০৬:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

আজ ভাসানচর যাচ্ছেন ১৭৫৯ রোহিঙ্গা

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১২:৩৫:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ মার্চ ২০২১
  • / ৪১৫০ বার দেখা হয়েছে

পঞ্চম দফার দ্বিতীয় দিনে আরও এক হাজার ৭৫৯ জন রোহিঙ্গাকে স্থানান্তর করা হচ্ছে ভাসানচরে। আজ (বৃহস্পতিবার) সকাল সাড়ে ‌১০টায় নৌবাহিনীর ৫টি জাহাজ স্বেচ্ছায় স্থানান্তরিত হতে ইচ্ছুক বাংলাদেশে আশ্রিত এ রোহিঙ্গাদের নিয়ে চট্টগ্রামের বোট ক্লাবের জেটি ছেড়ে যায়। 

রোহিঙ্গাদের চট্টগ্রাম থেকে ভাসানচরে নিয়ে যাওয়ার সাথে সংশ্লিষ্টরা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে কক্সবাজারের ট্রানজিট ক্যাম্প থেকে তাদের নিয়ে আসা হয় চট্টগ্রামের পতেঙ্গায়।

রহিমা বেগম নামে এক রোহিঙ্গা নারী বলেন, ভাসানচরে যাওয়া রোহিঙ্গাদের মুখে সেখানকার উন্নত জীবন আর জীবিকার নিশ্চয়তার কথা শুনে ভাসানচরে যেতে উদ্বুদ্ধ হয়েছি।  ছেলে-মেয়েসহ তার পরিবারের পাঁচজন যাচ্ছেন ভাসানচর।  

সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, দুপুরের পর রোহিঙ্গাদের বহনকারী জাহাজটি ভাসানচরে পৌঁছালে প্রথমে তাদের নেওয়া হবে বেজ ক্যাম্পে। সেখানে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের সঙ্গে তাদের জন্য নির্ধারিত ঘরগুলো বুঝিয়ে দেওয়া হবে। আগামী তিন দিন তাদের রান্না করা খাবার সরবরাহ করা হবে। 

এর আগে গতকাল পঞ্চম দফার প্রথম দিনে ২২৬০ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হয়। তার আগে চতুর্থ দফায় ২০১২  জন রোহিঙ্গাকে নোয়াখালী জেলার হাতিয়ার ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হয়। গত ৪ ডিসেম্বর প্রথম দফায় এক হাজার ৬৪২ জন এবং ২৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফায় এক হাজার ৮০৪ জনকে ভাসানচার নেওয়া হয়। ২৮ ও ২৯ জানুয়ারি আরও প্রায় ৪ হাজার রোহিঙ্গা ভাসানচরে স্থানান্তরিত হয়েছেন।

স্বরাষ্ট্র এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গার সংখ্যা বর্তমানে ১১ লাখ ১৮ হাজার ৫৭৬ জন। এই হিসাব ২০২০ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত।

২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর থেকে বাংলাদেশে সাত লাখ ৪১ হাজার ৮৪১ জন মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিক বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছেন। কক্সবাজার জেলার টেকনাফ ও উখিয়া উপজেলার ৩৪টি অস্থায়ী শিবিরে তারা বসবাস করছে। প্রায় ১০ হাজার একর বন ও সমতল ভূমিতে তাদের বসবাস।

 

আরও পড়ুন:

শেয়ার করুন

x
English Version

আজ ভাসানচর যাচ্ছেন ১৭৫৯ রোহিঙ্গা

আপডেট: ১২:৩৫:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ মার্চ ২০২১

পঞ্চম দফার দ্বিতীয় দিনে আরও এক হাজার ৭৫৯ জন রোহিঙ্গাকে স্থানান্তর করা হচ্ছে ভাসানচরে। আজ (বৃহস্পতিবার) সকাল সাড়ে ‌১০টায় নৌবাহিনীর ৫টি জাহাজ স্বেচ্ছায় স্থানান্তরিত হতে ইচ্ছুক বাংলাদেশে আশ্রিত এ রোহিঙ্গাদের নিয়ে চট্টগ্রামের বোট ক্লাবের জেটি ছেড়ে যায়। 

রোহিঙ্গাদের চট্টগ্রাম থেকে ভাসানচরে নিয়ে যাওয়ার সাথে সংশ্লিষ্টরা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে কক্সবাজারের ট্রানজিট ক্যাম্প থেকে তাদের নিয়ে আসা হয় চট্টগ্রামের পতেঙ্গায়।

রহিমা বেগম নামে এক রোহিঙ্গা নারী বলেন, ভাসানচরে যাওয়া রোহিঙ্গাদের মুখে সেখানকার উন্নত জীবন আর জীবিকার নিশ্চয়তার কথা শুনে ভাসানচরে যেতে উদ্বুদ্ধ হয়েছি।  ছেলে-মেয়েসহ তার পরিবারের পাঁচজন যাচ্ছেন ভাসানচর।  

সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, দুপুরের পর রোহিঙ্গাদের বহনকারী জাহাজটি ভাসানচরে পৌঁছালে প্রথমে তাদের নেওয়া হবে বেজ ক্যাম্পে। সেখানে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের সঙ্গে তাদের জন্য নির্ধারিত ঘরগুলো বুঝিয়ে দেওয়া হবে। আগামী তিন দিন তাদের রান্না করা খাবার সরবরাহ করা হবে। 

এর আগে গতকাল পঞ্চম দফার প্রথম দিনে ২২৬০ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হয়। তার আগে চতুর্থ দফায় ২০১২  জন রোহিঙ্গাকে নোয়াখালী জেলার হাতিয়ার ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হয়। গত ৪ ডিসেম্বর প্রথম দফায় এক হাজার ৬৪২ জন এবং ২৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফায় এক হাজার ৮০৪ জনকে ভাসানচার নেওয়া হয়। ২৮ ও ২৯ জানুয়ারি আরও প্রায় ৪ হাজার রোহিঙ্গা ভাসানচরে স্থানান্তরিত হয়েছেন।

স্বরাষ্ট্র এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গার সংখ্যা বর্তমানে ১১ লাখ ১৮ হাজার ৫৭৬ জন। এই হিসাব ২০২০ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত।

২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর থেকে বাংলাদেশে সাত লাখ ৪১ হাজার ৮৪১ জন মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিক বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছেন। কক্সবাজার জেলার টেকনাফ ও উখিয়া উপজেলার ৩৪টি অস্থায়ী শিবিরে তারা বসবাস করছে। প্রায় ১০ হাজার একর বন ও সমতল ভূমিতে তাদের বসবাস।

 

আরও পড়ুন: