০৯:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
সিকিউরিটিজ আইনের লঙ্ঘন

অ্যাপোলো ইস্পাতকে চার কোটি টাকা জরিমানা

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১০:৫২:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মার্চ ২০২৩
  • / ৪৪৩৮ বার দেখা হয়েছে

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের কোম্পানি অ্যাপোলো ইস্পাত কমপ্লেক্স লিমিটেডের নানা অনিয়ম ও সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘনে জরিমানা করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বিএসইসি প্রতিষ্ঠানটিকে ৪ কোটি টাকা জরিমানা করেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

গত চার বছর ধরে কোম্পানির অবস্থা সম্পর্কে বিনিয়োগকারী, বিএসইসি এবং স্টক এক্সচেঞ্জকেও অবহিত করেনি কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।

সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন অডিন্যান্স, ১৯৬৯ এর সেকশন ২২ এর অধীন শাস্তিযোগ্য অপরাধ এটা। আইন লঙ্ঘন এর ফলে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ইভানা ফাহমিদা মাহমুদ, রোকসানা বেগম, এম এ মাজেদ ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুলকে এক কোটি টাকা করে মোট ৪ কোটি টাকা জরিমানা করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

উক্ত জরিমানা অত্র আদেশ প্রদানের ৩০ দিনের মধ্যে বিএসইসির অনুকূলে ইস্যুকৃত ব্যাংক ড্রাফট/পে অর্ডারের মাধ্যমে কমিশনে জমা করতে বলা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, কোম্পানিটি ২০১৩ সালে তালিকাভুক্ত হয়েছে। কোম্পানির ৪০ কোটি ১৩ লাখ ৮ হাজার ৬০০ শেয়ার রয়েছে। ২০১৮ সালের ৩০ জুন কোম্পানির সর্বশেষ প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫ পয়সা এবং বিনিয়োগকারীদের ৩ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দিয়েছিল। তারপর থেকে ২০১৯, ২০২০, ২০২১ ও ২০২২ মোট চার বছর ধরে কোন ডিভিডেন্ড দেয়নি। ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর শেষে কোম্পানিটির উদ্যোক্তা শেয়ার ২০.২৪ শতাংশ, প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ২০,৫৩ শতাংশ এবং বিদেশী বিনিয়োগ রয়েছে দশমিক ৪২ শতাংশ।

২০১৮ সালের ৩০ জুন কোম্পানির সর্বশেষ প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, কোম্পানির ব্যাংক ঋণ রয়েছে ৩০৬ কোটি ৫০ লাখ ৮০ হাজার টাকার। এর মধ্যে স্বল্প মেয়াদি ঋণ রয়েছে ২৩৫ কোটি ৮৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা। আর দীর্ঘ মেয়াদি ঋণ রয়েছে ৭০ কোটি ৬১ লাখ ৩০ হাজার টাকা।

আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ডিএসইর নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও পরিচালকদের শ্রদ্ধা

২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত এ প্রতিষ্ঠানের ঋণ দাঁড়িয়েছে ৮৭২ কোটি ৭২ লাখ টাকা। ঋণে জর্জরিত কোম্পানির এই অবস্থা দেখে কোম্পানির শেয়ারের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন বিনিয়োগকারীরা। ফলে ২০২২ সালে ৫ সেপ্টেম্বর থেকে কোম্পানির শেয়ারের কোনো ক্রেতা নেই। তাই কোনো শেয়ার লেনদেন হয়নি। কোম্পানির শেয়ার ২০২২ সালে ৪ সেপ্টেম্বর সর্বশেষ ৮ টাকা ২০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে।

নিয়ম অনুসারে, এক বছরের আর্থিক প্রতিবেদন বছর শেষ হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে স্টক এক্সচেঞ্জ, বিএসইসি ও গণমাধ্যমে প্রকাশ করতে হয়। আর প্রতি প্রান্তিক অর্থাৎ প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রান্তিক শেষ হওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে প্রকাশ করতে হয়। কোম্পানি এসব নিয়মও ভঙ্গ করেছে।

