০৭:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

ইবিএল সিকিউরিটিজের বিরুদ্ধে শেয়ারবাজারে পেনিক সৃষ্টির অভিযোগ

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৩:৫০:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ অগাস্ট ২০২২
  • / ৪৩০৩ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: ইবিএল সিকিউরিটিজ লিমিটেডের গ্রাহকের মোবাইলে মিথ্যা তথ্য পাঠিয়ে পেনিক সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ করেছেন মো. আলমাস হোসেন তুহিন নামে প্রতিষ্ঠানটির একজন বিনিয়োগকারী। তার অভিযোগ, ইবিএল সিকিউরিটিজ উদ্দেশ্যমূলকভাবে শেয়ার মার্কেট ধ্বংসের ষড়যন্ত্রের নীলকশা বাস্তবায়ন করার লক্ষে প্রাহকের মোবাইলে মিথ্যা তথ্য পাঠাচ্ছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব 

বুধবার (২৪ আগস্ট) পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) তিনি লিখিত অভিযোগ দেয়। বিএসইসির একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বরাবর পাঠানো অভিযোগে গ্রাহক আলমাস হোসেন তুহিন বলেন, মিথ্যা তথ্য পাঠিয়ে পেনিক সৃষ্টির ফলে তিনদিনে তার প্রায় চার লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। তদন্ত করে প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিও জানায় এই গ্রাহক।

লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, আমার গ্রাহক আইডি নং- ৪৬০৯৮। গত ১৭ আগস্ট এই একাউন্টে থাকা শেয়ারের বাজার মূল্য ছিলো ৪২ লাখ ১৩ হাজার টাকা। এই সপ্তাহের শুরুতে অর্থাৎ ২১ আগস্ট হতে ইবিএল সিকিউরিটিজ লিমিটেড পরিকল্পিতভাবে পর্যাক্রমে গ্রাহকদের মোবাইলে “Lock in Information of the SME Bord Companies” শিরোনামে ১০টি কোম্পানির শেয়ার সংখ্যা সংক্রান্ত মিথ্যা তথ্য পাঠায়। পরেরদিন এই এসএমএস আমার মোবাইলেও পাঠায়। যা মিথ্যা। উদেশ্য প্রণোদিত মিথ্যা তথ্যের কারণে পেনিক হয়ে স্কুদ্র বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শেয়ার বিক্রির হিড়িক পড়ায় শেয়ারের দর পতন ঘটতে থাকে এবং গত তিন কর্মদিবসে বর্ণিত একাউন্টে শেয়ারের বাজার মূল্য ৩৮ লাখ ১৭ হাজার টাকা দাঁড়ায়। অর্থাৎ ৩ লাখ ৯৬ হাজার টাকা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি। সাথে মানবিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি যা অপূরণীয় ক্ষতি। 

অভিযোগে বলা হয়, উক্ত ১০ টি কোম্পানির মধ্যে একটি কোম্পানির শেয়ার সংখ্যা বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে, KBSEED-এর প্রকৃত শেয়ার সংখ্যা ৩ কোটি। ডিরেক্টর হোল্ডিং ৫০ দশমিক ২০ শতাংশ এবং ইনস্টিটিউট হোল্ডিং ১১ দশমিক ১৩ শতাংশ।

অভিযোগপত্রে তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, এই দুই ভাগ মিলে শেয়ার সংখ্যা দাঁড়ায় এক কোটি ৮৩ লাখ ৯৯ হাজার। তাহলে কীভাবে এক কোটি ৮৪ লাখ শেয়ার লকইন শেয়ার আছে? আর ডিরেক্টরদের এক সাথে সব শেয়ার সেল করার সুযোগ নাই। কী কারণে ডিরেক্টরদের শেয়ারগুলো অর্থাৎ কোম্পানির সকল শেয়ার কথিত তারিখে বিক্রয়যোগ্য দেখানো হয়েছে? ডিরেক্টরদের সকল শেয়ার একসাথে বিক্রির সুযোগ কি বিএসইসি দিয়েছে? 

