০৪:২৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪

আমরা এখনও অর্থনীতিকে গতিশীল রেখেছি: প্রধানমন্ত্রী

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০১:২৬:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ৪২০৭ বার দেখা হয়েছে

প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘করোনা মহামারি, বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দা তার ওপর ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ যার ফলে আজ সারাবিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিয়েছে। পরিবহন খরচ বেড়েছে, পণ্যমূল্য বেড়েছে, প্রতিটি জিনিসের মূল্য আজ ধরাছোঁয়ার বাইরে। অনেক উন্নত দেশ হিমশিম খাচ্ছে, আমাদের দেশে এখনও অর্থনীতিকে গতিশীল রাখতে সক্ষম হয়েছি।’

মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টা ২১ মিনিটে তিনি সেনানিবাস উদ্বোধন করেন। এর আগে বেলা ১১টার দিকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকা থেকে তিনি মিঠামইনে পৌঁছান তিনি। কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হামিদ সেনানিবাসের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে সশ্রস্ত্র বাহিনী গড়ে উঠেছে। আমরা সেনানিবাসের আধুনিকায়নে কাজ করে যাচ্ছি। এই সেনানিবাস হাওর এলাকার নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমি মনে করি। এই সেনানিবাসে স্কুল হবে, কলেজ হবে, চিকিৎসার কেন্দ্র হবে। এরই মধ্যে রাস্তাঘাট করে দিয়েছি এবং নির্দেশ দিয়েছি যে, প্রতিটি হাওর অঞ্চল, বিল, জলাভূমি অঞ্চলে প্রতিটি রাস্তা হবে এলিভেটেড। এর ফলে বর্ষাকালে পানি চলাচল অব্যাহত থাকবে। মাছ চলাচলে ব্যাঘাত ঘটবে না। নৌকা চলাচল অব্যাহত থাকবে। আবার মানুষের যোগাযোগ সুবিধা হবে।’

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি সবার কাছে আহ্বান করেছি যেহেতু খাদ্যপণ্যের মূল্য বেড়ে গেছে এক ইঞ্চি জায়গাও আমরা অনাবাদি রাখবো না। সব অনাবাদি জমি আমরা আবাদের আওতায় আনবো।’

তিনি বলেন, গত ১৪ বছরে দেশের যে উন্নয়ন হয়েছে তা আগের ২৯ বছরেও হয়নি। গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত থাকার কারণেই এমন উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা চাই বাংলাদেশ আরো উন্নত হবে। মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী গড়ে উঠেছে। স্বাধীন বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলাই ছিল জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের লক্ষ্য। ১৯৭৪ সালে তিনি প্রতিরক্ষা নীতিমালা করে দিয়ে যান। আমরা তারই ভিত্তিতে ফোর্সেস গোল্ড ২০৩০ প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। আমরা সেনাবাহিনীর সাংগঠনিক কাঠামো পুনর্বিন্যাস করেছি। আমরা সেনাবাহিনীর আধুনিকায়নে সর্বত্র কাজ করে যাচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘মিঠামইন, অষ্টগ্রামসহ প্রতিটা হাওর অঞ্চল বর্ষাকালে ছোট ছোট দ্বীপের মতো হয়ে যায়। শীতকালে এটা বোঝার উপায় নেই। এখন দেখছি ফসলে ভরে গেছে, রাস্তা আছে, কিন্তু বর্ষাকালে ভিন্ন চেহারা। এই অঞ্চলের মানুষের প্রতিদিন জীবনযুদ্ধে লড়াই করতে হয়।’

আরও পড়ুন: প্রাথমিকে বৃত্তি পেল ৮২ হাজার ৩৮৩ জন

সরকারপ্রধান বলেন, ‌‘বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদ, যিনি রাষ্ট্রপতি, তিনি এই অঞ্চল থেকে বার বার নির্বাচিত হয়েছেন। এই দুর্গম অঞ্চলে মানুষের পাশে থাকা, তাদের সুখ দুঃখের সঙ্গী হওয়া, তাদের ভাগ্য পরিবর্তন করার জন্য তিনি নিরলস পরিশ্রম করে গেছেন। তিনি যখন রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন তখন তিনি ইচ্ছা পোষণ করেছিলেন এই অঞ্চলে একটা সেনানিবাস করার। তার উদ্দেশ্য হলো সেনানিবাস হলে এই অঞ্চলের মানুষের সার্বিক উন্নয়নে অবদান রাখতে পারবে। তার ইচ্ছা অনুযায়ী এই সেনানিবাসটা আমরা গঠন করেছি। তার নামেই সেনানিবাস উৎসর্গ করেছি।’

এরপর দুপুর ৩টায় মিঠামইন সদরের হেলিপ্যাড মাঠে আয়োজিত সুধী সমাবেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সমাবেশ শেষে প্রধানমন্ত্রী হেলিকপ্টারযোগে ঢাকার উদ্দেশে মিঠামইন ছেড়ে যাবেন।

প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে হাওরের প্রতিটি প্রবেশপথ ও পয়েন্ট। হাওরে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নসহ দেশের বিভিন্ন উন্নয়ন চিত্রের মাধ্যমে সাজানো হয়েছে। সর্বত্র শোভা পাচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি সম্বলিত সরকারে উন্নয়ন চিত্রের বিভিন্ন ব্যানার-ফেস্টুন। প্রধানমন্ত্রীর আগমন ও জনসভাকে কেন্দ্র করে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে হাওর জনপদে।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x

