০৮:৩১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

আইনের তোয়াক্কা করছে না ফু-ওয়াং সিরামিকের পরিচালকরা

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১২:২৩:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • / ৪৩২৯ বার দেখা হয়েছে

নিয়ম অনুযায়ী পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোনো কোম্পানির পরিচালকদের ন্যূনতম ৩০ শতাংশ শেয়ার থাকার কথা। পাশাপাশি পৃথকভাবে প্রত্যেক পরিচালকের সর্বনি¤œ দুই শতাংশ শেয়ার ধারণের নিয়ম রয়েছে। কিন্তু তালিকাভুক্ত কোম্পানি ফু-ওয়াং সিরামিক এই দুই নিয়মের কোনোটাই মানছে না। এই কোম্পানির পরিচালকদের সম্মিলিত ৩০ শতাংশ শেয়ার নেই। মাত্র পাঁচ শতাংশ শেয়ার নিয়ে পদ ধরে রেখেছেন শেয়ারধারী পরিচালকেরা।

কোম্পানির সর্বশেষ আর্থিক প্রতিবেদনে দেখা যায়, এই কোম্পানির মোট শেয়ার রয়েছে ১৩ কোটি ৬২ লাখ ৬৯ হাজার ৯৩টি। এ হিসাবে ৩০ শতাংশ তথা চার কোটি আট লাখ ৮০ হাজার ৭২৮টি শেয়ার পরিচালকদের ধারণ করতে হবে। তবে চেয়ারম্যান ও পাঁচ পরিচালকের মোট শেয়ার রয়েছে মোট ৭২ লাখ ৫৮ হাজার ১৪টি। এর মধ্যে সু চিন হুয়া ধারণ করছেন ৩৭ লাখ ১২ হাজার ২১৭টি শেয়ার। সুই হং ওয়াংয়ের কাছে রয়েছে ৪৩ হাজার ৬১৮টি শেয়ার। অন্য তিন পরিচালকের মধ্যে সিন চু ইয়াং ২৬ হাজার ৬৪০, চিয়াং চিউ চেন দুই লাখ ৮০ হাজার ১১৯টি এবং চুয়ান চি সুর কাছে রয়েছে চার লাখ ৬৬ হাজার ৮৭০টি শেয়ার। আর চেয়ারম্যানের (জাভেদ অপগেনপেপেন) শেয়ার রয়েছে ২৭ লাখ ২৮ হাজার ৫৫০টি।

সম্প্রতি সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) থেকে পরিচালকদের পদ ধরে রাখার জন্য শেয়ার ক্রয়ে ৪৫ কার্যদিবস সময় দেওয়া হয়। পরে তা বাড়িয়ে ৬০ কার্যদিবস করা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে নির্দিষ্ট পরিমাণ শেয়ার ক্রয় করতে না পারলে সমস্যায় পড়বেন এই পরিচালকেরা, কারণ তাদের পদ ছেড়ে চলে যেতে হবে। এক্ষেত্রে যেসব কোম্পানির বেশি পরিমাণ শেয়ার কিনতে হবে তাদের ঝুঁকি বেশি। কারণ এখানে অর্থের জোগান একটি বিষয়।

ফু-ওয়াং সিরামিকের পরিচালকেরা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শর্ত পূরণ করতে পারবেন কি না, তা নিয়ে সন্দেহ পোষণ করছেন বিনিয়োগকারীরা। বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানটিতে কোম্পানি কর্তৃপক্ষের শেয়ার রয়েছে পাঁচ দশমিক ৩৩ শতাংশ। ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ করতে হলে এখনও কোম্পানিকে ২৪ দশমিক ৬৭ শতাংশ শেয়ার ক্রয় করতে হবে।

বাজারসংশ্লিষ্টরা বলেন, এমনিতেই এই কোম্পানির আর্থিক অবস্থা ভালো নয়। এর মধ্যে হঠাৎ করে পরিচালকশূন্য হয়ে পড়লে অবস্থা আরও খারাপ হতে পারে, যে কারণে এই কোম্পানির শেয়ারের প্রতি আগ্রহ নেই বিনিয়োগকারীদের। আর এর জের ধরেই কোম্পানির আর্থিক অবস্থা দুর্বল হচ্ছে।

