০৭:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

আন্দোলনের নামে বাড়াবাড়ি জনদুর্ভোগ বাড়াবে: প্রধানমন্ত্রী

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৪:৫৭:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২২
  • / ৪১৮৯ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বব্যাপী চলমান মন্দার কথা উল্লেখ করে বলেছেন, ‘গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় দেশে বিরোধীদের আন্দোলন হতে পারে। কিন্তু আন্দোলনের নামে বাড়াবাড়ি করে দেশের ক্ষতির পাশাপাশি মানুষের কষ্ট বাড়াবে।

আজ রোববার সকালে প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের আটটি বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদকদের সঙ্গে আলোচনাসভায় দেওয়া ভাষণে এ কথা বলেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অপজিশন-সহ নানা জনে নানা কথা বলবে, এর সুযোগ নেওয়ারও চেষ্টা করবে। কিন্তু তারা যদি এসব বেশি করতে যায় তাহলে এর প্রভাবেইতো মানুষের কষ্ট আরও বাড়বে। এটাও তাদের বোঝা উচিত।’ 

পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার সামর্থ্য সরকারের আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তারা (বিএনপি) আন্দোলন করে কতটুকু সফল হবে জানি না। কিন্তু তারা যেভাবে করতে চাচ্ছে তাতে দেশের জন্য আরও ক্ষতি হবে। কিন্তু সেটা আমরা সামাল দিতে পারব, সেই বিশ্বাস আমার আছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের বিরোধী দল একটা সুযোগ পাচ্ছে, তারা আন্দোলন করবে, করুক। আমি আজকেও নির্দেশ দিয়েছি— খবরদার যারা আন্দোলন করছে, তাদের কাউকে যেন গ্রেফতার করা না হয় বা ডিস্টার্ব করা না হয়। তারা প্রধানমন্ত্রীর অফিসও ঘেরাও দেবে, আমি বলেছি, হ্যাঁ, আসতে দেব। কেননা আমরা যে আন্তরিকতার সঙ্গে চেষ্টা করছি দেশের কাজ করতে, দেশের মানুষ তো সেটা জানে।

মানুষের কষ্ট যে হচ্ছে, সেটা তাঁর সরকার উপলদ্ধি করতে পারছে বলেই প্রতিনিয়ত সেই কষ্ট লাঘবের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমার সঙ্গে সঙ্গে এর দাম সমন্বয় করা হবে। একই সঙ্গে দেশের কয়লা-ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর উৎপাদন শুরু হলে বিদ্যুতের এই সমস্যা অনেকটাই দূর হয়ে যাবে বলেও প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, আর যখনই বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমবে, আমরা সাথে সাথেই অ্যাডজাস্ট করবো, সেটাও আমার নির্দেশ রয়ে গেছে।

সমসাময়িক সংকট কাটাতে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে বিদ্যুৎ ব্যবহারে মিতব্যয়ী হবার পাশাপাশি উৎপাদন কমিয়ে আনায় তাঁর সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, হয়তো আর কিছুদিন আমাদের কষ্ট করতে হবে। আমাদের কয়লা-ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর উৎপাদন শুরু হলে বিদ্যুতের এই সমস্যা অনেকটাই দূর হয়ে যাবে।

উৎপাদন বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা যেতে না যেতেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে স্যাংশন এবং পাল্টা স্যাংশন জনজীবনে সর্বনাশ ডেকে আনছে, যার ভুক্তভোগী হচ্ছে সারা বিশ্বের সাধারণ জনগণ।

তিনি বলেন, আমেরিকা স্যাংশন দিল রাশিয়াকে শায়েস্তা করার জন্য, দেখা যাচ্ছে যে, শায়েস্তা হচ্ছে সাধারণ মানুষ। শুধু আমাদের দেশ বলে নয়, ইউরোপের দেশগুলো এমনকি আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য থেকে শুরু করে দক্ষিণ এশিয়া, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া-প্রত্যেকটি মহাদেশের মানুষেরই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সব জিনিষের ওপরই এর একটা প্রভাব পড়েছে।

প্রধানমন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, স্যাংশন দিয়ে লাভটা কী হলো? বাস্তবিক যদি লাভ কারো হয় তাহলে সেটা আমেরিকা এবং রাশিয়ারই হয়েছে। কেননা বিশ্ববাজারে ডলার এবং রুবেলের মূল্যবৃদ্ধি ঘটেছে। তবে মরছে সাধারণ মানুষ।

অসাধু ব্যবসায়ীদের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আর আমাদের কিছু লোক তো থাকেই অপ্রয়োজনেও জিনিসের দাম বাড়িয়ে দেয়; ওই ছুতা ধরে—সেটাই হচ্ছে কিছু কিছু। না হলে এত দাম তো বাড়ার কথা নয় প্রত্যেকটা জিনিসের।

