০৫:৩৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

খাদ্যপণ্য আমদানিতে ডলার বিক্রির সিদ্ধান্ত: কেন্দ্রীয় ব্যাংক

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৫:৪৮:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ মে ২০২২
  • / ৪১১৩ বার দেখা হয়েছে

এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকে ডলারের দাম ৮৭ টাকা ৯০ পয়সা নির্ধারণ করলেও আন্তব্যাংক লেনদেনে কিন্তু ডলারের দাম ছিল ৯৫ টাকার বেশি। এই দামেই রপ্তানি বিল নগদায়ন ও প্রবাসী আয় আনছে অনেক ব্যাংক। ফলে আমদানিকারকদের এর চেয়ে বেশি দামেই ডলার কিনতে হয়েছে। ডলারের দাম আরেক দফা বাড়ানোয় রপ্তানিকারক ও প্রবাসীরা লাভবান হবেন। অন্যদিকে আমদানিকারকদের খরচ বাড়বে।

এখন আমদানি দায় পরিশোধের জন্য বিদেশ থেকেও ডলার মিলছে না। অফশোর ব্যাংকের গ্রাহকেরাও টাকার বিনিময়ে তাঁদের ঋণ পরিশোধ করছে। ফলে খাদ্যপণ্য ও জ্বালানির আমদানি দায় শোধ করা কঠিন হয়ে পড়েছে।

বেসরকারি উদ্যোক্তাদের জন্য ডলার দেওয়ায় খুশি ব্যাংকাররা। ঢাকা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এমরানুল হক বলেন, ‘ফ্রেশ, সিটি গ্রুপসহ অনেকেই খাদ্যপণ্য আমদানি করেছে। এসব খাদ্যপণ্যের আমদানি দায় শোধের জন্য ডলার মিলছে না। এ সময়ে ডলার সহায়তা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।’

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে প্রতিনিয়ত ডলার বিক্রি করা হচ্ছে। তবে চাহিদা বেশি হওয়ায় ডলারের দাম ধীরে ধীরে বাড়াচ্ছে তারা। যদিও অর্থনীতিবিদদের অনেকে ডলারের দাম চাহিদা ও জোগানের ওপর ছেড়ে দেওয়ার পক্ষে।

সিটি ব্যাংকের এমডি মাসরুর আরেফিন বলেন, ‘এখন আমদানি দায় পরিশোধের জন্য বিদেশ থেকেও ডলার মিলছে না। অফশোর ব্যাংকের গ্রাহকেরাও টাকার বিনিময়ে তাঁদের ঋণ পরিশোধ করছেন। ফলে খাদ্যপণ্য ও জ্বালানির আমদানি দায় শোধ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সহায়তার হাত বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এমন সহায়তা অব্যাহত থাকলে সংকট দ্রুতই কেটে যাবে।’

আন্তর্জাতিক বাজারে ভোগ্যপণ্য, কাঁচামাল ও তেলের দাম বেড়েছে। সঙ্গে বেড়েছে জাহাজভাড়াও। এতে আমদানি ব্যয় বেড়েছে প্রায় ৪৪ শতাংশ। এর চাপ গিয়ে পড়ছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর। রিজার্ভ কমে হয়েছে ৪ হাজার ২০০ কোটি ডলার। কারণ, আমদানি যে হারে বেড়েছে, রপ্তানি সে হারে বাড়েনি। আবার প্রবাসী আয়ও কমেছে। তাই রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করে জোগান দিতে হচ্ছে আমদানি খরচের।

এখন যে রিজার্ভ রয়েছে, তা দিয়ে সাড়ে পাঁচ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব। আবার আমদানি খরচ এভাবে বাড়তে থাকলে রিজার্ভ আরও কমবে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চাপ রয়েছে রিজার্ভের হিসাব সঠিক নিয়মে করার। সেটি করতে গেলে রিজার্ভের পরিমাণ কমে হবে ৩ হাজার ৪০০ কোটি ডলার।

ব্যাংকাররা বলছেন, সামনে কোরবানির ঈদ ঘিরে দেশে ভালো প্রবাসী আয় আসবে। আমদানি খরচও কমবে। তখন সংকট অনেকটাই কেটে যাবে।