তালিকাভুক্ত এই কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনে দেখা যায়, সর্বশেষ আর্থিক বছরে তাদের মুনাফা বেড়েছে। কিন্তু ব্যয় আগের চেয়ে ১০২ শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়ায় এর মুনাফা কমে গেছে। এই বছর কোম্পানি ৩৫ কোটি টাকার মেশিনারিজ ফ্যাক্টরিতে সংযোজন করেছে। এতে কোম্পানির নিজস্ব তহবিল থেকে ব্যয় হয়েছে সাত কোটি টাকা। এছাড়া অন্যান্য খরচ মিটিয়ে মুনাফা ধরে রাখতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি। এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির প্রফিট মার্জিন ১৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ থেকে ১৩ দশমিক ৫৭-তে নেমে এসেছে।

কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়, তাদের ইজারাকৃত খনি থেকে মাটি আহরণের ওপর নিষেধাজ্ঞা ছিল। পরে পরিবেশ অধিদপ্তরের ‘পরিবেশ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা’ জমা দেওয়ার শর্তাবলি পূরণ করলে উচ্চ আদালতের আদেশ অনুযায়ী নিজস্ব খনি থেকে মাটি আহরণ করে কোম্পানিটি, যে কারণে মুনাফা কিছুটা বৃদ্ধি পায়। তবে খরচ মিটিয়ে মুনাফায় থাকা সম্ভব হয়নি। সর্বশেষ আর্থিক বছরে কোম্পানির মুনাফা হয় আট কোটি ৭৮ হাজার টাকা। আগের বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল আট কোটি ৪০ লাখ টাকা।

এদিকে সম্প্রতি প্রকাশিত তৃতীয় প্রান্তিকেও কোম্পানির আর্থিক অবস্থায় ভালো দেখা যাচ্ছে না। তৃতীয় প্রান্তিকে এই কোম্পানির মুনাফা দাঁড়ায় এক কোটি ৫৯ লাখ টাকা। আগের বছর যার পরিমাণ ছিল দুই কোটি ১৭ লাখ ১৮ হাজার টাকা। এই সময়ের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় শূন্য দশমিক ১৬ থেকে শূন্য দশমিক ১২ টাকায় নেমে এসেছে।

এদিকে বিষয়টি জানতে যোগাযোগ করা হলে কোম্পানির সচিব মো. এ হালিম ঠাকুর শেয়ার বিজকে বলেন, ‘নির্দিষ্ট সময়ে আমরা নির্দিষ্ট পরিমাণে শেয়ার ধারণ করতে পারব কি না, তা বলতে পারছি না। বিএসইসি থেকে এই বিষয়ে আমাদের চিঠি দেওয়া হয়েছিল। আমরা তার জবাব দিয়েছি।’ চিঠির জবাবে শেয়ার ধারণ সময়সীমা বাড়ানোর অনুরোধ করা হয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে দিতে পারেননি তিনি। অন্যদিকে একই বিষয়ে কোম্পানির প্রধান অর্থ কর্মকর্তা আহমেদ মুনাব্বির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনিও একই ধরনের উত্তর দেন।

এদিকে বিষয়টি জানতে যোগাযোগ করা হলে বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবায়াত-উল-ইসলাম শেয়ার বিজকে বলেন, যেসব কোম্পানির পরিচালকদের ন্যূনতম শেয়ার নেই, সেসব পরিচালককে আমরা পদ ধরে রাখার জন্য চিঠি দিয়েছে। এই সময়ের মধ্যে যদি কোনো পরিচালক শেয়ার ধারণে ব্যর্থ হন, তবে এমনিতেই তার পরিচালক পদ বাতিল হয়ে যাবে।

প্রসঙ্গত, কোম্পানিটির পরিচালকদের কাছে পাঁচ দশমিক ৩৩ শতাংশ শেয়ার থাকার পাশাপাশি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩৩ দশমিক ৮৯ শতাংশ, বিদেশিদের কাছে শূন্য দশমিক চার এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৬০ দশমিক ৩৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

