আইপিডিসির শেয়ার কারসাজিঃ আবারও জরিমানার মুখে হিরো
- আপডেট: ১১:৪১:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২২
- / ৪৩১৬ বার দেখা হয়েছে
বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: শেয়ার কারসাজির দায়ে আবারও জরিমানার কবলে পড়লেন পুঁজিবাজারের আলোচিত বিনিয়োগকারী আবুল খায়ের হিরুকে জরিমানা করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। মুলত আর্থিক খাতের তালিকাভুক্ত কোম্পানি আইপিডিসির শেয়ার নিয়ে কারসাজির দায়ে এবার দেড় কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
জানা গেছে, আবুল খায়ের হিরো সমবায় অধিদপ্তরের প্রথম শ্রেণির কর্মকর্ত। তিনি গত কয়েক বছরে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করে শত কোটি টাকার বেশি আয় করেছেন। তবে এক্ষেত্রে তিনি যে কারসাজি করেছেন তা ইতিমধ্যে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) একাধিকবার প্রমানিত হয়েছে।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
এর আগেও সাতটি কোম্পানির শেয়ারে কারসাজি করে ১৩৭ কোটি টাকা মুনাফা করে, ১০ কোটি ৮৯ লাখ টাকা জরিমানা দিয়েছিলেন।
বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, কমিশনের সাম্প্রতিক এক বৈঠকে হিরুকে জরিমানার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে এই কারসাজিতে কত টাকা হিরু আয় করেছেন এবং কত টাকায় শেয়ার কিনে কত টাকায় বিক্রি করেছেন সেটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
আরও পড়ুনঃ শেয়ার কারসাজিতে হিরোকে ২ কোটি টাকার বেশি জরিমানা!
ডিএসই’র তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত দেড় বছরে আর্থিক খাতের বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর হারালেও ব্যতিক্রম ছিল আইপিডিসি। ২০২১ সালের ১১ এপ্রিল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে শেয়ারটি লেনদেন হয়েছে ২২ টাকা ৩০ পয়সায়। এরপর কয়েক দফা শেয়ারটির দর লাফ দিয়েছে।
ওই বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর শেয়ারদর লাফ দিয়ে হয়ে যায় ৪৮ টাকা ৬০ পয়সা। এরপর গত ২৭ মার্চ দর নেমে আসে ৩৩ টাকা ৮০ পয়সায়। এরপর আবার দেয় লাফ। গত ২৭ আগস্ট দর আবার বেড়ে হয় ৭৭ টাকা ২০ পয়সা।
আরও পড়ুনঃ শরীয়াহভিত্তিক সিকিউরিটিজ ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা ফেরাতে বিধিমালা প্রণয়ন
পরে সেখান থেকে দর আবার নামতে থাকে। এখন শেয়ারদর দাঁড়িয়েছে ৫৭ টাকা ৬০ পয়সা।
শেয়ারদর এভাবে লাফালেও কোম্পানির আর্থিক অবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে এমন নয়। লভ্যাংশও খুব ভালো হয়েছে, এমন নয়।
২০২০ সালে কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি ১ টাকা ৯০ আয় করে ১ টাকা ২০ পয়সা লভ্যাংশ দিয়েছে। পরের বছর শেয়ার প্রতি আয় বেড়ে ২ টাকা ৩৭ পয়সা হলেও লভ্যাংশ বাড়েনি। আগের বছরের একই হারে লভ্যাংশ পেয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।
চলতি বছরের প্রথম দুই প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ১৯ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ১১ পয়সা।
প্রসঙ্গত, এর আগে আবুল খায়ের হিরোকে এশিয়ান ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার নিয়ে কারসাজি করে ২ লাখ টাকা, গ্রিন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার নিয়ে কারসাজির ঘটনায় ৪২ লাখ টাকা, ঢাকা ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার নিয়ে কারসাজিতে ৯৫ লাখ টাকা, এনআরবিসি ব্যাংকের শেয়ার নিয়েও কারসাজির ঘটনায় ৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকা, বিডিকমের শেয়ার নিয়ে কারসাজিতে ৫৫ লাখ টাকা এবং ওয়ান ব্যাংকের শেয়ার কারসাজিতে ৩ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছিল।
এছাড়া ফরচুন সুজ লিমিটেডের শেয়ার নিয়ে কারসাজি করে হিরুর বাবা আবুল কালাম মাতবর ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
ঢাকা/এসআর