০৬:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

আইপিও’র শেয়ার লেনদেনে লাগাম টানলো বিএসইসি

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১১:৩৬:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মে ২০২১
  • / ৪২৭০ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদকঃ প্রাথমিক গণ প্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে শেয়ারবাজারে আসা কোম্পানির লেনদেনের প্রথমদিনেই স্বাভাবিক সার্কিট ব্রেকার (শেয়ার দাম বাড়া অথবা কমার সীমা) চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। আজ বৃহস্পতিবার (৬ মে) এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করেছে বিএসইসি।

এই নিয়মের ফলে এখন থেকে ফিক্সড প্রাইস পদ্ধতিতে আইপিওতে আসা কোম্পানির শেয়ার দাম লেনদেনের প্রথমদিন সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ বাড়তে বা কমতে পারবে।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, বিনিয়োগকারীদের স্বার্থের কথা চিন্তা করে লেনদেনের প্রথমদিন থেকেই স্বাভাবিক সার্কিট ব্রেকার চালু করা হয়েছে।

তিনি বলেন, লেনদেনের প্রথম দুইদিন ৫০ শতাংশ পর্যন্ত দাম বাড়ার সুযোগ থাকায় প্রথম দুদিনে একটি কোম্পানির শেয়ার দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যেতে পারে। এতে উচ্চ দামে শেয়ার কেনা বিনিয়োগকারীরা অনেক সময় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কিন্তু প্রথমদিনেই সার্কিট ব্রেকার থাকায় এখন প্রথম দুদিনেই শেয়ার দাম বড় অঙ্কে বাড়তে পারবে না।

এতোদিন লেনদেনের প্রথম দুইদিন ৫০ শতাংশ সার্কিট ব্রেকার কার্যকর ছিল। অর্থাৎ লেনদেনের প্রথম দুইদিন একটি কোম্পানির শেয়ার দাম সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে অথবা কমতে পারে।

এ হিসাবে ফিক্সড প্রাইস পদ্ধতিতে আইপিওতে আসা একটি কোম্পানির শেয়ার দাম লেনদেনের প্রথমদিন সর্বোচ্চ ১৫ টাকা পর্যন্ত উঠতে পারে। বিপরীতে কমতে পারে ৫ টাকা পর্যন্ত।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৯ সালের নভেম্বরে এই নিয়ম চালু করে বিএসইসি। তার আগে লেনদেনের প্রথমদিন লেনদেনের ক্ষেত্রে কোনো সার্কিট ব্রেকার ছিল না।

এ বিষয়ে ডিএসইর একজন পরিচালক বলেন, লেনদেনের প্রথমদিনেই সার্কিট ব্রেকার চালু ভালো উদ্যোগ। এতে প্রথম দুদিনেই শেয়ারের অস্বাভাবিক দাম বাড়া বন্ধ হবে। যার ইতিবাচক প্রভাব পড়বে সেকেন্ডারি মার্কেটে।

তিনি বলেন, ৫০ শতাংশ সার্কিট ব্রেকার থাকায় প্রথমদিন কোম্পানিটির শেয়ার দাম বেড়ে ৬০ টাকা হওয়ার সুযোগ থাকে। আর দ্বিতীয় দিনে আরও ৫০ শতাংশ বেড়ে ৯০ টাকা হওয়ার সুযোগ থাকে। ফলে একজন বিনিয়োগকারী ৯০ টাকা দিয়ে ওই শেয়ার কিনে ক্ষতির মুখে পড়তে পারেন।

কিন্তু লেনদেনের প্রথমদিন থেকেই স্বাভাবিক সার্কিট ব্রেকার চালু করায় ৪০ টাকা করে ইস্যু করা শেয়ার দাম প্রথমদিনে সর্বোচ্চ চার টাকা বেড়ে ৪৪ টাকায় উঠতে পারবে। দ্বিতীয় দিনে সর্বোচ্চ দাম বাড়লেও ৪৮ টাকা ৪০ পয়সার বেশি হতে পারবে না। ফলে দুদিনেই শেয়ার দাম অস্বাভাবিক বাড়ার পথ বন্ধ হবে।
ঢাকা/এনইউ

