১১:৩৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

কেয়া কসমেটিকসের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে পূবালী ব্যাংক

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১১:৪০:৪৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ এপ্রিল ২০২১
  • / ৪৩৩৪ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদকঃ অনাদায়ী খেলাপি ঋণ পরিশোধ না করার দায়ে কেয়া কসমেটিকসের বিরুদ্ধে এবার কঠোর সিদ্ধান্ত নিল পূবালী ব্যাংক লিমিটেড। সম্প্রতি কেয়া কসমেটিকসের বিভিন্ন অবকাঠামোসহ কারখানার মালামাল, ভবন ও যন্ত্রপাতি নিলামে তোলার বিজ্ঞাপন দিয়েছে ব্যাংকটি।

পূবালী ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী কেয়া কসমেটিকসের বিভিন্ন বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্স রয়েছে, যেখানে বেশ পরিমাণে বিদেশি রাষ্ট্রদূতরা বসবাস করেন। এসব সম্পত্তির মূল্য ধরা হয়েছে প্রায় ২৭০ কোটি টাকা। আগ্রহী ক্রেতাদের আগামী ২৪ মের মধ্যে আবেদনের অনুরোধ করা হয়েছে।

জানা গেছে নিলামের তফসিলের মধ্যে রয়েছে কেয়া গ্রুপের ফ্ল্যাগশিপ সংস্থা কেয়া কসমেটিকস লিমিটেড, কেয়া ইয়ার্ন মিলস লিমিটেড এবং এর প্রতিষ্ঠাতা আবদুল খালেক পাঠান ও তার পরিবারের সদস্যদের সম্পত্তি।

এ প্রসঙ্গে পূবালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাফিউল আলম খান চৌধুরী বলেন, সময়মতো কেয়া কসমেটিকস খেলাপি ঋণ আদায়ে ব্যর্থ হয়েছি। তাই আমরা কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি। ব্যাংকের যে কোনো টাকা উদ্ধারে কঠোর হওয়া আমাদের দায়িত্বের একটি অংশ। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী খেলাপি ঋণ আদায়ে কিছু বিধান আছে। আমরা সে অনুযায়ী কাজ করছি।

কেয়া গ্রুপের চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার হুমায়ুন কবির বলেন, মহামারির কারণে আমরা সময়মতো লোনের টাকা পরিশোধ করতে পারিনি। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। ব্যাংকের সঙ্গে আমাদের কিছুটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। আশা করছি, তারা নিলামের এই বিজ্ঞাপন প্রত্যাহার করে নেবে।
একটি কোম্পনি কত দ্রুত বাজারে উঠে আসতে পারে ও পতনের শিকার হয় তার একটি উল্লেখযোগ্য প্রমাণ হলো কেয়া গ্রুপ। ৯০ এর দশকে কেয়া গ্রুপের মালিক আব্দুল খালেক পাঠানের হাত ধরে কোম্পানিটির যাত্রা শুরু হয়। সাবান ও ডিটারজেন্ট পাউডারের মাধ্যমে ২০০০ সালের দিকে কেয়া গ্রুপ দেশের শীর্ষ স্থানীয় একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়। তবে পরিকল্পনাহীনতা ও অব্যবস্থাপনার কারণে এর পতন হতেও বেশি সময় লাগেনি।

এর আগে ২০১৮ সালেও অনাদায়ী খেলাপি ঋণ পরিশোধ না করার দায়ে কেয়া কসমেটিকসের গাজীপুরের কারখানার মালামাল, ভবন ও যন্ত্রপাতি নিলামে তোলার উদ্যোগ নিয়েছিল রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংক লিমিটেড। সে বছরের ২৬ জুন কোম্পানিটির সম্পত্তি নিলামে বিক্রি করে ঋণের অর্থ আদায়ের ঘোষণা দেয় ব্যাংকটি।
এ ছাড়া ২০১৭ সালের ২০ আগস্ট রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে কেয়া গ্রুপের মালিক আবদুল খালেক পাঠানকে গ্রেপ্তার করে দুর্নীতি দমন কমিশনের কর্মকর্তারা। কেয়া ইয়ার্ন মিলস লিমিটেডের নামে কৃষি ব্যাংক থেকে ১১১ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতের মামলায় খালেক পাঠানকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ঢাকা/জেএইচ

