০৩:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪

কৃষি খাতে বরাদ্দ ২৫ হাজার কোটি টাকা

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৭:৩২:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ জুন ২০২৩
  • / ৪১৯৯ বার দেখা হয়েছে

২০২৩-২৪ অর্থবছরে কৃষি খাতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ২৫ হাজার ১১৮ কোটি টাকা, যা গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে ছিল ২৪ হাজার ২২০ কোটি টাকা। অর্থাৎ নতুন বাজেটে কৃষি খাতে ৮৯৮ কোটি টাকা বেশি বরাদ্দ হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১ জুন) সংসদে ডিজিটাল প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সারা দেশে পতিত ও অব্যবহৃত জমিতে চাষাবাদ শুরু হয়েছে জানিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত বিচক্ষণতার সঙ্গে আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন— যেন এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদী না থাকে। তার নির্দেশনা মতো সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ সারা দেশে পতিত ও অব্যবহৃত জমিতে চাষাবাদ শুরু হয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউভ

বৃহস্পতিবার (১ জুন) ড. শিরীন শারমীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের অধিবেশন শুরু হয়। এরপর অর্থমন্ত্রী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন শুরু করেন। এসময় তিনি বর্তমান কৃষির অবস্থা তুলে ধরে এসব কথা বলেন।

সংসদে বাজেট অধিবেশনে অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল বলেন, ‘পেঁয়াজ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, ভোজ্যতেলের আমদানি হ্রাস, আলু রফতানি বৃদ্ধি, কাজুবাদাম, কফিসহ রফতানিমুখী ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। খাদ্যশস্যের পাশাপাশি আম, পেয়ারা, কুল, কলা, পেঁপেসহ বিভিন্ন উদ্যানভিত্তিক ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি করা হচ্ছে। পারিবারিক পুষ্টি বাগান প্রকল্পের আওতায় প্রতিটি ইউনিয়নে ১০০টি করে মোট ৪ লাখ ৮৮ হাজার ৪০০টি পারিবারিক সবজি বাগান স্থাপনের কাজ চলছে। ইতোমধ্যে ২ লাখ ৫২ হাজার ৯৬টি বাগান স্থাপিত হয়েছে।

কৃষিতে গবেষণা ও উদ্ভাবনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, কৃষি খাতে গবেষণার মাধ্যমে বিগত ১৪ বছরে বৈরি পরিবেশ সহনশীল জাতসহ মোট ৬৯০টি উন্নত/উচ্চ ফলনশীল জাতের ফসল উদ্ভাবন করা সম্ভব হয়েছে। উত্তম কৃষি চর্চার মাধ্যমে ১ হাজার সবজি উৎপাদন গ্রাম প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। কৃষি গবেষণা কাউন্সিল ঈৎড়ঢ় তড়হরহম ডবনংরঃব ও খামারি মোবাইল অ্যাপ চালু করেছে। ইতোমধ্যে ৩০০টি উপজেলায় ৭৬টি ফসলের ক্রপ জোনিং কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া, এক্ষেত্রে গবেষণা ও উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান রেখেছি।

আরও পড়ুন: রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য ৫ লাখ কোটি টাকা

ফসলের উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে সরকার ভর্তুকি দিচ্ছে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা সাশ্রয়ী মূল্যে সার, বীজ ও অন্যান্য উপকরণ এবং সেচ সুবিধা প্রদান করছি। কৃষকদের কাছে সাশ্রয়ী মূল্যে প্রয়োজন মতো সার সরবরাহের জন্য সরকার ভর্তুকি দিচ্ছে। সেচ কাজে ব্যবহৃত বিদ্যুৎ বিলে ২০ শতাংশ হারে রেয়াত প্রদান করা হচ্ছে। আমরা উচ্চ ফলনশীল জাতের ফসলের আবাদ বৃদ্ধি করেছি।

তিনি আরও বলেন, কৃষি যান্ত্রিকীকরণের জন্য হাওড় ও উপকূলীয় এলাকায় ৭০ শতাংশ ও অন্যান্য এলাকায় ৫০ শতাংশ উন্নয়ন সহায়তায় ৫১ হাজার ৩০০টি কৃষি যন্ত্রপাতি সরবরাহের কার্যক্রম পরিচালনা করছি। কৃষি যান্ত্রিকীকরণের সুবিধা ব্যবহার করে একসঙ্গে ধানের চারা প্রবর্তন করা হয়েছে। বোরো মৌসুমে দীর্ঘ জীবনকালীন ধানের পরিবর্তে স্বল্প জীবনকালীন ধান আবাদের উদ্যোগ নিয়েছি। আশা করছি, এর মাধ্যমে হেক্টরপ্রতি প্রায় এক টন ধান বেশি উৎপাদিত হবে। বর্তমানে বাংলাদেশ বিশ্বে চাল উৎপাদনে তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছে বলে জানান তিনি।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x
English Version

