০২:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ০১ মে ২০২৪

ঘন কুয়াশায় দেখা নেই সূর্যের, বৃষ্টি হবে কবে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১০:৫০:১৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ৪১২৫ বার দেখা হয়েছে

ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে আছে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশ। দেশের উত্তরাঞ্চলে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। বেড়েছে শীতের তীব্রতা ও দেখা নেই সূর্যের। তিন দিন ধরে এ অবস্থা হওয়ায় অনেকেই ভাবছেন সামনে শীতের তীব্রতা কমে আসবে। তবে তাদের জন্য কিছুটা দুঃসংবাদ দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

আবহাওয়া অফিস বলছে, তীব্র শীতের সঙ্গে দেশের বেশিরভাগ এলাকায় রাতে ও ভোরের দিকে কুয়াশার দাপট অব্যাহত থাকবে। দমকা হাওয়া বা বৃষ্টি না নামলে ঘন কুয়াশা সরবে না। আর কুয়াশা না সরলে রোদ এসে শীতের দাপট কমাতে পারবে না।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, আগামী বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে আকাশে মেঘ জমতে পারে। অনেক জায়গায় শুরু হতে পারে বৃষ্টি। বৃষ্টি চলতে পারে দু-তিন দিন। এরপর শীতের তীব্রতা কিছুটা কমতে পারে। তবে বৃষ্টি চলে যাওয়ার পর দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কিছুটা বাড়বে। তখন দিনে শীতের অনুভূতি কিছুটা কমে আসবে। তবে রাতে শীতের তীব্রতা এখনকার মতোই থাকতে পারে।

দেশের গড় তাপমাত্রা বিবেচনায় বছরের সবচেয়ে শীতলতম মাস জানুয়ারি, এর পরেই ডিসেম্বর। তবে এবার ডিসেম্বরে দেশের সব এলাকায় শীতের তীব্রতা ছিল না। বিশেষ করে রাজধানী ঢাকায় শীতের অনুভূতি ছিল তুলনামূলকভাবে কম। জানুয়ারির প্রথম দিকে কিছুটা কম থাকলেও ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করেছে শীতের তীব্রতা। মাসের বাকি অর্ধেকটা সময় শীতের তীব্রতা খুব বেশি কমে আসার সম্ভাবনা নেই।

রাজধানী ঢাকায় গত চারদিন ধরে দিনে দেড়-দুই ঘণ্টার বেশি রোদ থাকছে না। অন্যদিকে, দেশের উত্তরাঞ্চলের অনেক এলাকায় সারাদিনে একবারও ঠিকমতো সূর্যের দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। তিন দিন ধরে পরিস্থিতি এমন, যেন ঘন কুয়াশার চাদর ঘিরে রেখেছে আশপাশ। শীতের কষ্ট থেকে রক্ষা পেতে উত্তরাঞ্চলের অনেক এলাকার মানুষ জরুরি প্রয়োজন ছাড়া সন্ধ্যার পর বাইরে কমই বের হচ্ছেন।

আরও পড়ুন: আজ ঢাকার বায়ু ‘অস্বাস্থ্যকর’

সারাদেশে কুয়াশার দাপট বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে গত ডিসেম্বর মাসজুড়ে থাকা বাড়তি তাপমাত্রাকে দায়ী করছেন আবহাওয়াবিদেরা। ডিসেম্বর মাসে দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে ২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বেশি ছিল। জানুয়ারিতে এসে তাপমাত্রা হঠাৎ ৪-৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে গেছে। আর হঠাৎ তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় প্রচুর কুয়াশা তৈরি হয়েছে। এতে কুয়াশার কারণে সূর্যের আলো ভূমিতে কম আসতে পারায় শীতের অনুভূতি বেশি হচ্ছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশের চার জেলা- রাজশাহী, পঞ্চগড়, চুয়াডাঙ্গা ও দিনাজপুরে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল দিনাজপুরে- ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর রাজধানীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

