহ খামেনি বলেছেন, এটি আমার হৃদয়কে ভেঙে দিয়েছে, এটি একটি তীক্ত ঘটনা। 

সোমবার তেহরানে পুলিশ অ্যাকাডেমির অনুষ্ঠানে আন্দোলন নিয়ে খামেনি বলেন, এই দাঙ্গা যুক্তরাষ্ট্র ও অবৈধ ইহুদি অঞ্চল ও বিদেশে বসবাসরত কিছু ইরানির পরিকল্পনায় হয়েছে। 

তিনি আরও বলেন, তরুণীর মৃত্যু আমাদের সবাইকে কষ্ট দিয়েছে। কিন্তু এটি নিয়ে তদন্ত হচ্ছে। কিন্তু এর মাঝে দাঙ্গাবাজরা রাস্তায় নেমে এসে কুরআন শরীফ পোড়াচ্ছে, মাথা থেকে হিজাব ফেলে দিচ্ছে, মসজিদ ও মানুষের গাড়িতে আগুন দিচ্ছে। এটি কোনো সাধারণ ও স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া না। 

খামেনি দাবি করেছেন, যদি মাসা আমিনির মৃত্যু নিয়ে আন্দোলন না হত তাহলে অন্য কোনো উপায়ে ইরানে দাঙ্গা ছড়াত যুক্তরাষ্ট্র ও অবৈধ ইহুদি অঞ্চল (ইসরাইল)। সূত্র: আল জাজিরা

আরও পড়ুন: উত্তর প্রদেশে পূজা প্যান্ডেলে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৫

ঢাকা/এসএ