শেয়ার করুন

x
English Version

কেয়া কসমেটিকসের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে পূবালী ব্যাংক

আপডেট: ১১:৪০:৪৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ এপ্রিল ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদকঃ অনাদায়ী খেলাপি ঋণ পরিশোধ না করার দায়ে কেয়া কসমেটিকসের বিরুদ্ধে এবার কঠোর সিদ্ধান্ত নিল পূবালী ব্যাংক লিমিটেড। সম্প্রতি কেয়া কসমেটিকসের বিভিন্ন অবকাঠামোসহ কারখানার মালামাল, ভবন ও যন্ত্রপাতি নিলামে তোলার বিজ্ঞাপন দিয়েছে ব্যাংকটি।

পূবালী ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী কেয়া কসমেটিকসের বিভিন্ন বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্স রয়েছে, যেখানে বেশ পরিমাণে বিদেশি রাষ্ট্রদূতরা বসবাস করেন। এসব সম্পত্তির মূল্য ধরা হয়েছে প্রায় ২৭০ কোটি টাকা। আগ্রহী ক্রেতাদের আগামী ২৪ মের মধ্যে আবেদনের অনুরোধ করা হয়েছে।

জানা গেছে নিলামের তফসিলের মধ্যে রয়েছে কেয়া গ্রুপের ফ্ল্যাগশিপ সংস্থা কেয়া কসমেটিকস লিমিটেড, কেয়া ইয়ার্ন মিলস লিমিটেড এবং এর প্রতিষ্ঠাতা আবদুল খালেক পাঠান ও তার পরিবারের সদস্যদের সম্পত্তি।

এ প্রসঙ্গে পূবালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাফিউল আলম খান চৌধুরী বলেন, সময়মতো কেয়া কসমেটিকস খেলাপি ঋণ আদায়ে ব্যর্থ হয়েছি। তাই আমরা কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি। ব্যাংকের যে কোনো টাকা উদ্ধারে কঠোর হওয়া আমাদের দায়িত্বের একটি অংশ। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী খেলাপি ঋণ আদায়ে কিছু বিধান আছে। আমরা সে অনুযায়ী কাজ করছি।

কেয়া গ্রুপের চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার হুমায়ুন কবির বলেন, মহামারির কারণে আমরা সময়মতো লোনের টাকা পরিশোধ করতে পারিনি। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। ব্যাংকের সঙ্গে আমাদের কিছুটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। আশা করছি, তারা নিলামের এই বিজ্ঞাপন প্রত্যাহার করে নেবে।
একটি কোম্পনি কত দ্রুত বাজারে উঠে আসতে পারে ও পতনের শিকার হয় তার একটি উল্লেখযোগ্য প্রমাণ হলো কেয়া গ্রুপ। ৯০ এর দশকে কেয়া গ্রুপের মালিক আব্দুল খালেক পাঠানের হাত ধরে কোম্পানিটির যাত্রা শুরু হয়। সাবান ও ডিটারজেন্ট পাউডারের মাধ্যমে ২০০০ সালের দিকে কেয়া গ্রুপ দেশের শীর্ষ স্থানীয় একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়। তবে পরিকল্পনাহীনতা ও অব্যবস্থাপনার কারণে এর পতন হতেও বেশি সময় লাগেনি।

এর আগে ২০১৮ সালেও অনাদায়ী খেলাপি ঋণ পরিশোধ না করার দায়ে কেয়া কসমেটিকসের গাজীপুরের কারখানার মালামাল, ভবন ও যন্ত্রপাতি নিলামে তোলার উদ্যোগ নিয়েছিল রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংক লিমিটেড। সে বছরের ২৬ জুন কোম্পানিটির সম্পত্তি নিলামে বিক্রি করে ঋণের অর্থ আদায়ের ঘোষণা দেয় ব্যাংকটি।
এ ছাড়া ২০১৭ সালের ২০ আগস্ট রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে কেয়া গ্রুপের মালিক আবদুল খালেক পাঠানকে গ্রেপ্তার করে দুর্নীতি দমন কমিশনের কর্মকর্তারা। কেয়া ইয়ার্ন মিলস লিমিটেডের নামে কৃষি ব্যাংক থেকে ১১১ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতের মামলায় খালেক পাঠানকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ঢাকা/জেএইচ