০৩:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

আস্থা হারিয়ে ৩৫ হাজার বিনিয়োগকারীর শেয়ার শুন্য!

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০২:৫৭:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ মে ২০২২
  • / ৪১০৪ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ছবি

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে টানা দরপতনের মধ্যে আস্থা হারিয়ে ৩৫ হাজার বেনিফিশিয়ারি হিসাবধারী (বিও) বিনিয়োগকারী তাদের শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন। সেন্ট্রাল ডিপোজেটরি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল) সূত্রে জানা গেছে, ঈদের পর এই ৩৫ হাজার বিনিয়োগকারী তাদের পোর্টফোলিতে থাকা সব শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন।

সিডিবিএলের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, এসব বিনিয়োগকারীর মধ্যে সিংহভাগই পুঁজিবাজারের সক্রিয় বিনিয়োগকারী। তারা এর আগে তাদের পোর্টফোলিওতে থাকা শেয়ার এভাবে খালি করে বিক্রি করেননি। কিন্তু ঈদের পর তাদের পোর্টফোলিও খালি করে দিয়েছেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এসব বিনিয়োগকারীরা তাদের পোর্টফোলিওতে থাকা শেয়ার হয়তো বর্তমানের দামের চেয়ে কম দরে বিক্রি করেছেন। কিন্তু সেসব শেয়ার যদি এখন কিনতে চান, তাহলে চাঙ্গা বাজারে গড়ে বেশি দরে কিনতে হবে। ফলেঊর্ধ্বমুখী তাদেরকে লোকসান দিয়ে বিক্রি করা সেসব শেয়ার সংগ্রহ করতে হবে। এরমধ্যে যারা দুই-তিন দিনের মধ্যে শেয়ার বিক্রি করেছেন, তাদেরকে ক্ষতি বহন করতে হবে বেশি।

সিডিবিএল আরও জানায়, ঈদের আগের কর্মদিবস থেকে ২১ মে পর্যন্ত পুঁজিবাজারে নতুন করে ৩৮ হাজার হিসাবধারী বিনিয়োগকারী নিষ্ক্রিয় হয়ে রয়েছেন। এই সময়ে তারা তাদের পোর্টফোলিওতে কোন শেয়ার কেনা-বেচা করেননি।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এটিও বাজারের জন্য ইতিবাচক দিক। কারণ চাঙ্গাবাজারে এসব নিষ্ক্রিয় বিনিয়োগকারী সক্রিয় হতে চাইবেন। এই মূহুর্তে যদি ৩৮ হাজার নিষ্ক্রিয় বিনিয়োগকারী সক্রিয় হন, তাহলে বাজারে লেনদেনে ও শেয়ারদরে অবশ্যই ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।

সিডিবিএলের সর্বশেষ তথ্যমতে, ঈদের আগের সর্বশেষ কর্মদিবস পর্যন্ত বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব সংখ্যা ছিল ২০ লাখ ৭৯ হাজার ২১৫টি। এর মধ্যে সক্রিয় বিনিয়োগকারীদের বিও সংখ্যা ছিল ১৫ লাখ ৯ হাজারটি। সেখান থেকে ৩৭ হাজার ২৪৩টি কমে সর্বশেষ ২১ মে দাঁড়িয়েছে ১৪ লাখ ৭১ হাজারটিতে। এর মধ্যে ঈদ পরবর্তী কর্মদিবস ৪ মে থেকে ২১ মে পর্যন্ত মোট ১০ কর্মদিবসে প্রায় ৩৫ হাজার বিওধারী সব শেয়ার বিক্রি করে বাজার ছেড়েছেন।

অপরদিকে এই সময়ে নতুন করে ৩৮ হাজার ৫৪১টি বিওধারী বিনিয়োগকারী নিষ্ক্রিয় হয়েছেন। ফলে নিষ্ক্রিয় বিওধারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৯১ হাজারটিতে। অর্থাৎ ২০ লাখ ৮১ হাজার বিওধারীর মধ্যে ৪ লাখ ৯১ হাজারটি নিষ্ক্রিয়। যা শতাংশের হিসেবে ২৪ শতাংশ।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x
English Version

আস্থা হারিয়ে ৩৫ হাজার বিনিয়োগকারীর শেয়ার শুন্য!

