০৩:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪

একটি মহল চক্রান্ত করে মূল্যস্ফীতি ঘটায়: প্রধানমন্ত্রী

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৬:১০:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ৪১৩৪ বার দেখা হয়েছে

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, একটি মহল চক্রান্ত করে মূল্যস্ফীতি ঘটায়। এটি কমাতে ব্যবস্থা নেয়া হবে। রোজায় প্রয়োজনীয় পণ্য কেনার ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। আজ সোমবার (১৫ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধু এভিনিউ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের যৌথ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে ভিক্ষুকের দেশে পরিণত করেছিলো বিএনপি-জামায়াত। আওয়ামী লীগ সে দূর্নাম দূর করেছে। বিএনপি আমলে কোনো উন্নয়ন হয়নি। দেশকে এগিয়ে নিতে আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় আসা প্রয়োজন ছিলো। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দোষারোপ বন্ধ করতে দলের ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নির্দেশ দেন তিনি।

তিনি বলেন, নিজেদের দ্বন্দ্বের কারণে বিএনপি যাতে সুযোগ নিতে না পারে সেজন্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সজাগ থাকতে হবে। নির্বাচন যেন না হয়, অনেক চক্রান্ত ছিলো। চক্রান্ত মোকাবেলা করে নির্বাচন করতে হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে পরাজয় নিয়ে হয়তো কষ্ট আছে। জনগণের কল্যাণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। অগ্নিসন্ত্রাসীদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। তাদের মিথ্যাচার দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করে।

শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপির দুই কাজ, দুর্নীতি ও মানুষ খুন করা। তাদের দলীয় প্রধানও দুর্নীতির দায়ে কারাদণ্ড পেয়েছেন। তবে আমাদের দেশকে এগিয়ে নিতে কাজ করতে হবে। কারণ জনগণের ভোটে আমরা সরকার গঠন করেছি। জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস আমরা পেয়েছি। এই বিশ্বাসের মর্যাদা দিয়ে সবাইকে কাজ করতে হবে।

আরও পড়ুন: দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন ৩০ জানুয়ারি

দ্রব্যমূল্যের কারণে মানুষ কষ্টে আছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা দ্রব্যমূল্য নিয়ে কাজ করছি। মূল্যস্ফীতি কমিয়ে এনেছি। এরপরেও কিছু মানুষ চক্রান্ত করে দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়াচ্ছে। এসব নিয়ে আমরা কাজ করছি।

নিম্নআয়ের মানুষের জন্য কাজ করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা ফ্যামিলি কার্ড করে দিচ্ছি। এর সুফল পাচ্ছেন সীমিত আয়ের মানুষ। এছাড়া চাকরিজীবীদের বেতন-ভাতা বাড়ানো হয়েছে। উন্নয়নের যে কাজ চলছে, তা শেষ করে এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে হবে।

দুঃসময়ে দলের নেতাদের ভূমিকা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন সময় আঘাত এসেছে। সব কিছু অতিক্রম করে এ পর্যায়ে আসতে পেরেছি। স্বাধীনতার মূল চেতনা কখনো ধ্বংস হতে পারে না। কোনো আত্মত্যাগ বৃথা যায় না। আ.লীগ সরকারে আসার পর বিদেশে দেশের ভাবমূর্তি পরিবর্তন হয়েছে। এখন বাংলাদেশকে বলা হয় উন্নয়নের রোল মডেল।

ঢাকা/কেএ

শেয়ার করুন

x

একটি মহল চক্রান্ত করে মূল্যস্ফীতি ঘটায়: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট: ০৬:১০:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৪

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, একটি মহল চক্রান্ত করে মূল্যস্ফীতি ঘটায়। এটি কমাতে ব্যবস্থা নেয়া হবে। রোজায় প্রয়োজনীয় পণ্য কেনার ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। আজ সোমবার (১৫ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধু এভিনিউ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের যৌথ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে ভিক্ষুকের দেশে পরিণত করেছিলো বিএনপি-জামায়াত। আওয়ামী লীগ সে দূর্নাম দূর করেছে। বিএনপি আমলে কোনো উন্নয়ন হয়নি। দেশকে এগিয়ে নিতে আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় আসা প্রয়োজন ছিলো। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দোষারোপ বন্ধ করতে দলের ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নির্দেশ দেন তিনি।

তিনি বলেন, নিজেদের দ্বন্দ্বের কারণে বিএনপি যাতে সুযোগ নিতে না পারে সেজন্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সজাগ থাকতে হবে। নির্বাচন যেন না হয়, অনেক চক্রান্ত ছিলো। চক্রান্ত মোকাবেলা করে নির্বাচন করতে হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে পরাজয় নিয়ে হয়তো কষ্ট আছে। জনগণের কল্যাণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। অগ্নিসন্ত্রাসীদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। তাদের মিথ্যাচার দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করে।

শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপির দুই কাজ, দুর্নীতি ও মানুষ খুন করা। তাদের দলীয় প্রধানও দুর্নীতির দায়ে কারাদণ্ড পেয়েছেন। তবে আমাদের দেশকে এগিয়ে নিতে কাজ করতে হবে। কারণ জনগণের ভোটে আমরা সরকার গঠন করেছি। জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস আমরা পেয়েছি। এই বিশ্বাসের মর্যাদা দিয়ে সবাইকে কাজ করতে হবে।

আরও পড়ুন: দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন ৩০ জানুয়ারি

দ্রব্যমূল্যের কারণে মানুষ কষ্টে আছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা দ্রব্যমূল্য নিয়ে কাজ করছি। মূল্যস্ফীতি কমিয়ে এনেছি। এরপরেও কিছু মানুষ চক্রান্ত করে দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়াচ্ছে। এসব নিয়ে আমরা কাজ করছি।

নিম্নআয়ের মানুষের জন্য কাজ করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা ফ্যামিলি কার্ড করে দিচ্ছি। এর সুফল পাচ্ছেন সীমিত আয়ের মানুষ। এছাড়া চাকরিজীবীদের বেতন-ভাতা বাড়ানো হয়েছে। উন্নয়নের যে কাজ চলছে, তা শেষ করে এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে হবে।

দুঃসময়ে দলের নেতাদের ভূমিকা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন সময় আঘাত এসেছে। সব কিছু অতিক্রম করে এ পর্যায়ে আসতে পেরেছি। স্বাধীনতার মূল চেতনা কখনো ধ্বংস হতে পারে না। কোনো আত্মত্যাগ বৃথা যায় না। আ.লীগ সরকারে আসার পর বিদেশে দেশের ভাবমূর্তি পরিবর্তন হয়েছে। এখন বাংলাদেশকে বলা হয় উন্নয়নের রোল মডেল।

ঢাকা/কেএ