০২:৩৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪

গুজরাট দাঙ্গায় অভিযুক্ত ২৬ জনকে খালাস

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১১:৫৯:১৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ এপ্রিল ২০২৩
  • / ৪১৭০ বার দেখা হয়েছে

২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গার সময় ১২ জনকে হত্যা, এক নারীকে গণধর্ষণের পৃথক ঘটনায় অভিযুক্ত ২৬ জনকে বেকসুর খালাস দিয়েছে গুজরাটের একটি আদালত। তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণের অভাবে তাদের খালাস দেওয়া হয়েছে।

২০ বছরের পুরোনো মামলায় মোট ৩৯ জন অভিযুক্ত ছিল। সেই অভিযুক্তদের মধ্যে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে ইতোমধ্যেই। গত শুক্রবার প্রমাণের অভাবে হত্যা, গণধর্ষণ ও দাঙ্গার অভিযোগ থাকা ২৬ জনকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

প্রসঙ্গত, ২০০২ সালের ১ মার্চ গুজরাটের গান্ধীনগরের কলোল এলাকায় শুরু হয়েছিল দাঙ্গা। ওই সহিংসতায় যুক্ত হয়েছিলেন ২ হাজারেরও বেশি মানুষ। বহু দোকানও ভাঙচুর করা হয়েছিল। অগ্নিসংযোগ করা হয়েছিল গাড়ি ও বাড়ি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল। পুলিশের গুলিতে এক যুবক জখম হয়েছিল। সেই যুবককে পুলিশ টেম্পো করে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিল। তখন তাকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়েছিল। উত্তেজিত জনতা আরও একজনকে হত্যা করেছিল সেখানে। এদিকে অপর এক ঘটনায় দেলোল গ্রাম থেকে আসা ৩৮ জনের ওপর হামলা চালিয়েছিল দাঙ্গাবাজরা। সেখানে ১১ জনকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়েছিল। সেই সময় এক নারীকে গণধর্ষণও করা হয়েছিল।

আরও পড়ুন: ৭ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্পে কাঁপল পাপুয়া নিউ গিনি

এসব ঘটনায় পৃথক মামলা চলছে বিগত দুই দশক ধরে। এতে মোট ১৯০ জন সাক্ষ্য প্রদান করেছেন। পুলিশের পক্ষ থেকে ৩৩৪টি প্রমাণ জমা দেওয়া হয়েছে আদালতে। তবে সাক্ষীদের বয়ানে অসঙ্গতি রয়েছে বলে জানান বিচারক। আবার পুলিশের তদন্তেও গাফিলতি ছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে রায়ে।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x
English Version

গুজরাট দাঙ্গায় অভিযুক্ত ২৬ জনকে খালাস

আপডেট: ১১:৫৯:১৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ এপ্রিল ২০২৩

২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গার সময় ১২ জনকে হত্যা, এক নারীকে গণধর্ষণের পৃথক ঘটনায় অভিযুক্ত ২৬ জনকে বেকসুর খালাস দিয়েছে গুজরাটের একটি আদালত। তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণের অভাবে তাদের খালাস দেওয়া হয়েছে।

২০ বছরের পুরোনো মামলায় মোট ৩৯ জন অভিযুক্ত ছিল। সেই অভিযুক্তদের মধ্যে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে ইতোমধ্যেই। গত শুক্রবার প্রমাণের অভাবে হত্যা, গণধর্ষণ ও দাঙ্গার অভিযোগ থাকা ২৬ জনকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

প্রসঙ্গত, ২০০২ সালের ১ মার্চ গুজরাটের গান্ধীনগরের কলোল এলাকায় শুরু হয়েছিল দাঙ্গা। ওই সহিংসতায় যুক্ত হয়েছিলেন ২ হাজারেরও বেশি মানুষ। বহু দোকানও ভাঙচুর করা হয়েছিল। অগ্নিসংযোগ করা হয়েছিল গাড়ি ও বাড়ি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল। পুলিশের গুলিতে এক যুবক জখম হয়েছিল। সেই যুবককে পুলিশ টেম্পো করে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিল। তখন তাকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়েছিল। উত্তেজিত জনতা আরও একজনকে হত্যা করেছিল সেখানে। এদিকে অপর এক ঘটনায় দেলোল গ্রাম থেকে আসা ৩৮ জনের ওপর হামলা চালিয়েছিল দাঙ্গাবাজরা। সেখানে ১১ জনকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়েছিল। সেই সময় এক নারীকে গণধর্ষণও করা হয়েছিল।

আরও পড়ুন: ৭ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্পে কাঁপল পাপুয়া নিউ গিনি

এসব ঘটনায় পৃথক মামলা চলছে বিগত দুই দশক ধরে। এতে মোট ১৯০ জন সাক্ষ্য প্রদান করেছেন। পুলিশের পক্ষ থেকে ৩৩৪টি প্রমাণ জমা দেওয়া হয়েছে আদালতে। তবে সাক্ষীদের বয়ানে অসঙ্গতি রয়েছে বলে জানান বিচারক। আবার পুলিশের তদন্তেও গাফিলতি ছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে রায়ে।

ঢাকা/এসএ