আপডেট: ০২:৫৭:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ মে ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে টানা দরপতনের মধ্যে আস্থা হারিয়ে ৩৫ হাজার বেনিফিশিয়ারি হিসাবধারী (বিও) বিনিয়োগকারী তাদের শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন। সেন্ট্রাল ডিপোজেটরি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল) সূত্রে জানা গেছে, ঈদের পর এই ৩৫ হাজার বিনিয়োগকারী তাদের পোর্টফোলিতে থাকা সব শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন।

সিডিবিএলের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, এসব বিনিয়োগকারীর মধ্যে সিংহভাগই পুঁজিবাজারের সক্রিয় বিনিয়োগকারী। তারা এর আগে তাদের পোর্টফোলিওতে থাকা শেয়ার এভাবে খালি করে বিক্রি করেননি। কিন্তু ঈদের পর তাদের পোর্টফোলিও খালি করে দিয়েছেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এসব বিনিয়োগকারীরা তাদের পোর্টফোলিওতে থাকা শেয়ার হয়তো বর্তমানের দামের চেয়ে কম দরে বিক্রি করেছেন। কিন্তু সেসব শেয়ার যদি এখন কিনতে চান, তাহলে চাঙ্গা বাজারে গড়ে বেশি দরে কিনতে হবে। ফলেঊর্ধ্বমুখী তাদেরকে লোকসান দিয়ে বিক্রি করা সেসব শেয়ার সংগ্রহ করতে হবে। এরমধ্যে যারা দুই-তিন দিনের মধ্যে শেয়ার বিক্রি করেছেন, তাদেরকে ক্ষতি বহন করতে হবে বেশি।

সিডিবিএল আরও জানায়, ঈদের আগের কর্মদিবস থেকে ২১ মে পর্যন্ত পুঁজিবাজারে নতুন করে ৩৮ হাজার হিসাবধারী বিনিয়োগকারী নিষ্ক্রিয় হয়ে রয়েছেন। এই সময়ে তারা তাদের পোর্টফোলিওতে কোন শেয়ার কেনা-বেচা করেননি।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এটিও বাজারের জন্য ইতিবাচক দিক। কারণ চাঙ্গাবাজারে এসব নিষ্ক্রিয় বিনিয়োগকারী সক্রিয় হতে চাইবেন। এই মূহুর্তে যদি ৩৮ হাজার নিষ্ক্রিয় বিনিয়োগকারী সক্রিয় হন, তাহলে বাজারে লেনদেনে ও শেয়ারদরে অবশ্যই ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।

সিডিবিএলের সর্বশেষ তথ্যমতে, ঈদের আগের সর্বশেষ কর্মদিবস পর্যন্ত বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব সংখ্যা ছিল ২০ লাখ ৭৯ হাজার ২১৫টি। এর মধ্যে সক্রিয় বিনিয়োগকারীদের বিও সংখ্যা ছিল ১৫ লাখ ৯ হাজারটি। সেখান থেকে ৩৭ হাজার ২৪৩টি কমে সর্বশেষ ২১ মে দাঁড়িয়েছে ১৪ লাখ ৭১ হাজারটিতে। এর মধ্যে ঈদ পরবর্তী কর্মদিবস ৪ মে থেকে ২১ মে পর্যন্ত মোট ১০ কর্মদিবসে প্রায় ৩৫ হাজার বিওধারী সব শেয়ার বিক্রি করে বাজার ছেড়েছেন।

অপরদিকে এই সময়ে নতুন করে ৩৮ হাজার ৫৪১টি বিওধারী বিনিয়োগকারী নিষ্ক্রিয় হয়েছেন। ফলে নিষ্ক্রিয় বিওধারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৯১ হাজারটিতে। অর্থাৎ ২০ লাখ ৮১ হাজার বিওধারীর মধ্যে ৪ লাখ ৯১ হাজারটি নিষ্ক্রিয়। যা শতাংশের হিসেবে ২৪ শতাংশ।

ঢাকা/এসএ