০৪:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

আবারও বাখমুতের দিকে এগুচ্ছে রুশ বাহিনী

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১১:৫১:২৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩
  • / ৪২০৯ বার দেখা হয়েছে

ইউক্রেনের সেনাদের তীব্র প্রতিরোধের কারণে প্রায় ১০ মাস চেষ্টা করেও ডনবাসের বাখমুত শহর দখল করতে পারেনি রাশিয়ার সেনারা। এ কারণে কয়েকদিন আগে শহরটিতে হামলা চালানো কমিয়ে দেয় তারা। তবে বাখমুত শহরে আবারও অভিযান শুরু করেছে রুশ বাহিনী।

ইউক্রেনের সেনাবাহিনী স্বীকার করেছে রাশিয়ার সেনারা বাখমুতের কিছু জায়গায় আরও সামনের দিকে এগিয়ে এসেছে।ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার সন্ধ্যার দিকে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী জানিয়েছে বাখমুতের সম্মুখভাগে কিছু সাফল্য পেয়েছে রাশিয়া। তবে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী সঙ্গে দাবি করেছে, তাদের সেনারা এখনো শহরটির নিয়ন্ত্রণ নিজেদের দখলে রেখেছে।

রাশিয়ার চলমান সামরিক আগ্রাসনে, প্রাকৃতিক সম্পদ সমৃদ্ধ বাখমুত শহর ঘিরে সবচেয়ে দীর্ঘ যুদ্ধ হয়েছে। শিল্প সমৃদ্ধ দোনেৎস্কের এই শহরটিতে দুই দেশের কেউই পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ স্থাপন করতে পারেনি। তবে এ লড়াইয়ে মানব সম্পদ, সেনাসহ সব দিক দিয়েই উভয়ে বড় ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে।

রুশ বাহিনীর সাফল্যের ব্যাপারে ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর জেনারেল স্টাফ বলেছেন, ‘শত্রু বাহিনী বাখমুত শহরে কিছুটা সাফল্য পেয়েছে। কিন্তু আমাদের সেনারা শহরটি রক্ষা করছে এবং শত্রুদের অসংখ্য হামলা প্রতিহত করছে।’

আরও পড়ুন: ইমরান খানের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

তবে গত কয়েকদিনের তুলনায় বাখমুতে রুশ হামলা অনেকটাই কমে গেছে। ইউক্রেনের জেনারেল স্টাফ জানিয়েছেন, মার্চের শুরু থেকে হামলার তীব্রতা টানা চার সপ্তাহ ধরে কমেছে। গত সপ্তাহে রুশ সেনারা বাখমুতকে লক্ষ্য করে প্রতিদিন গড়ে ৬৯ বার হামলা চালিয়েছে। মার্চের প্রথম সপ্তাহে তাদের গড় হামলার পরিমাণ ছিল ১২৪ বার। কিন্তু বুধবার বাখমুতে মাত্র ৫৭ বার হামলা করেছে তারা। বাখমুতের কাছে অবস্থানরত রয়টার্সের সাংবাদিকরাও জানিয়েছেন, গত কয়েকদিনে হামলার তীব্রতা অনেকটাই কমে এসেছে।

তবে রাশিয়া জানিয়েছে, তারা এখন শহুরে যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে। এর মাধ্যমে ধীরে ধীরে অলি-গলিতে লড়াইয়ের মাধ্যমে একটি একটি করে স্থান দখল করা হচ্ছে। সূত্র: রয়টার্স

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x
English Version

আবারও বাখমুতের দিকে এগুচ্ছে রুশ বাহিনী

আপডেট: ১১:৫১:২৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩

ইউক্রেনের সেনাদের তীব্র প্রতিরোধের কারণে প্রায় ১০ মাস চেষ্টা করেও ডনবাসের বাখমুত শহর দখল করতে পারেনি রাশিয়ার সেনারা। এ কারণে কয়েকদিন আগে শহরটিতে হামলা চালানো কমিয়ে দেয় তারা। তবে বাখমুত শহরে আবারও অভিযান শুরু করেছে রুশ বাহিনী।

ইউক্রেনের সেনাবাহিনী স্বীকার করেছে রাশিয়ার সেনারা বাখমুতের কিছু জায়গায় আরও সামনের দিকে এগিয়ে এসেছে।ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার সন্ধ্যার দিকে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী জানিয়েছে বাখমুতের সম্মুখভাগে কিছু সাফল্য পেয়েছে রাশিয়া। তবে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী সঙ্গে দাবি করেছে, তাদের সেনারা এখনো শহরটির নিয়ন্ত্রণ নিজেদের দখলে রেখেছে।

রাশিয়ার চলমান সামরিক আগ্রাসনে, প্রাকৃতিক সম্পদ সমৃদ্ধ বাখমুত শহর ঘিরে সবচেয়ে দীর্ঘ যুদ্ধ হয়েছে। শিল্প সমৃদ্ধ দোনেৎস্কের এই শহরটিতে দুই দেশের কেউই পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ স্থাপন করতে পারেনি। তবে এ লড়াইয়ে মানব সম্পদ, সেনাসহ সব দিক দিয়েই উভয়ে বড় ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে।

রুশ বাহিনীর সাফল্যের ব্যাপারে ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর জেনারেল স্টাফ বলেছেন, ‘শত্রু বাহিনী বাখমুত শহরে কিছুটা সাফল্য পেয়েছে। কিন্তু আমাদের সেনারা শহরটি রক্ষা করছে এবং শত্রুদের অসংখ্য হামলা প্রতিহত করছে।’

আরও পড়ুন: ইমরান খানের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

তবে গত কয়েকদিনের তুলনায় বাখমুতে রুশ হামলা অনেকটাই কমে গেছে। ইউক্রেনের জেনারেল স্টাফ জানিয়েছেন, মার্চের শুরু থেকে হামলার তীব্রতা টানা চার সপ্তাহ ধরে কমেছে। গত সপ্তাহে রুশ সেনারা বাখমুতকে লক্ষ্য করে প্রতিদিন গড়ে ৬৯ বার হামলা চালিয়েছে। মার্চের প্রথম সপ্তাহে তাদের গড় হামলার পরিমাণ ছিল ১২৪ বার। কিন্তু বুধবার বাখমুতে মাত্র ৫৭ বার হামলা করেছে তারা। বাখমুতের কাছে অবস্থানরত রয়টার্সের সাংবাদিকরাও জানিয়েছেন, গত কয়েকদিনে হামলার তীব্রতা অনেকটাই কমে এসেছে।

তবে রাশিয়া জানিয়েছে, তারা এখন শহুরে যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে। এর মাধ্যমে ধীরে ধীরে অলি-গলিতে লড়াইয়ের মাধ্যমে একটি একটি করে স্থান দখল করা হচ্ছে। সূত্র: রয়টার্স

ঢাকা/এসএ