এতে বলা হয়, এভাবে প্রতিটি কোম্পানির শেয়ার সংখ্যা বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় অসৎ উদেশ্যে পরিকল্পিতভাবে মিথ্যা তথ্য সংবলিত বার্তা পাঠিয়ে বর্ণিত অপপ্রচারের মাধ্যমে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের মধ্যে পেনিক সৃষ্টি করে সেল প্রেসার বাড়িয়ে দরপতন ঘটিয়ে শেয়ার মার্কেট ধ্বংসস্তুপে নিয়ে কম দামে শেয়ার ক্রয়ের ষড়যন্ত্র করেছে ইবিএল। যা সিকিউরিটিজ আইনের পরিপস্থি। এভাবে বিনিযোগকারীদের আর্থিক ও মানসিক ক্ষতি করা হয়েছে, যার দায় উক্ত প্রতিষ্ঠানের উপর বর্তায়। 

৩০ লক্ষ বিনিযোগকারীর নিরাপত্তা বিধানের জন্য এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিএসিসি চেশারম্যানকে অনুরোধ করেন অভিযোগকারী। একই সাথে বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনায় দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্তপূর্বক আর্থিক ক্ষতির ৩ লাখ ৯৬ হাজার টাকা ফেরতের দাবিও জানান তিনি।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে ইবিএল সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. ছায়েদুর রহমানকে ফোন কল করা হলে তিনি শেয়ারবাজারের লেনদেনের শেষ সময় তাই ব্যস্ততা দেখি বেলা ২ টার পর ফোন দিতে বলে কেটে দেয়। ২টার পর একাধিক বার কল দিলেও রিসিভ না করায় বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ইবিএল সিকিউরিটিজের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ এসেছে কিনা তা এই মুহূর্তে আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে পরে জানানো যাবে।

আরো পড়ুন: ডিএসইর এমডির পদত্যাগের কারণ জানতে চেয়েছে বিএসইসি

সংবাদ সূত্র: সোনালী নিউজ

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x
English Version

ইবিএল সিকিউরিটিজের বিরুদ্ধে শেয়ারবাজারে পেনিক সৃষ্টির অভিযোগ

আপডেট: ০৩:৫০:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ অগাস্ট ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: ইবিএল সিকিউরিটিজ লিমিটেডের গ্রাহকের মোবাইলে মিথ্যা তথ্য পাঠিয়ে পেনিক সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ করেছেন মো. আলমাস হোসেন তুহিন নামে প্রতিষ্ঠানটির একজন বিনিয়োগকারী। তার অভিযোগ, ইবিএল সিকিউরিটিজ উদ্দেশ্যমূলকভাবে শেয়ার মার্কেট ধ্বংসের ষড়যন্ত্রের নীলকশা বাস্তবায়ন করার লক্ষে প্রাহকের মোবাইলে মিথ্যা তথ্য পাঠাচ্ছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব 

বুধবার (২৪ আগস্ট) পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) তিনি লিখিত অভিযোগ দেয়। বিএসইসির একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বরাবর পাঠানো অভিযোগে গ্রাহক আলমাস হোসেন তুহিন বলেন, মিথ্যা তথ্য পাঠিয়ে পেনিক সৃষ্টির ফলে তিনদিনে তার প্রায় চার লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। তদন্ত করে প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিও জানায় এই গ্রাহক।

লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, আমার গ্রাহক আইডি নং- ৪৬০৯৮। গত ১৭ আগস্ট এই একাউন্টে থাকা শেয়ারের বাজার মূল্য ছিলো ৪২ লাখ ১৩ হাজার টাকা। এই সপ্তাহের শুরুতে অর্থাৎ ২১ আগস্ট হতে ইবিএল সিকিউরিটিজ লিমিটেড পরিকল্পিতভাবে পর্যাক্রমে গ্রাহকদের মোবাইলে “Lock in Information of the SME Bord Companies” শিরোনামে ১০টি কোম্পানির শেয়ার সংখ্যা সংক্রান্ত মিথ্যা তথ্য পাঠায়। পরেরদিন এই এসএমএস আমার মোবাইলেও পাঠায়। যা মিথ্যা। উদেশ্য প্রণোদিত মিথ্যা তথ্যের কারণে পেনিক হয়ে স্কুদ্র বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শেয়ার বিক্রির হিড়িক পড়ায় শেয়ারের দর পতন ঘটতে থাকে এবং গত তিন কর্মদিবসে বর্ণিত একাউন্টে শেয়ারের বাজার মূল্য ৩৮ লাখ ১৭ হাজার টাকা দাঁড়ায়। অর্থাৎ ৩ লাখ ৯৬ হাজার টাকা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি। সাথে মানবিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি যা অপূরণীয় ক্ষতি। 

অভিযোগে বলা হয়, উক্ত ১০ টি কোম্পানির মধ্যে একটি কোম্পানির শেয়ার সংখ্যা বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে, KBSEED-এর প্রকৃত শেয়ার সংখ্যা ৩ কোটি। ডিরেক্টর হোল্ডিং ৫০ দশমিক ২০ শতাংশ এবং ইনস্টিটিউট হোল্ডিং ১১ দশমিক ১৩ শতাংশ।

অভিযোগপত্রে তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, এই দুই ভাগ মিলে শেয়ার সংখ্যা দাঁড়ায় এক কোটি ৮৩ লাখ ৯৯ হাজার। তাহলে কীভাবে এক কোটি ৮৪ লাখ শেয়ার লকইন শেয়ার আছে? আর ডিরেক্টরদের এক সাথে সব শেয়ার সেল করার সুযোগ নাই। কী কারণে ডিরেক্টরদের শেয়ারগুলো অর্থাৎ কোম্পানির সকল শেয়ার কথিত তারিখে বিক্রয়যোগ্য দেখানো হয়েছে? ডিরেক্টরদের সকল শেয়ার একসাথে বিক্রির সুযোগ কি বিএসইসি দিয়েছে? 

এতে বলা হয়, এভাবে প্রতিটি কোম্পানির শেয়ার সংখ্যা বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় অসৎ উদেশ্যে পরিকল্পিতভাবে মিথ্যা তথ্য সংবলিত বার্তা পাঠিয়ে বর্ণিত অপপ্রচারের মাধ্যমে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের মধ্যে পেনিক সৃষ্টি করে সেল প্রেসার বাড়িয়ে দরপতন ঘটিয়ে শেয়ার মার্কেট ধ্বংসস্তুপে নিয়ে কম দামে শেয়ার ক্রয়ের ষড়যন্ত্র করেছে ইবিএল। যা সিকিউরিটিজ আইনের পরিপস্থি। এভাবে বিনিযোগকারীদের আর্থিক ও মানসিক ক্ষতি করা হয়েছে, যার দায় উক্ত প্রতিষ্ঠানের উপর বর্তায়। 

৩০ লক্ষ বিনিযোগকারীর নিরাপত্তা বিধানের জন্য এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিএসিসি চেশারম্যানকে অনুরোধ করেন অভিযোগকারী। একই সাথে বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনায় দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্তপূর্বক আর্থিক ক্ষতির ৩ লাখ ৯৬ হাজার টাকা ফেরতের দাবিও জানান তিনি।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে ইবিএল সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. ছায়েদুর রহমানকে ফোন কল করা হলে তিনি শেয়ারবাজারের লেনদেনের শেষ সময় তাই ব্যস্ততা দেখি বেলা ২ টার পর ফোন দিতে বলে কেটে দেয়। ২টার পর একাধিক বার কল দিলেও রিসিভ না করায় বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ইবিএল সিকিউরিটিজের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ এসেছে কিনা তা এই মুহূর্তে আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে পরে জানানো যাবে।

আরো পড়ুন: ডিএসইর এমডির পদত্যাগের কারণ জানতে চেয়েছে বিএসইসি

সংবাদ সূত্র: সোনালী নিউজ

ঢাকা/এসএ