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

x
English Version

আন্দোলনের নামে বাড়াবাড়ি জনদুর্ভোগ বাড়াবে: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট: ০৪:৫৭:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বব্যাপী চলমান মন্দার কথা উল্লেখ করে বলেছেন, ‘গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় দেশে বিরোধীদের আন্দোলন হতে পারে। কিন্তু আন্দোলনের নামে বাড়াবাড়ি করে দেশের ক্ষতির পাশাপাশি মানুষের কষ্ট বাড়াবে।

আজ রোববার সকালে প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের আটটি বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদকদের সঙ্গে আলোচনাসভায় দেওয়া ভাষণে এ কথা বলেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অপজিশন-সহ নানা জনে নানা কথা বলবে, এর সুযোগ নেওয়ারও চেষ্টা করবে। কিন্তু তারা যদি এসব বেশি করতে যায় তাহলে এর প্রভাবেইতো মানুষের কষ্ট আরও বাড়বে। এটাও তাদের বোঝা উচিত।’ 

পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার সামর্থ্য সরকারের আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তারা (বিএনপি) আন্দোলন করে কতটুকু সফল হবে জানি না। কিন্তু তারা যেভাবে করতে চাচ্ছে তাতে দেশের জন্য আরও ক্ষতি হবে। কিন্তু সেটা আমরা সামাল দিতে পারব, সেই বিশ্বাস আমার আছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের বিরোধী দল একটা সুযোগ পাচ্ছে, তারা আন্দোলন করবে, করুক। আমি আজকেও নির্দেশ দিয়েছি— খবরদার যারা আন্দোলন করছে, তাদের কাউকে যেন গ্রেফতার করা না হয় বা ডিস্টার্ব করা না হয়। তারা প্রধানমন্ত্রীর অফিসও ঘেরাও দেবে, আমি বলেছি, হ্যাঁ, আসতে দেব। কেননা আমরা যে আন্তরিকতার সঙ্গে চেষ্টা করছি দেশের কাজ করতে, দেশের মানুষ তো সেটা জানে।

মানুষের কষ্ট যে হচ্ছে, সেটা তাঁর সরকার উপলদ্ধি করতে পারছে বলেই প্রতিনিয়ত সেই কষ্ট লাঘবের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমার সঙ্গে সঙ্গে এর দাম সমন্বয় করা হবে। একই সঙ্গে দেশের কয়লা-ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর উৎপাদন শুরু হলে বিদ্যুতের এই সমস্যা অনেকটাই দূর হয়ে যাবে বলেও প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, আর যখনই বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমবে, আমরা সাথে সাথেই অ্যাডজাস্ট করবো, সেটাও আমার নির্দেশ রয়ে গেছে।

সমসাময়িক সংকট কাটাতে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে বিদ্যুৎ ব্যবহারে মিতব্যয়ী হবার পাশাপাশি উৎপাদন কমিয়ে আনায় তাঁর সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, হয়তো আর কিছুদিন আমাদের কষ্ট করতে হবে। আমাদের কয়লা-ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর উৎপাদন শুরু হলে বিদ্যুতের এই সমস্যা অনেকটাই দূর হয়ে যাবে।

উৎপাদন বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা যেতে না যেতেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে স্যাংশন এবং পাল্টা স্যাংশন জনজীবনে সর্বনাশ ডেকে আনছে, যার ভুক্তভোগী হচ্ছে সারা বিশ্বের সাধারণ জনগণ।

তিনি বলেন, আমেরিকা স্যাংশন দিল রাশিয়াকে শায়েস্তা করার জন্য, দেখা যাচ্ছে যে, শায়েস্তা হচ্ছে সাধারণ মানুষ। শুধু আমাদের দেশ বলে নয়, ইউরোপের দেশগুলো এমনকি আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য থেকে শুরু করে দক্ষিণ এশিয়া, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া-প্রত্যেকটি মহাদেশের মানুষেরই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সব জিনিষের ওপরই এর একটা প্রভাব পড়েছে।

প্রধানমন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, স্যাংশন দিয়ে লাভটা কী হলো? বাস্তবিক যদি লাভ কারো হয় তাহলে সেটা আমেরিকা এবং রাশিয়ারই হয়েছে। কেননা বিশ্ববাজারে ডলার এবং রুবেলের মূল্যবৃদ্ধি ঘটেছে। তবে মরছে সাধারণ মানুষ।

অসাধু ব্যবসায়ীদের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আর আমাদের কিছু লোক তো থাকেই অপ্রয়োজনেও জিনিসের দাম বাড়িয়ে দেয়; ওই ছুতা ধরে—সেটাই হচ্ছে কিছু কিছু। না হলে এত দাম তো বাড়ার কথা নয় প্রত্যেকটা জিনিসের।

ঢাকা/টিএ