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

x
English Version

খাদ্যপণ্য আমদানিতে ডলার বিক্রির সিদ্ধান্ত: কেন্দ্রীয় ব্যাংক

আপডেট: ০৫:৪৮:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ মে ২০২২

এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকে ডলারের দাম ৮৭ টাকা ৯০ পয়সা নির্ধারণ করলেও আন্তব্যাংক লেনদেনে কিন্তু ডলারের দাম ছিল ৯৫ টাকার বেশি। এই দামেই রপ্তানি বিল নগদায়ন ও প্রবাসী আয় আনছে অনেক ব্যাংক। ফলে আমদানিকারকদের এর চেয়ে বেশি দামেই ডলার কিনতে হয়েছে। ডলারের দাম আরেক দফা বাড়ানোয় রপ্তানিকারক ও প্রবাসীরা লাভবান হবেন। অন্যদিকে আমদানিকারকদের খরচ বাড়বে।

এখন আমদানি দায় পরিশোধের জন্য বিদেশ থেকেও ডলার মিলছে না। অফশোর ব্যাংকের গ্রাহকেরাও টাকার বিনিময়ে তাঁদের ঋণ পরিশোধ করছে। ফলে খাদ্যপণ্য ও জ্বালানির আমদানি দায় শোধ করা কঠিন হয়ে পড়েছে।

বেসরকারি উদ্যোক্তাদের জন্য ডলার দেওয়ায় খুশি ব্যাংকাররা। ঢাকা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এমরানুল হক বলেন, ‘ফ্রেশ, সিটি গ্রুপসহ অনেকেই খাদ্যপণ্য আমদানি করেছে। এসব খাদ্যপণ্যের আমদানি দায় শোধের জন্য ডলার মিলছে না। এ সময়ে ডলার সহায়তা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।’

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে প্রতিনিয়ত ডলার বিক্রি করা হচ্ছে। তবে চাহিদা বেশি হওয়ায় ডলারের দাম ধীরে ধীরে বাড়াচ্ছে তারা। যদিও অর্থনীতিবিদদের অনেকে ডলারের দাম চাহিদা ও জোগানের ওপর ছেড়ে দেওয়ার পক্ষে।

সিটি ব্যাংকের এমডি মাসরুর আরেফিন বলেন, ‘এখন আমদানি দায় পরিশোধের জন্য বিদেশ থেকেও ডলার মিলছে না। অফশোর ব্যাংকের গ্রাহকেরাও টাকার বিনিময়ে তাঁদের ঋণ পরিশোধ করছেন। ফলে খাদ্যপণ্য ও জ্বালানির আমদানি দায় শোধ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সহায়তার হাত বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এমন সহায়তা অব্যাহত থাকলে সংকট দ্রুতই কেটে যাবে।’

আন্তর্জাতিক বাজারে ভোগ্যপণ্য, কাঁচামাল ও তেলের দাম বেড়েছে। সঙ্গে বেড়েছে জাহাজভাড়াও। এতে আমদানি ব্যয় বেড়েছে প্রায় ৪৪ শতাংশ। এর চাপ গিয়ে পড়ছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর। রিজার্ভ কমে হয়েছে ৪ হাজার ২০০ কোটি ডলার। কারণ, আমদানি যে হারে বেড়েছে, রপ্তানি সে হারে বাড়েনি। আবার প্রবাসী আয়ও কমেছে। তাই রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করে জোগান দিতে হচ্ছে আমদানি খরচের।

এখন যে রিজার্ভ রয়েছে, তা দিয়ে সাড়ে পাঁচ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব। আবার আমদানি খরচ এভাবে বাড়তে থাকলে রিজার্ভ আরও কমবে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চাপ রয়েছে রিজার্ভের হিসাব সঠিক নিয়মে করার। সেটি করতে গেলে রিজার্ভের পরিমাণ কমে হবে ৩ হাজার ৪০০ কোটি ডলার।

ব্যাংকাররা বলছেন, সামনে কোরবানির ঈদ ঘিরে দেশে ভালো প্রবাসী আয় আসবে। আমদানি খরচও কমবে। তখন সংকট অনেকটাই কেটে যাবে।

ঢাকা/টিএ