বিএসইসির বিশেষ তদন্ত প্রতিবেদন দেখা যায়, অ্যাপোলো ইস্পাত ২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ রুলস, ২০২০ এর রুলস ১৪ (৪) মোতাবেক প্রস্তুতপূর্বক সিকিউরিটিজ ও এক্সচেঞ্জ কমিশন, স্টক এক্সচেঞ্জ ও শেয়ারহোল্ডারদের নিকট দাখিল করতে বাধ্য যা পরিপালনে উক্ত ইস্যুয়ার ব্যর্থ হয়েছে।

এছাড়াও সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অডিন্যান্স, ১৯৬৯ এর সেকশন ২সিসি এর অধীনে জারিকৃত সিকিউরিটিজ ও এক্সচেঞ্জ কমিশনের নোটিফিকেশন নং- বিএসইসি/সিএমআরআরসিডি/২০০৬-১৫৮/২০৮/এডমিন/৮১ তারিখ ২০ জুন ২০১৮ এর ৪(১), ৪(২) এবং ৪(৩) অনুচ্ছেদে উল্লেখিত শর্তানুসারে অ্যাপোলো ইস্পাত কমপ্লেক্স ২০২০ সালের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর ও একই বছরের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর এবং ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ৩১ মার্চে সমাপ্ত ত্রৈমাসিক হিসাব বিবরণী প্রস্তুতপূর্বক সিকিউরিটিজ ও এক্সচেঞ্জ কমিশন ও স্টক এক্সচেঞ্জে দাখিল করতে বাধ্য। যা পরিপালনে অ্যাপোলো ইস্পাত কমপ্লেক্স লিমিটেড ইস্যুয়ার ব্যর্থ হয়েছে।

ইস্যুয়ার কর্তৃক আর্থিক প্রতিবেদন দাখিলে ব্যর্থতার জন্য কমিশন কর্তৃক গত বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি ইস্যুয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ অন্যান্য পরিচালক ও কোম্পানি সচিবকে নির্ধারিত তারিখে উক্ত ব্যর্থতার কারণ প্রদর্শনসহ শুনানিতে উপস্থিত হতে বলা হয়। পরে কোম্পানি সচিব এসকে আবুল হাসান ও অ্যাসিস্ট্যান্ট কোম্পানি সচিব মাহমুদুর রহমান ওই বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি শুনানিতে উপস্থিত হন। তারা শুনানিতে প্রতিবেদন জমা না দেওয়ার উপযুক্ত কারণ ব্যাখ্যা করতে পারেনি।

নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়, অ্যাপোলো ইস্পাতের বক্তব্য থেকে প্রতীয়মান হয়, উপস্থাপিত অভিযোগগুলো সঠিক। এ ক্ষেত্রে অ্যাপোলো ইস্পাতের ব্যাখ্যা কমিশনের নিকট গ্রহণযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হয়নি। এটি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি হওয়ার এর পরিচালকমন্ডলীর সদস্য ও প্রতিনিধিরা সিকিউরিটিজ সংক্রান্ত আইন ও বিধিবিধান পরিপালনের ব্যর্থতার জন্য দায়ী।

যেহেতু ইস্যুয়ার কোম্পানিতে জনসাধারণের মালিকানার শেয়ার রয়েছে। স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হওয়ার পরেও ইস্যুয়ার কর্তৃক হিসাব বিবরণী দাখিল না করায় বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হয়েছে ও হচ্ছে। যা পুঁজিবাজারের উন্নয়নের পরিপন্থী। ইস্যুয়ার কোম্পানিতে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষাসহ পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও শৃঙ্খলা রক্ষা করা কমিশনের অন্যতম উদ্দেশ্য ও কর্তব্য।

বিএসইসির বিবেচনায়, সিকিউরিটিজ আইন ও বিধি-বিধান পরিচালনের উল্লেখিত ব্যর্থতার জন্য, পুঁজিবাজারের শৃঙ্খলা, স্বচ্ছতা ও জনস্বার্থে আলোচ্য ইস্যুয়ারের পরিচালকদের প্রত্যেককে জরিমানা করা প্রয়োজন ও সমীচীন।

