১০:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪

কুকুর কামড়ালে প্রথমেই যা করবেন, যা করবেন না

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৭:৪১:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ৪১৫০ বার দেখা হয়েছে

রাস্তায় হঠাৎ কুকুর আক্রমণ করলে অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। কুকুর কাউকে আঁচড় বা কামড় দিলে অধিকাংশই শুধু জলাতঙ্কের কথা চিন্তা করে ভীত হন। কিন্তু জলাতঙ্কই নয়, ধনুষ্টংকাসহ বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া ঘটিত সংক্রামক রোগও ছড়াতে পারে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

কুকুর ভালোবাসুন কিংবা ভয় পান, কুকুরের কামড়ের প্রভাব কিন্তু সব শরীরেই সমান। তাই কুকুর ভালোবাসলেও তার কামড়ের হাত থেকে নিজেকে বাঁচাতে ও কামড়ানোর পরেও বিষ নষ্ট করতে কিছু পদক্ষেপ নিতেই হয়। তবে আগে জানা জরুরি কোন কাজগুলো করবেন না।

কুকুর কামড়ানোর জায়গায় মলম ও ব্যান্ডেজ লাগাবেন না। কামড়ানো জায়গাটি শুধু ধুয়ে নিন। সেখানে কোনো মলম লাগাতে যাবেন না। এক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হয়ে যেতে পারে। বরং আপনাকে মাথায় রাখতে হবে যে ব্যান্ডেজ লাগালেও সমস্যা তৈরি হয়ে যেতে পারে। তাই এই বিষয়টা মাথায় রাখা জরুরি। বরং যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের কাছে যান।

আরও পড়ুন: যেভাবে কমাবেন সিলিন্ডার গ্যাসের খরচ

র‍্যাবিস থেকে বাঁচার জন্য আপনাকে টিকা নিতে হবে। টিকা নিলেই এই অসুখ থেকে সহজে নিস্তার পাওয়া যায়। অন্যথায় সমস্যা বহুগুণ বাড়ে। তাই এই বিষয়টি মাথায় রাখা খুবই জরুরি। কুকুর কামড়ানোর ০, ৩, ৭, ১৪ ও ৩০ দিনের মাথায় টিকা নিতে হয়। এছাড়া ক্ষত বেশি থাকলে ইমিউনোগ্লোবিউলিন নিতে হতে পারে।

সময় মতো চিকিৎসা না হলে কিন্তু জলাতঙ্ক যেমন প্রাণ কেড়ে নিতে পারে, তেমনই প্রদাহের জায়গায় সংক্রমণ ছড়িয়ে সমস্যাকে আরও জটিল করে তুলতে পারে। কুকুর কামড়ালে কেবল র‌্যাবিস ভাইরাসের ইঞ্জেকশন নিলেই কিন্তু দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না।

কুকুরে কামড়ানোর ক্ষতস্থানে রক্ত বন্ধ করতে কোনো রকম কেমিক্যাল যোগ করবেন না প্রথমে। ক্ষতস্থান পরিষ্কার করতে কোনো রকম সুগন্ধি সাবান ব্যবহার চলবে না।  পরিষ্কার কোনো কাপড় দিয়ে তা করুন। একান্তই তা হাতের কাছে না থাকলে কোনো অ্যান্টিবায়োটিক লোশন দিয়ে তা পরিষ্কার করুন। এই সময় খুব ক্ষতস্থান বেশি ঘষবেন না।

ঢাকা/এসএম

ট্যাগঃ

শেয়ার করুন

x
English Version

কুকুর কামড়ালে প্রথমেই যা করবেন, যা করবেন না

আপডেট: ০৭:৪১:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

রাস্তায় হঠাৎ কুকুর আক্রমণ করলে অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। কুকুর কাউকে আঁচড় বা কামড় দিলে অধিকাংশই শুধু জলাতঙ্কের কথা চিন্তা করে ভীত হন। কিন্তু জলাতঙ্কই নয়, ধনুষ্টংকাসহ বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া ঘটিত সংক্রামক রোগও ছড়াতে পারে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

কুকুর ভালোবাসুন কিংবা ভয় পান, কুকুরের কামড়ের প্রভাব কিন্তু সব শরীরেই সমান। তাই কুকুর ভালোবাসলেও তার কামড়ের হাত থেকে নিজেকে বাঁচাতে ও কামড়ানোর পরেও বিষ নষ্ট করতে কিছু পদক্ষেপ নিতেই হয়। তবে আগে জানা জরুরি কোন কাজগুলো করবেন না।

কুকুর কামড়ানোর জায়গায় মলম ও ব্যান্ডেজ লাগাবেন না। কামড়ানো জায়গাটি শুধু ধুয়ে নিন। সেখানে কোনো মলম লাগাতে যাবেন না। এক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হয়ে যেতে পারে। বরং আপনাকে মাথায় রাখতে হবে যে ব্যান্ডেজ লাগালেও সমস্যা তৈরি হয়ে যেতে পারে। তাই এই বিষয়টা মাথায় রাখা জরুরি। বরং যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের কাছে যান।

আরও পড়ুন: যেভাবে কমাবেন সিলিন্ডার গ্যাসের খরচ

র‍্যাবিস থেকে বাঁচার জন্য আপনাকে টিকা নিতে হবে। টিকা নিলেই এই অসুখ থেকে সহজে নিস্তার পাওয়া যায়। অন্যথায় সমস্যা বহুগুণ বাড়ে। তাই এই বিষয়টি মাথায় রাখা খুবই জরুরি। কুকুর কামড়ানোর ০, ৩, ৭, ১৪ ও ৩০ দিনের মাথায় টিকা নিতে হয়। এছাড়া ক্ষত বেশি থাকলে ইমিউনোগ্লোবিউলিন নিতে হতে পারে।

সময় মতো চিকিৎসা না হলে কিন্তু জলাতঙ্ক যেমন প্রাণ কেড়ে নিতে পারে, তেমনই প্রদাহের জায়গায় সংক্রমণ ছড়িয়ে সমস্যাকে আরও জটিল করে তুলতে পারে। কুকুর কামড়ালে কেবল র‌্যাবিস ভাইরাসের ইঞ্জেকশন নিলেই কিন্তু দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না।

কুকুরে কামড়ানোর ক্ষতস্থানে রক্ত বন্ধ করতে কোনো রকম কেমিক্যাল যোগ করবেন না প্রথমে। ক্ষতস্থান পরিষ্কার করতে কোনো রকম সুগন্ধি সাবান ব্যবহার চলবে না।  পরিষ্কার কোনো কাপড় দিয়ে তা করুন। একান্তই তা হাতের কাছে না থাকলে কোনো অ্যান্টিবায়োটিক লোশন দিয়ে তা পরিষ্কার করুন। এই সময় খুব ক্ষতস্থান বেশি ঘষবেন না।

ঢাকা/এসএম