শেয়ার করুন

x
English Version

আইপিও’র শেয়ার লেনদেনে লাগাম টানলো বিএসইসি

আপডেট: ১১:৩৬:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মে ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদকঃ প্রাথমিক গণ প্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে শেয়ারবাজারে আসা কোম্পানির লেনদেনের প্রথমদিনেই স্বাভাবিক সার্কিট ব্রেকার (শেয়ার দাম বাড়া অথবা কমার সীমা) চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। আজ বৃহস্পতিবার (৬ মে) এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করেছে বিএসইসি।

এই নিয়মের ফলে এখন থেকে ফিক্সড প্রাইস পদ্ধতিতে আইপিওতে আসা কোম্পানির শেয়ার দাম লেনদেনের প্রথমদিন সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ বাড়তে বা কমতে পারবে।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, বিনিয়োগকারীদের স্বার্থের কথা চিন্তা করে লেনদেনের প্রথমদিন থেকেই স্বাভাবিক সার্কিট ব্রেকার চালু করা হয়েছে।

তিনি বলেন, লেনদেনের প্রথম দুইদিন ৫০ শতাংশ পর্যন্ত দাম বাড়ার সুযোগ থাকায় প্রথম দুদিনে একটি কোম্পানির শেয়ার দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যেতে পারে। এতে উচ্চ দামে শেয়ার কেনা বিনিয়োগকারীরা অনেক সময় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কিন্তু প্রথমদিনেই সার্কিট ব্রেকার থাকায় এখন প্রথম দুদিনেই শেয়ার দাম বড় অঙ্কে বাড়তে পারবে না।

এতোদিন লেনদেনের প্রথম দুইদিন ৫০ শতাংশ সার্কিট ব্রেকার কার্যকর ছিল। অর্থাৎ লেনদেনের প্রথম দুইদিন একটি কোম্পানির শেয়ার দাম সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে অথবা কমতে পারে।

এ হিসাবে ফিক্সড প্রাইস পদ্ধতিতে আইপিওতে আসা একটি কোম্পানির শেয়ার দাম লেনদেনের প্রথমদিন সর্বোচ্চ ১৫ টাকা পর্যন্ত উঠতে পারে। বিপরীতে কমতে পারে ৫ টাকা পর্যন্ত।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৯ সালের নভেম্বরে এই নিয়ম চালু করে বিএসইসি। তার আগে লেনদেনের প্রথমদিন লেনদেনের ক্ষেত্রে কোনো সার্কিট ব্রেকার ছিল না।

এ বিষয়ে ডিএসইর একজন পরিচালক বলেন, লেনদেনের প্রথমদিনেই সার্কিট ব্রেকার চালু ভালো উদ্যোগ। এতে প্রথম দুদিনেই শেয়ারের অস্বাভাবিক দাম বাড়া বন্ধ হবে। যার ইতিবাচক প্রভাব পড়বে সেকেন্ডারি মার্কেটে।

তিনি বলেন, ৫০ শতাংশ সার্কিট ব্রেকার থাকায় প্রথমদিন কোম্পানিটির শেয়ার দাম বেড়ে ৬০ টাকা হওয়ার সুযোগ থাকে। আর দ্বিতীয় দিনে আরও ৫০ শতাংশ বেড়ে ৯০ টাকা হওয়ার সুযোগ থাকে। ফলে একজন বিনিয়োগকারী ৯০ টাকা দিয়ে ওই শেয়ার কিনে ক্ষতির মুখে পড়তে পারেন।

কিন্তু লেনদেনের প্রথমদিন থেকেই স্বাভাবিক সার্কিট ব্রেকার চালু করায় ৪০ টাকা করে ইস্যু করা শেয়ার দাম প্রথমদিনে সর্বোচ্চ চার টাকা বেড়ে ৪৪ টাকায় উঠতে পারবে। দ্বিতীয় দিনে সর্বোচ্চ দাম বাড়লেও ৪৮ টাকা ৪০ পয়সার বেশি হতে পারবে না। ফলে দুদিনেই শেয়ার দাম অস্বাভাবিক বাড়ার পথ বন্ধ হবে।
ঢাকা/এনইউ