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

x
English Version

সিকিউরিটিজ আইনের লঙ্ঘন

অ্যাপোলো ইস্পাতকে চার কোটি টাকা জরিমানা

আপডেট: ১০:৫২:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মার্চ ২০২৩

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের কোম্পানি অ্যাপোলো ইস্পাত কমপ্লেক্স লিমিটেডের নানা অনিয়ম ও সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘনে জরিমানা করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বিএসইসি প্রতিষ্ঠানটিকে ৪ কোটি টাকা জরিমানা করেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

গত চার বছর ধরে কোম্পানির অবস্থা সম্পর্কে বিনিয়োগকারী, বিএসইসি এবং স্টক এক্সচেঞ্জকেও অবহিত করেনি কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।

সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন অডিন্যান্স, ১৯৬৯ এর সেকশন ২২ এর অধীন শাস্তিযোগ্য অপরাধ এটা। আইন লঙ্ঘন এর ফলে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ইভানা ফাহমিদা মাহমুদ, রোকসানা বেগম, এম এ মাজেদ ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুলকে এক কোটি টাকা করে মোট ৪ কোটি টাকা জরিমানা করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

উক্ত জরিমানা অত্র আদেশ প্রদানের ৩০ দিনের মধ্যে বিএসইসির অনুকূলে ইস্যুকৃত ব্যাংক ড্রাফট/পে অর্ডারের মাধ্যমে কমিশনে জমা করতে বলা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, কোম্পানিটি ২০১৩ সালে তালিকাভুক্ত হয়েছে। কোম্পানির ৪০ কোটি ১৩ লাখ ৮ হাজার ৬০০ শেয়ার রয়েছে। ২০১৮ সালের ৩০ জুন কোম্পানির সর্বশেষ প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫ পয়সা এবং বিনিয়োগকারীদের ৩ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দিয়েছিল। তারপর থেকে ২০১৯, ২০২০, ২০২১ ও ২০২২ মোট চার বছর ধরে কোন ডিভিডেন্ড দেয়নি। ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর শেষে কোম্পানিটির উদ্যোক্তা শেয়ার ২০.২৪ শতাংশ, প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ২০,৫৩ শতাংশ এবং বিদেশী বিনিয়োগ রয়েছে দশমিক ৪২ শতাংশ।

২০১৮ সালের ৩০ জুন কোম্পানির সর্বশেষ প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, কোম্পানির ব্যাংক ঋণ রয়েছে ৩০৬ কোটি ৫০ লাখ ৮০ হাজার টাকার। এর মধ্যে স্বল্প মেয়াদি ঋণ রয়েছে ২৩৫ কোটি ৮৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা। আর দীর্ঘ মেয়াদি ঋণ রয়েছে ৭০ কোটি ৬১ লাখ ৩০ হাজার টাকা।

আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ডিএসইর নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও পরিচালকদের শ্রদ্ধা

২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত এ প্রতিষ্ঠানের ঋণ দাঁড়িয়েছে ৮৭২ কোটি ৭২ লাখ টাকা। ঋণে জর্জরিত কোম্পানির এই অবস্থা দেখে কোম্পানির শেয়ারের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন বিনিয়োগকারীরা। ফলে ২০২২ সালে ৫ সেপ্টেম্বর থেকে কোম্পানির শেয়ারের কোনো ক্রেতা নেই। তাই কোনো শেয়ার লেনদেন হয়নি। কোম্পানির শেয়ার ২০২২ সালে ৪ সেপ্টেম্বর সর্বশেষ ৮ টাকা ২০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে।

নিয়ম অনুসারে, এক বছরের আর্থিক প্রতিবেদন বছর শেষ হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে স্টক এক্সচেঞ্জ, বিএসইসি ও গণমাধ্যমে প্রকাশ করতে হয়। আর প্রতি প্রান্তিক অর্থাৎ প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রান্তিক শেষ হওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে প্রকাশ করতে হয়। কোম্পানি এসব নিয়মও ভঙ্গ করেছে।