ঢাকা/কেএ

শেয়ার করুন

x
English Version

ঘন কুয়াশায় দেখা নেই সূর্যের, বৃষ্টি হবে কবে

আপডেট: ১০:৫০:১৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৪

ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে আছে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশ। দেশের উত্তরাঞ্চলে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। বেড়েছে শীতের তীব্রতা ও দেখা নেই সূর্যের। তিন দিন ধরে এ অবস্থা হওয়ায় অনেকেই ভাবছেন সামনে শীতের তীব্রতা কমে আসবে। তবে তাদের জন্য কিছুটা দুঃসংবাদ দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

আবহাওয়া অফিস বলছে, তীব্র শীতের সঙ্গে দেশের বেশিরভাগ এলাকায় রাতে ও ভোরের দিকে কুয়াশার দাপট অব্যাহত থাকবে। দমকা হাওয়া বা বৃষ্টি না নামলে ঘন কুয়াশা সরবে না। আর কুয়াশা না সরলে রোদ এসে শীতের দাপট কমাতে পারবে না।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, আগামী বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে আকাশে মেঘ জমতে পারে। অনেক জায়গায় শুরু হতে পারে বৃষ্টি। বৃষ্টি চলতে পারে দু-তিন দিন। এরপর শীতের তীব্রতা কিছুটা কমতে পারে। তবে বৃষ্টি চলে যাওয়ার পর দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কিছুটা বাড়বে। তখন দিনে শীতের অনুভূতি কিছুটা কমে আসবে। তবে রাতে শীতের তীব্রতা এখনকার মতোই থাকতে পারে।

দেশের গড় তাপমাত্রা বিবেচনায় বছরের সবচেয়ে শীতলতম মাস জানুয়ারি, এর পরেই ডিসেম্বর। তবে এবার ডিসেম্বরে দেশের সব এলাকায় শীতের তীব্রতা ছিল না। বিশেষ করে রাজধানী ঢাকায় শীতের অনুভূতি ছিল তুলনামূলকভাবে কম। জানুয়ারির প্রথম দিকে কিছুটা কম থাকলেও ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করেছে শীতের তীব্রতা। মাসের বাকি অর্ধেকটা সময় শীতের তীব্রতা খুব বেশি কমে আসার সম্ভাবনা নেই।

রাজধানী ঢাকায় গত চারদিন ধরে দিনে দেড়-দুই ঘণ্টার বেশি রোদ থাকছে না। অন্যদিকে, দেশের উত্তরাঞ্চলের অনেক এলাকায় সারাদিনে একবারও ঠিকমতো সূর্যের দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। তিন দিন ধরে পরিস্থিতি এমন, যেন ঘন কুয়াশার চাদর ঘিরে রেখেছে আশপাশ। শীতের কষ্ট থেকে রক্ষা পেতে উত্তরাঞ্চলের অনেক এলাকার মানুষ জরুরি প্রয়োজন ছাড়া সন্ধ্যার পর বাইরে কমই বের হচ্ছেন।

আরও পড়ুন: আজ ঢাকার বায়ু ‘অস্বাস্থ্যকর’

সারাদেশে কুয়াশার দাপট বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে গত ডিসেম্বর মাসজুড়ে থাকা বাড়তি তাপমাত্রাকে দায়ী করছেন আবহাওয়াবিদেরা। ডিসেম্বর মাসে দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে ২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বেশি ছিল। জানুয়ারিতে এসে তাপমাত্রা হঠাৎ ৪-৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে গেছে। আর হঠাৎ তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় প্রচুর কুয়াশা তৈরি হয়েছে। এতে কুয়াশার কারণে সূর্যের আলো ভূমিতে কম আসতে পারায় শীতের অনুভূতি বেশি হচ্ছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশের চার জেলা- রাজশাহী, পঞ্চগড়, চুয়াডাঙ্গা ও দিনাজপুরে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল দিনাজপুরে- ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর রাজধানীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

ঢাকা/কেএ