১০:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

কানাডায় করোনায় মৃতের সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়াল

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১২:২১:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২০
  • / ৪১০১ বার দেখা হয়েছে

কানাডায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়িয়েছে। 

দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৫ লাখ ৫৫ হাজার ২০৭ জন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ১৫ হাজার ১২১ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৪ লাখ ৬৫ হাজার ৯৭৩ জন।

কানাডার প্রধান চারটি প্রদেশ অন্টারিও, বৃটিশ কলম্বিয়া, আলবার্টা এবং কুইবেকে নাটকীয়ভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। আর করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে হাসপাতাল, নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে ব্যাপকহারে চাপ পড়ছে।

লোক সংখ্যার দিক থেকে কানাডার বৃহওম প্রদেশ অন্টারিওতে প্রতিদিনই প্রচুর করোনা আক্রান্ত রোগীর খবর পাওয়া যাচ্ছে। ক্যুইবেকে সর্বোচ্চ আক্রান্ত হয়েছে। গত ২৫ ডিসেম্বর থেকে ক্যুইবেক আবার লকডাউন শুরু হয়েছে। একমাত্র ফার্মেসি, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দোকান  ছাড়া সব বন্ধ থাকবে।  স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্রেতা-বিক্রেতারা মাস্ক পড়ে এবং দূরত্ব বজায় রেখে চলতে হবে। 

ক্যুইবেকের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ক্রিশ্চিয়ান ডুবে সতর্ক করে বলেছেন, অনেক হাসপাতালে ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি রোগী রয়েছে। হাসপাতাগুলোতে হোটেল ও রিসেপশন হলগুলিতে কোভিড রোগীদের জন্য বিশেষ বেড স্থাপন করা হচ্ছে।

কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়াতেও করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিনই বেড়েই চলেছে। সামাজিক দূরত্ব, স্বাস্থ্যবিধি, সরকার কর্তৃক বিভিন্ন বিধিনিষেধ দেওয়া সত্বেও করোনাভাইরাসকে কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রিত করা যাচ্ছে না। 

আলবার্টায় ক্রমবর্ধমান হারে করোনা বৃদ্ধি পাওয়ায় হাসপাতাল ও নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রগুলোতে চাপ পড়ছে।

কানাডার বিভিন্ন প্রদেশের বাসিন্দারা আশঙ্কার মধ্য দিয়ে দিন যাপন করছেন। ইতোমধ্যেই প্রতীক্ষিত ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হয়েছে কানাডায়। তবুও করোনা নিয়ন্ত্রণে অনেক ক্ষেত্রেই হিমশিম খেতে হচ্ছে নীতিনির্ধারকদের। 

সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, ভ্যাকসিনের পাশাপাশি সামাজিক দূরত্ব ও মাস্ক ব্যবহারের কোনো বিকল্প নেই।

ট্যাগঃ

শেয়ার করুন

x
English Version

কানাডায় করোনায় মৃতের সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়াল

আপডেট: ১২:২১:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২০

কানাডায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়িয়েছে। 

দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৫ লাখ ৫৫ হাজার ২০৭ জন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ১৫ হাজার ১২১ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৪ লাখ ৬৫ হাজার ৯৭৩ জন।

কানাডার প্রধান চারটি প্রদেশ অন্টারিও, বৃটিশ কলম্বিয়া, আলবার্টা এবং কুইবেকে নাটকীয়ভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। আর করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে হাসপাতাল, নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে ব্যাপকহারে চাপ পড়ছে।

লোক সংখ্যার দিক থেকে কানাডার বৃহওম প্রদেশ অন্টারিওতে প্রতিদিনই প্রচুর করোনা আক্রান্ত রোগীর খবর পাওয়া যাচ্ছে। ক্যুইবেকে সর্বোচ্চ আক্রান্ত হয়েছে। গত ২৫ ডিসেম্বর থেকে ক্যুইবেক আবার লকডাউন শুরু হয়েছে। একমাত্র ফার্মেসি, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দোকান  ছাড়া সব বন্ধ থাকবে।  স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্রেতা-বিক্রেতারা মাস্ক পড়ে এবং দূরত্ব বজায় রেখে চলতে হবে। 

ক্যুইবেকের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ক্রিশ্চিয়ান ডুবে সতর্ক করে বলেছেন, অনেক হাসপাতালে ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি রোগী রয়েছে। হাসপাতাগুলোতে হোটেল ও রিসেপশন হলগুলিতে কোভিড রোগীদের জন্য বিশেষ বেড স্থাপন করা হচ্ছে।

কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়াতেও করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিনই বেড়েই চলেছে। সামাজিক দূরত্ব, স্বাস্থ্যবিধি, সরকার কর্তৃক বিভিন্ন বিধিনিষেধ দেওয়া সত্বেও করোনাভাইরাসকে কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রিত করা যাচ্ছে না। 

আলবার্টায় ক্রমবর্ধমান হারে করোনা বৃদ্ধি পাওয়ায় হাসপাতাল ও নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রগুলোতে চাপ পড়ছে।

কানাডার বিভিন্ন প্রদেশের বাসিন্দারা আশঙ্কার মধ্য দিয়ে দিন যাপন করছেন। ইতোমধ্যেই প্রতীক্ষিত ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হয়েছে কানাডায়। তবুও করোনা নিয়ন্ত্রণে অনেক ক্ষেত্রেই হিমশিম খেতে হচ্ছে নীতিনির্ধারকদের। 

সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, ভ্যাকসিনের পাশাপাশি সামাজিক দূরত্ব ও মাস্ক ব্যবহারের কোনো বিকল্প নেই।