বিএসইসির বিশেষ তদন্ত প্রতিবেদন দেখা যায়, অ্যাপোলো ইস্পাত ২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ রুলস, ২০২০ এর রুলস ১৪ (৪) মোতাবেক প্রস্তুতপূর্বক সিকিউরিটিজ ও এক্সচেঞ্জ কমিশন, স্টক এক্সচেঞ্জ ও শেয়ারহোল্ডারদের নিকট দাখিল করতে বাধ্য যা পরিপালনে উক্ত ইস্যুয়ার ব্যর্থ হয়েছে।

এছাড়াও সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অডিন্যান্স, ১৯৬৯ এর সেকশন ২সিসি এর অধীনে জারিকৃত সিকিউরিটিজ ও এক্সচেঞ্জ কমিশনের নোটিফিকেশন নং- বিএসইসি/সিএমআরআরসিডি/২০০৬-১৫৮/২০৮/এডমিন/৮১ তারিখ ২০ জুন ২০১৮ এর ৪(১), ৪(২) এবং ৪(৩) অনুচ্ছেদে উল্লেখিত শর্তানুসারে অ্যাপোলো ইস্পাত কমপ্লেক্স ২০২০ সালের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর ও একই বছরের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর এবং ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ৩১ মার্চে সমাপ্ত ত্রৈমাসিক হিসাব বিবরণী প্রস্তুতপূর্বক সিকিউরিটিজ ও এক্সচেঞ্জ কমিশন ও স্টক এক্সচেঞ্জে দাখিল করতে বাধ্য। যা পরিপালনে অ্যাপোলো ইস্পাত কমপ্লেক্স লিমিটেড ইস্যুয়ার ব্যর্থ হয়েছে।

ইস্যুয়ার কর্তৃক আর্থিক প্রতিবেদন দাখিলে ব্যর্থতার জন্য কমিশন কর্তৃক গত বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি ইস্যুয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ অন্যান্য পরিচালক ও কোম্পানি সচিবকে নির্ধারিত তারিখে উক্ত ব্যর্থতার কারণ প্রদর্শনসহ শুনানিতে উপস্থিত হতে বলা হয়। পরে কোম্পানি সচিব এসকে আবুল হাসান ও অ্যাসিস্ট্যান্ট কোম্পানি সচিব মাহমুদুর রহমান ওই বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি শুনানিতে উপস্থিত হন। তারা শুনানিতে প্রতিবেদন জমা না দেওয়ার উপযুক্ত কারণ ব্যাখ্যা করতে পারেনি।

নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়, অ্যাপোলো ইস্পাতের বক্তব্য থেকে প্রতীয়মান হয়, উপস্থাপিত অভিযোগগুলো সঠিক। এ ক্ষেত্রে অ্যাপোলো ইস্পাতের ব্যাখ্যা কমিশনের নিকট গ্রহণযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হয়নি। এটি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি হওয়ার এর পরিচালকমন্ডলীর সদস্য ও প্রতিনিধিরা সিকিউরিটিজ সংক্রান্ত আইন ও বিধিবিধান পরিপালনের ব্যর্থতার জন্য দায়ী।

যেহেতু ইস্যুয়ার কোম্পানিতে জনসাধারণের মালিকানার শেয়ার রয়েছে। স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হওয়ার পরেও ইস্যুয়ার কর্তৃক হিসাব বিবরণী দাখিল না করায় বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হয়েছে ও হচ্ছে। যা পুঁজিবাজারের উন্নয়নের পরিপন্থী। ইস্যুয়ার কোম্পানিতে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষাসহ পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও শৃঙ্খলা রক্ষা করা কমিশনের অন্যতম উদ্দেশ্য ও কর্তব্য।

বিএসইসির বিবেচনায়, সিকিউরিটিজ আইন ও বিধি-বিধান পরিচালনের উল্লেখিত ব্যর্থতার জন্য, পুঁজিবাজারের শৃঙ্খলা, স্বচ্ছতা ও জনস্বার্থে আলোচ্য ইস্যুয়ারের পরিচালকদের প্রত্যেককে জরিমানা করা প্রয়োজন ও সমীচীন।

ঢাকা/টিএ