০৭:০১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

কবিগুরুর ৮০তম প্রয়াণ দিবস আজ

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১২:৫৩:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ অগাস্ট ২০২১
  • / ৪১৭০ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: যার সুর আর বাণী দোলায় বাঙালির অন্তর। সীমাহীন প্রেম, প্রকৃতি, প্রার্থনা, জীবন এবং জগতের সকল অনুভূতি মিশেছে যেন তার গানে। তার সংগীত শ্রোতাকে ভাসায়, অজানা অনুভূতির সন্ধান দেয়। এই সংগীতেই সবচেয়ে আপন করে পাওয়া যায় তাকে। তিনি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। শুক্রবার বাইশে শ্রাবণ, কবির আশিতম প্রয়াণ দিবস।

‘গান দিয়ে হাত বুলিয়ে যাই এই ভুবনে’ বলেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। জীবনব্যাপী অভিযানে গানই ছিল তার চির সারথি। দ্বিসহস্রস্পর্শী তার বিচিত্র গানের যে আয়োজন, তাতে প্রত্যয় ছিল, নিরীক্ষা ছিল আর ছিল সৃজনের আনন্দ। অস্পর্শ কিন্তু অনুভববেদ্য গানে আমরা পেয়ে গিয়েছি সংগীত সমুদ্রে সঞ্চরণমাণ সানন্দ এক মুগ্ধ মনকে।

‘সবচেয়ে স্থায়ী আমার গান’ এই ছিল রবীন্দ্রনাথের বিশ্বাস। এই বাণী সাধক কত যে সারস্বত অভিব্যক্তি ও কলারীতির মন্থন-আবর্তে নিজেকে ঘূর্ণিত করে গিয়েছেন তবুও দেখি, তার আত্মপক্ষ কবুলতি, আমার গান তোমাদের গাইতেই হবে।

গানে গানে বন্ধন মুক্তির সাধনা করেছেন। মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিয়েছেন শুভবোধ। তাইতো তিনিই বিনম্র অহংকারে বলেছিলেন, এই কথাটি মনে রেখো, তোমাদের এই হাসি খেলায় আমি যে গান গেয়েছিলাম।

রবীন্দ্রনাথের গানে কৌশলে বোনা আছে শুধু দেখা পাওয়া শুধু ছুঁয়ে যাওয়ার বিভঙ্গ, কিংবা দেখা-না দেখার চমৎকৃতি; নিবিড় পর্যবেক্ষণ আর প্রত্যক্ষণের আনন্দ।

রবীন্দ্রনাথের গানের সমুদ্রেই বাঙালির বাস। হুট করে নামা বৃষ্টিতে, জোছনা ও জলে, আনন্দ-বিষাদে রবির সুর যেন আপনা আপনি বেজে ওঠে। ২২ শে শ্রাবণ কেবল উপলক্ষ, রবির কিরণ পাওয়া জীবনের প্রতি অনুক্ষণে।

ঢাকা/এসআর

শেয়ার করুন

x
English Version

কবিগুরুর ৮০তম প্রয়াণ দিবস আজ

আপডেট: ১২:৫৩:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ অগাস্ট ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: যার সুর আর বাণী দোলায় বাঙালির অন্তর। সীমাহীন প্রেম, প্রকৃতি, প্রার্থনা, জীবন এবং জগতের সকল অনুভূতি মিশেছে যেন তার গানে। তার সংগীত শ্রোতাকে ভাসায়, অজানা অনুভূতির সন্ধান দেয়। এই সংগীতেই সবচেয়ে আপন করে পাওয়া যায় তাকে। তিনি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। শুক্রবার বাইশে শ্রাবণ, কবির আশিতম প্রয়াণ দিবস।

‘গান দিয়ে হাত বুলিয়ে যাই এই ভুবনে’ বলেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। জীবনব্যাপী অভিযানে গানই ছিল তার চির সারথি। দ্বিসহস্রস্পর্শী তার বিচিত্র গানের যে আয়োজন, তাতে প্রত্যয় ছিল, নিরীক্ষা ছিল আর ছিল সৃজনের আনন্দ। অস্পর্শ কিন্তু অনুভববেদ্য গানে আমরা পেয়ে গিয়েছি সংগীত সমুদ্রে সঞ্চরণমাণ সানন্দ এক মুগ্ধ মনকে।

‘সবচেয়ে স্থায়ী আমার গান’ এই ছিল রবীন্দ্রনাথের বিশ্বাস। এই বাণী সাধক কত যে সারস্বত অভিব্যক্তি ও কলারীতির মন্থন-আবর্তে নিজেকে ঘূর্ণিত করে গিয়েছেন তবুও দেখি, তার আত্মপক্ষ কবুলতি, আমার গান তোমাদের গাইতেই হবে।

গানে গানে বন্ধন মুক্তির সাধনা করেছেন। মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিয়েছেন শুভবোধ। তাইতো তিনিই বিনম্র অহংকারে বলেছিলেন, এই কথাটি মনে রেখো, তোমাদের এই হাসি খেলায় আমি যে গান গেয়েছিলাম।

রবীন্দ্রনাথের গানে কৌশলে বোনা আছে শুধু দেখা পাওয়া শুধু ছুঁয়ে যাওয়ার বিভঙ্গ, কিংবা দেখা-না দেখার চমৎকৃতি; নিবিড় পর্যবেক্ষণ আর প্রত্যক্ষণের আনন্দ।

রবীন্দ্রনাথের গানের সমুদ্রেই বাঙালির বাস। হুট করে নামা বৃষ্টিতে, জোছনা ও জলে, আনন্দ-বিষাদে রবির সুর যেন আপনা আপনি বেজে ওঠে। ২২ শে শ্রাবণ কেবল উপলক্ষ, রবির কিরণ পাওয়া জীবনের প্রতি অনুক্ষণে।

ঢাকা/এসআর