আমরা এখনও অর্থনীতিকে গতিশীল রেখেছি: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট: ০১:২৬:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘করোনা মহামারি, বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দা তার ওপর ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ যার ফলে আজ সারাবিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিয়েছে। পরিবহন খরচ বেড়েছে, পণ্যমূল্য বেড়েছে, প্রতিটি জিনিসের মূল্য আজ ধরাছোঁয়ার বাইরে। অনেক উন্নত দেশ হিমশিম খাচ্ছে, আমাদের দেশে এখনও অর্থনীতিকে গতিশীল রাখতে সক্ষম হয়েছি।’

মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টা ২১ মিনিটে তিনি সেনানিবাস উদ্বোধন করেন। এর আগে বেলা ১১টার দিকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকা থেকে তিনি মিঠামইনে পৌঁছান তিনি। কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হামিদ সেনানিবাসের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে সশ্রস্ত্র বাহিনী গড়ে উঠেছে। আমরা সেনানিবাসের আধুনিকায়নে কাজ করে যাচ্ছি। এই সেনানিবাস হাওর এলাকার নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমি মনে করি। এই সেনানিবাসে স্কুল হবে, কলেজ হবে, চিকিৎসার কেন্দ্র হবে। এরই মধ্যে রাস্তাঘাট করে দিয়েছি এবং নির্দেশ দিয়েছি যে, প্রতিটি হাওর অঞ্চল, বিল, জলাভূমি অঞ্চলে প্রতিটি রাস্তা হবে এলিভেটেড। এর ফলে বর্ষাকালে পানি চলাচল অব্যাহত থাকবে। মাছ চলাচলে ব্যাঘাত ঘটবে না। নৌকা চলাচল অব্যাহত থাকবে। আবার মানুষের যোগাযোগ সুবিধা হবে।’

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি সবার কাছে আহ্বান করেছি যেহেতু খাদ্যপণ্যের মূল্য বেড়ে গেছে এক ইঞ্চি জায়গাও আমরা অনাবাদি রাখবো না। সব অনাবাদি জমি আমরা আবাদের আওতায় আনবো।’

তিনি বলেন, গত ১৪ বছরে দেশের যে উন্নয়ন হয়েছে তা আগের ২৯ বছরেও হয়নি। গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত থাকার কারণেই এমন উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা চাই বাংলাদেশ আরো উন্নত হবে। মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী গড়ে উঠেছে। স্বাধীন বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলাই ছিল জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের লক্ষ্য। ১৯৭৪ সালে তিনি প্রতিরক্ষা নীতিমালা করে দিয়ে যান। আমরা তারই ভিত্তিতে ফোর্সেস গোল্ড ২০৩০ প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। আমরা সেনাবাহিনীর সাংগঠনিক কাঠামো পুনর্বিন্যাস করেছি। আমরা সেনাবাহিনীর আধুনিকায়নে সর্বত্র কাজ করে যাচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘মিঠামইন, অষ্টগ্রামসহ প্রতিটা হাওর অঞ্চল বর্ষাকালে ছোট ছোট দ্বীপের মতো হয়ে যায়। শীতকালে এটা বোঝার উপায় নেই। এখন দেখছি ফসলে ভরে গেছে, রাস্তা আছে, কিন্তু বর্ষাকালে ভিন্ন চেহারা। এই অঞ্চলের মানুষের প্রতিদিন জীবনযুদ্ধে লড়াই করতে হয়।’

আরও পড়ুন: প্রাথমিকে বৃত্তি পেল ৮২ হাজার ৩৮৩ জন

সরকারপ্রধান বলেন, ‌‘বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদ, যিনি রাষ্ট্রপতি, তিনি এই অঞ্চল থেকে বার বার নির্বাচিত হয়েছেন। এই দুর্গম অঞ্চলে মানুষের পাশে থাকা, তাদের সুখ দুঃখের সঙ্গী হওয়া, তাদের ভাগ্য পরিবর্তন করার জন্য তিনি নিরলস পরিশ্রম করে গেছেন। তিনি যখন রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন তখন তিনি ইচ্ছা পোষণ করেছিলেন এই অঞ্চলে একটা সেনানিবাস করার। তার উদ্দেশ্য হলো সেনানিবাস হলে এই অঞ্চলের মানুষের সার্বিক উন্নয়নে অবদান রাখতে পারবে। তার ইচ্ছা অনুযায়ী এই সেনানিবাসটা আমরা গঠন করেছি। তার নামেই সেনানিবাস উৎসর্গ করেছি।’

এরপর দুপুর ৩টায় মিঠামইন সদরের হেলিপ্যাড মাঠে আয়োজিত সুধী সমাবেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সমাবেশ শেষে প্রধানমন্ত্রী হেলিকপ্টারযোগে ঢাকার উদ্দেশে মিঠামইন ছেড়ে যাবেন।

প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে হাওরের প্রতিটি প্রবেশপথ ও পয়েন্ট। হাওরে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নসহ দেশের বিভিন্ন উন্নয়ন চিত্রের মাধ্যমে সাজানো হয়েছে। সর্বত্র শোভা পাচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি সম্বলিত সরকারে উন্নয়ন চিত্রের বিভিন্ন ব্যানার-ফেস্টুন। প্রধানমন্ত্রীর আগমন ও জনসভাকে কেন্দ্র করে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে হাওর জনপদে।

ঢাকা/এসএ