০৬:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪

আইসিটির বৈশ্বিক সূচকে অগ্রগতি বাংলাদেশের

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৩:৩৭:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / ৪১২৫ বার দেখা হয়েছে

কোভিড ১৯ মহামারিকালেও আইসিটি খাতে অগ্রগতির ধারা বজায় রেখেছে বাংলাদেশ। আগের বছরের তুলনায় গত বছর ব্রডব্যান্ড, ইন্টারনেট অব থিংস (আইওটি) এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) ক্ষেত্রে এগিয়েছে বাংলাদেশ।

ফলে সার্বিকভাবে ২০২০ সালে এ খাতে আরও তিন পয়েন্ট যোগ হয়েছে বাংলাদেশের খাতায়। বৈশ্বিক প্রযুক্তি জায়ান্ট হুয়াওয়ের ‘গ্লোবাল কানেক্টিভিটি ইনডেক্স ২০২০’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ চিত্র উঠে এসেছে।

সম্প্রতি ৭৯টি দেশের ডিজিটাল ক্ষেত্রে অবকাঠামো ও সক্ষমতার ওপর ভিত্তি করে এটি প্রকাশ করা হয়। এতে দেশ এবং শিল্পকে ডিজিটাল রূপান্তর সম্পর্কিত অনুমোদন, দিকনির্দেশনা দেওয়া এবং দেশগুলোর ডিজিটাল অগ্রগতির সঠিক মাত্রা তুলে ধরা হয়েছে।

২০১৫ সাল থেকে দেশগুলোতে সরবরাহ, চাহিদা, অভিজ্ঞতা এবং সম্ভাবনা-এই চার ক্ষেত্রের ৪০টি সূচকের ভিত্তিতে এই জিসিআই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে হুয়াওয়ে।

এতে দেশগুলোকে ফ্রন্টরানার, এডোপটার ও স্টার্টার, এই তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। বাংলাদেশ এই তালিকায় স্টার্টার গ্রুপে আছে। গত বছর এই স্টার্টার গ্রুপের দেশগুলোর গড় মোবাইল ব্রডব্যান্ড ব্যবহারের পরিমাণ আড়াইগুণ বেশি বেড়েছে, তাদের ৪জি সাবস্ক্রিপশন বেড়েছে এবং মোবাইল ব্রডব্যান্ড ২৫ শতাংশ বেশি সাশ্রয়ী হয়েছে।

এই অর্জনগুলো স্টার্টার দেশগুলোকে আরও ভালো ডিজিটাল পরিষেবা সরবরাহ করতে এবং অর্থনৈতিক বিকাশে নতুন সুযোগগুলো গ্রহণ করতে সক্ষম করেছে। পাশাপাশি, ই-কমার্সে তাদের ব্যয় ২০১৪ সাল থেকে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে। জিসিআই ২০১৯ প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই স্টার্টার দেশগুলোর মধ্যে মোবাইল ফিনান্সিয়াল ক্ষেত্রে টপ মুভার হিসেবে নিজের জায়গা করে নিয়েছিল বাংলাদেশ।

জিসিআই ২০২০ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৫ থেকে এই পর্যন্ত ‘গ্লোবাল কানেক্টিভিটি ইনডেক্স’ বা বৈশ্বিক সূচকে আট পয়েন্ট এগিয়েছে বাংলাদেশ। আর সেই ৪০টি সূচকের মধ্যে গত বছরের তুলনায় ২০২০ সালে আন্তর্জাতিক ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ, ৪জি সংযোগ বেড়েছে। পাশাপাশি এআই এবং আইওটি ক্ষেত্রে সম্ভাবনার হার বেড়েছে।

গবেষণায় এসেছে, যে দেশগুলো উৎপাদনশীলতা বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং ইন্টেলিজেন্ট কানেক্টিভিটিকে কাজে লাগিয়ে ডিজিটাল সেবা নিশ্চিত করতে পারে তারা অপেক্ষাকৃত বেশি সুফল পেয়ে থাকে। এটি সরাসরি মাথাপিছু আয়কে প্রভাবিত করে। যে সব দেশ ডিজিটাল অবকাঠামোর দিকে এগিয়ে আছে সেই দেশগুলো কোভিড সৃষ্ট অর্থনৈতিক মন্দা তাড়াতাড়ি কাটিয়ে উঠতে সক্ষম।