তথ্যসূত্রঃ শেয়ারবিজ

শেয়ার করুন

x
English Version

আইনের তোয়াক্কা করছে না ফু-ওয়াং সিরামিকের পরিচালকরা

আপডেট: ১২:২৩:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২০

নিয়ম অনুযায়ী পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোনো কোম্পানির পরিচালকদের ন্যূনতম ৩০ শতাংশ শেয়ার থাকার কথা। পাশাপাশি পৃথকভাবে প্রত্যেক পরিচালকের সর্বনি¤œ দুই শতাংশ শেয়ার ধারণের নিয়ম রয়েছে। কিন্তু তালিকাভুক্ত কোম্পানি ফু-ওয়াং সিরামিক এই দুই নিয়মের কোনোটাই মানছে না। এই কোম্পানির পরিচালকদের সম্মিলিত ৩০ শতাংশ শেয়ার নেই। মাত্র পাঁচ শতাংশ শেয়ার নিয়ে পদ ধরে রেখেছেন শেয়ারধারী পরিচালকেরা।

কোম্পানির সর্বশেষ আর্থিক প্রতিবেদনে দেখা যায়, এই কোম্পানির মোট শেয়ার রয়েছে ১৩ কোটি ৬২ লাখ ৬৯ হাজার ৯৩টি। এ হিসাবে ৩০ শতাংশ তথা চার কোটি আট লাখ ৮০ হাজার ৭২৮টি শেয়ার পরিচালকদের ধারণ করতে হবে। তবে চেয়ারম্যান ও পাঁচ পরিচালকের মোট শেয়ার রয়েছে মোট ৭২ লাখ ৫৮ হাজার ১৪টি। এর মধ্যে সু চিন হুয়া ধারণ করছেন ৩৭ লাখ ১২ হাজার ২১৭টি শেয়ার। সুই হং ওয়াংয়ের কাছে রয়েছে ৪৩ হাজার ৬১৮টি শেয়ার। অন্য তিন পরিচালকের মধ্যে সিন চু ইয়াং ২৬ হাজার ৬৪০, চিয়াং চিউ চেন দুই লাখ ৮০ হাজার ১১৯টি এবং চুয়ান চি সুর কাছে রয়েছে চার লাখ ৬৬ হাজার ৮৭০টি শেয়ার। আর চেয়ারম্যানের (জাভেদ অপগেনপেপেন) শেয়ার রয়েছে ২৭ লাখ ২৮ হাজার ৫৫০টি।

সম্প্রতি সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) থেকে পরিচালকদের পদ ধরে রাখার জন্য শেয়ার ক্রয়ে ৪৫ কার্যদিবস সময় দেওয়া হয়। পরে তা বাড়িয়ে ৬০ কার্যদিবস করা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে নির্দিষ্ট পরিমাণ শেয়ার ক্রয় করতে না পারলে সমস্যায় পড়বেন এই পরিচালকেরা, কারণ তাদের পদ ছেড়ে চলে যেতে হবে। এক্ষেত্রে যেসব কোম্পানির বেশি পরিমাণ শেয়ার কিনতে হবে তাদের ঝুঁকি বেশি। কারণ এখানে অর্থের জোগান একটি বিষয়।

ফু-ওয়াং সিরামিকের পরিচালকেরা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শর্ত পূরণ করতে পারবেন কি না, তা নিয়ে সন্দেহ পোষণ করছেন বিনিয়োগকারীরা। বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানটিতে কোম্পানি কর্তৃপক্ষের শেয়ার রয়েছে পাঁচ দশমিক ৩৩ শতাংশ। ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ করতে হলে এখনও কোম্পানিকে ২৪ দশমিক ৬৭ শতাংশ শেয়ার ক্রয় করতে হবে।

বাজারসংশ্লিষ্টরা বলেন, এমনিতেই এই কোম্পানির আর্থিক অবস্থা ভালো নয়। এর মধ্যে হঠাৎ করে পরিচালকশূন্য হয়ে পড়লে অবস্থা আরও খারাপ হতে পারে, যে কারণে এই কোম্পানির শেয়ারের প্রতি আগ্রহ নেই বিনিয়োগকারীদের। আর এর জের ধরেই কোম্পানির আর্থিক অবস্থা দুর্বল হচ্ছে।

