০৭:৩৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

একদিন ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন থাকলে বিল অর্ধেক

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০২:১১:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ অক্টোবর ২০২১
  • / ৪১১৫ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক; দেশের ইন্টারনেট সেবা দাতা ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবার ক্ষেত্রে, নতুন নিয়ম ঠিক করে দিল বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।

এ নির্দেশনায় বলা হয়েছে, টানা তিন দিন ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকলে সেবাদাতা ওই মাসে গ্রাহকের কাছ থেকে কোনো সেবামূল্য বা বিল নিতে পারবে না ব্রডব্যান্ড।

এছাড়াও সব ধরনের আইএসপির ক্ষেত্রে ১ দিন অব্যাহতভাবে ইন্টারনেট সেবা বিচ্ছিন্ন থাকলে মোট বিলের ৫০ শতাংশ মাসিক বিল (পূর্বের নির্দেশনায় ৭ দিন ছিল), ২ দিন অব্যাহতভাবে ইন্টারনেট সেবা বিচ্ছিন্ন থাকলে মোট বিলের ২৫ শতাংশ মাসিক বিল (পূর্বের নির্দেশনায় ১৪ দিন ছিল) গ্রাহকের কাছ থেকে নেওয়া যাবে।

বুধবার (০৬ অক্টোবর) বিটিআরসি এই নির্দেশনা সব আইএসপি, বিটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, আইএসপিএবি, আইআইজিএবি ও এনটিটিএনকে পাঠিয়েছে।

এতে বলা হয়, গ্রাহক সেবা ও সেবার মান নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় পেনাল্টি শর্তসহ কোয়ালিটি অব সার্ভিস অ্যান্ড এক্সপেরিয়েন্সকে বিবেচনায় নিয়ে প্রতিটি সেবার মানদণ্ড নির্ধারণে বর্ণিত গ্রেড এ, বি এবং সি অনুযায়ী গ্রেড অব সার্ভিস বজায় রাখতে প্রতিটি আইএসপি বাধ্য থাকবে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এতে আরও বলা হয়, সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার-২০১৮-এর প্রতিশ্রুত ‘ইন্টারনেট ও মোবাইল ব্যবহারের মূল্য যুক্তিসঙ্গত পর্যায়ে নামিয়ে আনা হবে’- বাস্তবায়নের জন্য একটি বাস্তবসম্মত এবং গ্রাহক বান্ধব ইন্টারনেট ট্যারিফ প্রণয়নে সারাদেশের জন্য ‘এক দেশ, এক রেট’ ট্যারিফ জারি করা হয়। ট্যারিফের সঙ্গে গ্রাহক সেবা ও সেবার মান নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় জরিমানা শর্তসহ কোয়ালিটি অব সার্ভিস অ্যান্ড এক্সপেরিয়েন্সকে বিবেচনায় নিয়ে প্রতিটি সেবার মানদণ্ড নির্ধারণে গ্রেড অব সার্ভিস তৈরি করা হয়।

নির্দেশনায় বলা হয়, ট্যারিফের বাইরে অনুমোদন ছাড়া কোনো সেবা পরিচালনা করলে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ আইন অনুযায়ী সেই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এতে আরও বলা হয়, গ্রাহক অভিযোগ (টিকেটিং নাম্বারসহ) দ্রুততার সঙ্গে সমাধান করতে হবে। গ্রাহক কোনো অভিযোগ জানালে বিটিআরসি প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে। এছাড়া অভিযোগ ও অভিযোগ সমাধানের তথ্য কমপক্ষে ছয় মাসের জন্য সংরক্ষণ করতে হবে।

দেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সরবরাহকারীদের সংগঠন ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক বলেন, নতুন নির্দেশনা নিয়ে তাদের কোনো আপত্তি নেই। তবে অনিবার্য কারণে ইন্টারনেট সেবা ব্যাহত হলে কী হবে, সে বিষয়ে আরও স্পষ্ট নির্দেশনার প্রয়োজন।