কৃষি খাতে বরাদ্দ ২৫ হাজার কোটি টাকা

আপডেট: ০৭:৩২:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ জুন ২০২৩

২০২৩-২৪ অর্থবছরে কৃষি খাতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ২৫ হাজার ১১৮ কোটি টাকা, যা গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে ছিল ২৪ হাজার ২২০ কোটি টাকা। অর্থাৎ নতুন বাজেটে কৃষি খাতে ৮৯৮ কোটি টাকা বেশি বরাদ্দ হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১ জুন) সংসদে ডিজিটাল প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সারা দেশে পতিত ও অব্যবহৃত জমিতে চাষাবাদ শুরু হয়েছে জানিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত বিচক্ষণতার সঙ্গে আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন— যেন এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদী না থাকে। তার নির্দেশনা মতো সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ সারা দেশে পতিত ও অব্যবহৃত জমিতে চাষাবাদ শুরু হয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউভ

বৃহস্পতিবার (১ জুন) ড. শিরীন শারমীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের অধিবেশন শুরু হয়। এরপর অর্থমন্ত্রী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন শুরু করেন। এসময় তিনি বর্তমান কৃষির অবস্থা তুলে ধরে এসব কথা বলেন।

সংসদে বাজেট অধিবেশনে অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল বলেন, ‘পেঁয়াজ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, ভোজ্যতেলের আমদানি হ্রাস, আলু রফতানি বৃদ্ধি, কাজুবাদাম, কফিসহ রফতানিমুখী ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। খাদ্যশস্যের পাশাপাশি আম, পেয়ারা, কুল, কলা, পেঁপেসহ বিভিন্ন উদ্যানভিত্তিক ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি করা হচ্ছে। পারিবারিক পুষ্টি বাগান প্রকল্পের আওতায় প্রতিটি ইউনিয়নে ১০০টি করে মোট ৪ লাখ ৮৮ হাজার ৪০০টি পারিবারিক সবজি বাগান স্থাপনের কাজ চলছে। ইতোমধ্যে ২ লাখ ৫২ হাজার ৯৬টি বাগান স্থাপিত হয়েছে।

কৃষিতে গবেষণা ও উদ্ভাবনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, কৃষি খাতে গবেষণার মাধ্যমে বিগত ১৪ বছরে বৈরি পরিবেশ সহনশীল জাতসহ মোট ৬৯০টি উন্নত/উচ্চ ফলনশীল জাতের ফসল উদ্ভাবন করা সম্ভব হয়েছে। উত্তম কৃষি চর্চার মাধ্যমে ১ হাজার সবজি উৎপাদন গ্রাম প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। কৃষি গবেষণা কাউন্সিল ঈৎড়ঢ় তড়হরহম ডবনংরঃব ও খামারি মোবাইল অ্যাপ চালু করেছে। ইতোমধ্যে ৩০০টি উপজেলায় ৭৬টি ফসলের ক্রপ জোনিং কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া, এক্ষেত্রে গবেষণা ও উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান রেখেছি।

আরও পড়ুন: রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য ৫ লাখ কোটি টাকা

ফসলের উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে সরকার ভর্তুকি দিচ্ছে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা সাশ্রয়ী মূল্যে সার, বীজ ও অন্যান্য উপকরণ এবং সেচ সুবিধা প্রদান করছি। কৃষকদের কাছে সাশ্রয়ী মূল্যে প্রয়োজন মতো সার সরবরাহের জন্য সরকার ভর্তুকি দিচ্ছে। সেচ কাজে ব্যবহৃত বিদ্যুৎ বিলে ২০ শতাংশ হারে রেয়াত প্রদান করা হচ্ছে। আমরা উচ্চ ফলনশীল জাতের ফসলের আবাদ বৃদ্ধি করেছি।

তিনি আরও বলেন, কৃষি যান্ত্রিকীকরণের জন্য হাওড় ও উপকূলীয় এলাকায় ৭০ শতাংশ ও অন্যান্য এলাকায় ৫০ শতাংশ উন্নয়ন সহায়তায় ৫১ হাজার ৩০০টি কৃষি যন্ত্রপাতি সরবরাহের কার্যক্রম পরিচালনা করছি। কৃষি যান্ত্রিকীকরণের সুবিধা ব্যবহার করে একসঙ্গে ধানের চারা প্রবর্তন করা হয়েছে। বোরো মৌসুমে দীর্ঘ জীবনকালীন ধানের পরিবর্তে স্বল্প জীবনকালীন ধান আবাদের উদ্যোগ নিয়েছি। আশা করছি, এর মাধ্যমে হেক্টরপ্রতি প্রায় এক টন ধান বেশি উৎপাদিত হবে। বর্তমানে বাংলাদেশ বিশ্বে চাল উৎপাদনে তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছে বলে জানান তিনি।

ঢাকা/এসএ