তালিকাভুক্ত এই কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনে দেখা যায়, সর্বশেষ আর্থিক বছরে তাদের মুনাফা বেড়েছে। কিন্তু ব্যয় আগের চেয়ে ১০২ শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়ায় এর মুনাফা কমে গেছে। এই বছর কোম্পানি ৩৫ কোটি টাকার মেশিনারিজ ফ্যাক্টরিতে সংযোজন করেছে। এতে কোম্পানির নিজস্ব তহবিল থেকে ব্যয় হয়েছে সাত কোটি টাকা। এছাড়া অন্যান্য খরচ মিটিয়ে মুনাফা ধরে রাখতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি। এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির প্রফিট মার্জিন ১৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ থেকে ১৩ দশমিক ৫৭-তে নেমে এসেছে।

কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়, তাদের ইজারাকৃত খনি থেকে মাটি আহরণের ওপর নিষেধাজ্ঞা ছিল। পরে পরিবেশ অধিদপ্তরের ‘পরিবেশ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা’ জমা দেওয়ার শর্তাবলি পূরণ করলে উচ্চ আদালতের আদেশ অনুযায়ী নিজস্ব খনি থেকে মাটি আহরণ করে কোম্পানিটি, যে কারণে মুনাফা কিছুটা বৃদ্ধি পায়। তবে খরচ মিটিয়ে মুনাফায় থাকা সম্ভব হয়নি। সর্বশেষ আর্থিক বছরে কোম্পানির মুনাফা হয় আট কোটি ৭৮ হাজার টাকা। আগের বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল আট কোটি ৪০ লাখ টাকা।

এদিকে সম্প্রতি প্রকাশিত তৃতীয় প্রান্তিকেও কোম্পানির আর্থিক অবস্থায় ভালো দেখা যাচ্ছে না। তৃতীয় প্রান্তিকে এই কোম্পানির মুনাফা দাঁড়ায় এক কোটি ৫৯ লাখ টাকা। আগের বছর যার পরিমাণ ছিল দুই কোটি ১৭ লাখ ১৮ হাজার টাকা। এই সময়ের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় শূন্য দশমিক ১৬ থেকে শূন্য দশমিক ১২ টাকায় নেমে এসেছে।

এদিকে বিষয়টি জানতে যোগাযোগ করা হলে কোম্পানির সচিব মো. এ হালিম ঠাকুর শেয়ার বিজকে বলেন, ‘নির্দিষ্ট সময়ে আমরা নির্দিষ্ট পরিমাণে শেয়ার ধারণ করতে পারব কি না, তা বলতে পারছি না। বিএসইসি থেকে এই বিষয়ে আমাদের চিঠি দেওয়া হয়েছিল। আমরা তার জবাব দিয়েছি।’ চিঠির জবাবে শেয়ার ধারণ সময়সীমা বাড়ানোর অনুরোধ করা হয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে দিতে পারেননি তিনি। অন্যদিকে একই বিষয়ে কোম্পানির প্রধান অর্থ কর্মকর্তা আহমেদ মুনাব্বির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনিও একই ধরনের উত্তর দেন।

এদিকে বিষয়টি জানতে যোগাযোগ করা হলে বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবায়াত-উল-ইসলাম শেয়ার বিজকে বলেন, যেসব কোম্পানির পরিচালকদের ন্যূনতম শেয়ার নেই, সেসব পরিচালককে আমরা পদ ধরে রাখার জন্য চিঠি দিয়েছে। এই সময়ের মধ্যে যদি কোনো পরিচালক শেয়ার ধারণে ব্যর্থ হন, তবে এমনিতেই তার পরিচালক পদ বাতিল হয়ে যাবে।

প্রসঙ্গত, কোম্পানিটির পরিচালকদের কাছে পাঁচ দশমিক ৩৩ শতাংশ শেয়ার থাকার পাশাপাশি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩৩ দশমিক ৮৯ শতাংশ, বিদেশিদের কাছে শূন্য দশমিক চার এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৬০ দশমিক ৩৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

তথ্যসূত্রঃ শেয়ারবিজ