ইন্টারনেটে গতি কম থাকা ও বিভিন্ন এলাকায় প্রভাবশালীদের একচেটিয়া ব্যবসার বিষয়ে এমদাদুল হক বলেন, অবৈধ আইএসপি থেকে সংযোগ নিলে গতির সমস্যা হবে। এলাকার পেশিশক্তিধারীরাই একচেটিয়া ব্যবসা করে। এ বিষয়ে আইএসপিএবির কাছে বা বিটিআরসির কাছে গ্রাহক অভিযোগ জানাতে পারেন। তিনি দাবি করেন, বিটিআরসি-নির্ধারিত নতুন মূল্যহার কার্যকর হয়েছে। তবে এর ওপর ৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (মূসক/ভ্যাট) রয়েছে।

আইএসপিএবি জানায়, বাংলাদেশে লাইসেন্সধারী আইএসপি প্রতিষ্ঠান আছে দুই হাজারের কিছু বেশি। এর মধ্যে ১ হাজার ৬৫০টি আইএসপিএবির সদস্য। তবে লাইসেন্সবিহীন আইএসপির সংখ্যা লাইসেন্সধারীর দ্বিগুণ। এ ছাড়া অনেক প্রতিষ্ঠান বড় ইন্টারনেট সেবাদাতার কাছ থেকে ব্যান্ডউইডথ নিয়ে গ্রাহককে দেয়, যাকে বলে ‘রি-সেলিং’। এতে সেবার মান কমে যায়।

গ্রাহকেরা বলছেন, রাজধানীসহ সারা দেশের অনেক এলাকায় প্রভাবশালীরা ইন্টারনেট সেবাদাতা হিসেবে কাজ করে। তাদের সেবা নিয়ে কোনো অভিযোগ জানালে উল্টো বিপাকে পড়তে হয়। অপেক্ষা করতে হয় ঘন্টার পর ঘন্টা।

ঢাকা/এমটি

শেয়ার করুন

x
English Version

একদিন ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন থাকলে বিল অর্ধেক

আপডেট: ০২:১১:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ অক্টোবর ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক; দেশের ইন্টারনেট সেবা দাতা ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবার ক্ষেত্রে, নতুন নিয়ম ঠিক করে দিল বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।

এ নির্দেশনায় বলা হয়েছে, টানা তিন দিন ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকলে সেবাদাতা ওই মাসে গ্রাহকের কাছ থেকে কোনো সেবামূল্য বা বিল নিতে পারবে না ব্রডব্যান্ড।

এছাড়াও সব ধরনের আইএসপির ক্ষেত্রে ১ দিন অব্যাহতভাবে ইন্টারনেট সেবা বিচ্ছিন্ন থাকলে মোট বিলের ৫০ শতাংশ মাসিক বিল (পূর্বের নির্দেশনায় ৭ দিন ছিল), ২ দিন অব্যাহতভাবে ইন্টারনেট সেবা বিচ্ছিন্ন থাকলে মোট বিলের ২৫ শতাংশ মাসিক বিল (পূর্বের নির্দেশনায় ১৪ দিন ছিল) গ্রাহকের কাছ থেকে নেওয়া যাবে।

বুধবার (০৬ অক্টোবর) বিটিআরসি এই নির্দেশনা সব আইএসপি, বিটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, আইএসপিএবি, আইআইজিএবি ও এনটিটিএনকে পাঠিয়েছে।