শেয়ার করুন

x

আইসিটির বৈশ্বিক সূচকে অগ্রগতি বাংলাদেশের

আপডেট: ০৩:৩৭:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১

কোভিড ১৯ মহামারিকালেও আইসিটি খাতে অগ্রগতির ধারা বজায় রেখেছে বাংলাদেশ। আগের বছরের তুলনায় গত বছর ব্রডব্যান্ড, ইন্টারনেট অব থিংস (আইওটি) এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) ক্ষেত্রে এগিয়েছে বাংলাদেশ।

ফলে সার্বিকভাবে ২০২০ সালে এ খাতে আরও তিন পয়েন্ট যোগ হয়েছে বাংলাদেশের খাতায়। বৈশ্বিক প্রযুক্তি জায়ান্ট হুয়াওয়ের ‘গ্লোবাল কানেক্টিভিটি ইনডেক্স ২০২০’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ চিত্র উঠে এসেছে।

সম্প্রতি ৭৯টি দেশের ডিজিটাল ক্ষেত্রে অবকাঠামো ও সক্ষমতার ওপর ভিত্তি করে এটি প্রকাশ করা হয়। এতে দেশ এবং শিল্পকে ডিজিটাল রূপান্তর সম্পর্কিত অনুমোদন, দিকনির্দেশনা দেওয়া এবং দেশগুলোর ডিজিটাল অগ্রগতির সঠিক মাত্রা তুলে ধরা হয়েছে।

২০১৫ সাল থেকে দেশগুলোতে সরবরাহ, চাহিদা, অভিজ্ঞতা এবং সম্ভাবনা-এই চার ক্ষেত্রের ৪০টি সূচকের ভিত্তিতে এই জিসিআই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে হুয়াওয়ে।

এতে দেশগুলোকে ফ্রন্টরানার, এডোপটার ও স্টার্টার, এই তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। বাংলাদেশ এই তালিকায় স্টার্টার গ্রুপে আছে। গত বছর এই স্টার্টার গ্রুপের দেশগুলোর গড় মোবাইল ব্রডব্যান্ড ব্যবহারের পরিমাণ আড়াইগুণ বেশি বেড়েছে, তাদের ৪জি সাবস্ক্রিপশন বেড়েছে এবং মোবাইল ব্রডব্যান্ড ২৫ শতাংশ বেশি সাশ্রয়ী হয়েছে।

এই অর্জনগুলো স্টার্টার দেশগুলোকে আরও ভালো ডিজিটাল পরিষেবা সরবরাহ করতে এবং অর্থনৈতিক বিকাশে নতুন সুযোগগুলো গ্রহণ করতে সক্ষম করেছে। পাশাপাশি, ই-কমার্সে তাদের ব্যয় ২০১৪ সাল থেকে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে। জিসিআই ২০১৯ প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই স্টার্টার দেশগুলোর মধ্যে মোবাইল ফিনান্সিয়াল ক্ষেত্রে টপ মুভার হিসেবে নিজের জায়গা করে নিয়েছিল বাংলাদেশ।

জিসিআই ২০২০ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৫ থেকে এই পর্যন্ত ‘গ্লোবাল কানেক্টিভিটি ইনডেক্স’ বা বৈশ্বিক সূচকে আট পয়েন্ট এগিয়েছে বাংলাদেশ। আর সেই ৪০টি সূচকের মধ্যে গত বছরের তুলনায় ২০২০ সালে আন্তর্জাতিক ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ, ৪জি সংযোগ বেড়েছে। পাশাপাশি এআই এবং আইওটি ক্ষেত্রে সম্ভাবনার হার বেড়েছে।

গবেষণায় এসেছে, যে দেশগুলো উৎপাদনশীলতা বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং ইন্টেলিজেন্ট কানেক্টিভিটিকে কাজে লাগিয়ে ডিজিটাল সেবা নিশ্চিত করতে পারে তারা অপেক্ষাকৃত বেশি সুফল পেয়ে থাকে। এটি সরাসরি মাথাপিছু আয়কে প্রভাবিত করে। যে সব দেশ ডিজিটাল অবকাঠামোর দিকে এগিয়ে আছে সেই দেশগুলো কোভিড সৃষ্ট অর্থনৈতিক মন্দা তাড়াতাড়ি কাটিয়ে উঠতে সক্ষম।