০২:০৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

জনপ্রতি ফিতরা সর্বোচ্চ ২৩১০, সর্বনিম্ন ৭০ টাকা

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৯:৩৬:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ এপ্রিল ২০২১
  • / ৪১০৩ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদকঃ চলতি বছর জনপ্রতি ফিতরা সর্বোচ্চ ২ হাজার ৩১০ টাকা এবং সর্বনিম্ন ৭০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বুধবার (২১ এপ্রিল) ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। গত বছরও সর্বনিম্ন ফিতরা ছিল ৭০ টাকা, আর সর্বোচ্চ ছিল ২ হাজার ২০০ টাকা।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সকালে জাতীয় ফিতরা কমিটির এক ভার্চুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় ফিতরা কমিটির সভাপতি ও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম মাওলানা মুফতি মিজানুর রহমান।

সভায় সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত হয় ইসলামী শরিয়াহ অনুযায়ী আটা, যব, গম, কিসমিস, খেজুর ও পনির ইত্যাদি পণ্যের যেকোনো একটি দিয়ে ফিতরা দেওয়া যায়।

দেশের সব বিভাগ থেকে সংগৃহীত আটা, যব, গম, কিসমিস, খেজুর ও পনিরের সর্বোচ্চ বাজারমূল্যের ভিত্তিতে ফিতরা নির্ধারণ করা হয়েছে। মুসলমানরা নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী পণ্যগুলোর যেকোনো একটি পণ্য বা এর বাজারমূল্য দিয়ে ফিতরা আদায় করতে পারবেন।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি বলছে, উন্নতমানের গম বা আটা দিয়ে ফিতরা আদায় করলে তার সমমূল্য বা ১ কেজি ৬শ গ্রাম বা বাজার মূল্য ৭০ টাকা দিতে হবে, যব দিয়ে আদায় করলে ৩ কেজি ৩শ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ২৮০ টাকা, কিসমিস দিয়ে আদায় করলে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর সর্বোচ্চ বাজার মূল্য ১ হাজার ৩২০ টাকা, খেজুর দিয়ে আদায় করলে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর সর্বোচ্চ বাজার মূল্য ১ হাজার ৬৫০ টাকা, পনির দিয়ে ফিতরা আদায় করলে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর সর্বোচ্চ বাজারমূল্য ২ হাজার ৩১০ টাকা দিতে হবে।

তবে এসব পণ্যে বাজার মূল্যে তারতম্য রয়েছে, তাই স্থানীয় বাজার দরের সঙ্গে মিল রেখে ফিতরা দেওয়া যাবে বলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।

সভায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গর্ভনর ড. মাওলানা মুহাম্মদ কাফিউদ্দিন সরকার ও হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমীন, বিশিষ্ট মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমা সাঈদ, মাওলানা আবদুল রাজ্জাক, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক আনিসুর রহমান, উপ-পরিচালক ড. মো. আবদুর জলিল, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ আবদুল্লাহগ, মুহাদ্দিস মুফতি ওয়ালিয়ুর রহমান খান, মুফাসসির ড. মাওলানা মুহাম্মদ আবু সালেহ পাটোয়ারীসহ দেশের বিশিষ্ট আলেম ওলামারা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x
English Version

জনপ্রতি ফিতরা সর্বোচ্চ ২৩১০, সর্বনিম্ন ৭০ টাকা

আপডেট: ০৯:৩৬:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ এপ্রিল ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদকঃ চলতি বছর জনপ্রতি ফিতরা সর্বোচ্চ ২ হাজার ৩১০ টাকা এবং সর্বনিম্ন ৭০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বুধবার (২১ এপ্রিল) ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। গত বছরও সর্বনিম্ন ফিতরা ছিল ৭০ টাকা, আর সর্বোচ্চ ছিল ২ হাজার ২০০ টাকা।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সকালে জাতীয় ফিতরা কমিটির এক ভার্চুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় ফিতরা কমিটির সভাপতি ও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম মাওলানা মুফতি মিজানুর রহমান।

সভায় সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত হয় ইসলামী শরিয়াহ অনুযায়ী আটা, যব, গম, কিসমিস, খেজুর ও পনির ইত্যাদি পণ্যের যেকোনো একটি দিয়ে ফিতরা দেওয়া যায়।

দেশের সব বিভাগ থেকে সংগৃহীত আটা, যব, গম, কিসমিস, খেজুর ও পনিরের সর্বোচ্চ বাজারমূল্যের ভিত্তিতে ফিতরা নির্ধারণ করা হয়েছে। মুসলমানরা নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী পণ্যগুলোর যেকোনো একটি পণ্য বা এর বাজারমূল্য দিয়ে ফিতরা আদায় করতে পারবেন।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি বলছে, উন্নতমানের গম বা আটা দিয়ে ফিতরা আদায় করলে তার সমমূল্য বা ১ কেজি ৬শ গ্রাম বা বাজার মূল্য ৭০ টাকা দিতে হবে, যব দিয়ে আদায় করলে ৩ কেজি ৩শ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ২৮০ টাকা, কিসমিস দিয়ে আদায় করলে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর সর্বোচ্চ বাজার মূল্য ১ হাজার ৩২০ টাকা, খেজুর দিয়ে আদায় করলে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর সর্বোচ্চ বাজার মূল্য ১ হাজার ৬৫০ টাকা, পনির দিয়ে ফিতরা আদায় করলে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর সর্বোচ্চ বাজারমূল্য ২ হাজার ৩১০ টাকা দিতে হবে।

তবে এসব পণ্যে বাজার মূল্যে তারতম্য রয়েছে, তাই স্থানীয় বাজার দরের সঙ্গে মিল রেখে ফিতরা দেওয়া যাবে বলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।

সভায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গর্ভনর ড. মাওলানা মুহাম্মদ কাফিউদ্দিন সরকার ও হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমীন, বিশিষ্ট মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমা সাঈদ, মাওলানা আবদুল রাজ্জাক, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক আনিসুর রহমান, উপ-পরিচালক ড. মো. আবদুর জলিল, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ আবদুল্লাহগ, মুহাদ্দিস মুফতি ওয়ালিয়ুর রহমান খান, মুফাসসির ড. মাওলানা মুহাম্মদ আবু সালেহ পাটোয়ারীসহ দেশের বিশিষ্ট আলেম ওলামারা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/এসএ