এতে বলা হয়, গ্রাহক সেবা ও সেবার মান নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় পেনাল্টি শর্তসহ কোয়ালিটি অব সার্ভিস অ্যান্ড এক্সপেরিয়েন্সকে বিবেচনায় নিয়ে প্রতিটি সেবার মানদণ্ড নির্ধারণে বর্ণিত গ্রেড এ, বি এবং সি অনুযায়ী গ্রেড অব সার্ভিস বজায় রাখতে প্রতিটি আইএসপি বাধ্য থাকবে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এতে আরও বলা হয়, সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার-২০১৮-এর প্রতিশ্রুত ‘ইন্টারনেট ও মোবাইল ব্যবহারের মূল্য যুক্তিসঙ্গত পর্যায়ে নামিয়ে আনা হবে’- বাস্তবায়নের জন্য একটি বাস্তবসম্মত এবং গ্রাহক বান্ধব ইন্টারনেট ট্যারিফ প্রণয়নে সারাদেশের জন্য ‘এক দেশ, এক রেট’ ট্যারিফ জারি করা হয়। ট্যারিফের সঙ্গে গ্রাহক সেবা ও সেবার মান নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় জরিমানা শর্তসহ কোয়ালিটি অব সার্ভিস অ্যান্ড এক্সপেরিয়েন্সকে বিবেচনায় নিয়ে প্রতিটি সেবার মানদণ্ড নির্ধারণে গ্রেড অব সার্ভিস তৈরি করা হয়।

নির্দেশনায় বলা হয়, ট্যারিফের বাইরে অনুমোদন ছাড়া কোনো সেবা পরিচালনা করলে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ আইন অনুযায়ী সেই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এতে আরও বলা হয়, গ্রাহক অভিযোগ (টিকেটিং নাম্বারসহ) দ্রুততার সঙ্গে সমাধান করতে হবে। গ্রাহক কোনো অভিযোগ জানালে বিটিআরসি প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে। এছাড়া অভিযোগ ও অভিযোগ সমাধানের তথ্য কমপক্ষে ছয় মাসের জন্য সংরক্ষণ করতে হবে।

দেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সরবরাহকারীদের সংগঠন ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক বলেন, নতুন নির্দেশনা নিয়ে তাদের কোনো আপত্তি নেই। তবে অনিবার্য কারণে ইন্টারনেট সেবা ব্যাহত হলে কী হবে, সে বিষয়ে আরও স্পষ্ট নির্দেশনার প্রয়োজন।

ইন্টারনেটে গতি কম থাকা ও বিভিন্ন এলাকায় প্রভাবশালীদের একচেটিয়া ব্যবসার বিষয়ে এমদাদুল হক বলেন, অবৈধ আইএসপি থেকে সংযোগ নিলে গতির সমস্যা হবে। এলাকার পেশিশক্তিধারীরাই একচেটিয়া ব্যবসা করে। এ বিষয়ে আইএসপিএবির কাছে বা বিটিআরসির কাছে গ্রাহক অভিযোগ জানাতে পারেন। তিনি দাবি করেন, বিটিআরসি-নির্ধারিত নতুন মূল্যহার কার্যকর হয়েছে। তবে এর ওপর ৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (মূসক/ভ্যাট) রয়েছে।

আইএসপিএবি জানায়, বাংলাদেশে লাইসেন্সধারী আইএসপি প্রতিষ্ঠান আছে দুই হাজারের কিছু বেশি। এর মধ্যে ১ হাজার ৬৫০টি আইএসপিএবির সদস্য। তবে লাইসেন্সবিহীন আইএসপির সংখ্যা লাইসেন্সধারীর দ্বিগুণ। এ ছাড়া অনেক প্রতিষ্ঠান বড় ইন্টারনেট সেবাদাতার কাছ থেকে ব্যান্ডউইডথ নিয়ে গ্রাহককে দেয়, যাকে বলে ‘রি-সেলিং’। এতে সেবার মান কমে যায়।

গ্রাহকেরা বলছেন, রাজধানীসহ সারা দেশের অনেক এলাকায় প্রভাবশালীরা ইন্টারনেট সেবাদাতা হিসেবে কাজ করে। তাদের সেবা নিয়ে কোনো অভিযোগ জানালে উল্টো বিপাকে পড়তে হয়। অপেক্ষা করতে হয় ঘন্টার পর ঘন্টা।

ঢাকা/এমটি