০৫:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪

জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ গঠন

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১০:৫৭:৫৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ৪১৮৫ বার দেখা হয়েছে

‘সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন-২০২৩’ এর আওতায় জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ গঠন করেছে সরকার। দেশে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা চালু করতে এ কর্তৃপক্ষ গঠন করা হয়েছে বলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।

সোমবার (১৩ফেব্রুয়ারি) বিকেলে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. গোলাম মোস্তফা স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, দেশের সর্বস্তরের জনগণকে টেকসই পেনশন কাঠামোয় অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্যে প্রণীত সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২৩-এর ৪(১) ধারা অনুযায়ী ‘জতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ’ প্রতিষ্ঠা করা হলো। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

তবে, অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে পেনশন কর্তৃপক্ষের গঠন সম্পর্কে বিস্তারিত আর কিছু বলা হয়নি। জাতীয় সংসদে পাস হওয়ার পর গত ৩১ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২৩-এর অনুমোদন দেন। তার পরেই এটি গেজেট আকারে প্রকাশ এবং আইনটির ক্ষমতা বলে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা করা হয়।

আরও পড়ুন: আজ ঢাকায় আসছেন শোলেট

পেনশন আইনে কর্তৃপক্ষকে একটি বিধিবদ্ধ সংস্থা হিসেবে অভিহিত করে বলা হয়েছে, কর্তৃপক্ষের স্থায়ী ধারাবাহিকতায় একটি সিলমোহর থাকবে। এর কার্যালয় হবে ঢাকায়।

কর্তৃপক্ষের একজন নির্বাহী চেয়ারম্যান ও চারজন সদস্য থাকবেন। তারা সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হবেন। তাদের চাকরির মেয়াদ ও শর্ত বিধি দ্বারা নির্ধারিত হবে। কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হবেন নির্বাহী চেয়ারম্যান। কর্তৃপক্ষসহ সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানের ব্যয় সরকার বহন করবে।

গঠিত কর্তৃপক্ষ স্থাবর বা অস্থাবর উভয় প্রকার সম্পত্তি অর্জন, সম্পত্তি অধিকারে রাখতে ও হস্তান্তর করতে পারবে এবং সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে নিজ নামে ঋণ নিতে পারবে। কর্তৃপক্ষ নিজ নামে মামলা দায়ের এবং আদালতের মাধ্যমে সম্পত্তি ও ব্যাংক হিসাব ক্রোক করতে পারবে। কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করারও সুযোগ রাখা হয়েছে আইনে।

কর্তৃপক্ষের কার্যপরিধি হিসেবে ১২টি কাজের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষের প্রথম কাজ হবে সর্বজনীন পেনশন পদ্ধতি চালু, সুষ্ঠু ব্যস্থাপনা ও উন্নয়ন নিশ্চিতকরণ। সর্বজনীন পেনশন পদ্ধতির আওতায় এর চাঁদাদাতাদের স্বার্থ সংরক্ষণ, পেনশন স্কিমে চাঁদাদাতাদের জমাকৃত অর্থের সুরক্ষা নিশ্চিতকরণ এবং চাঁদাদাতাদের অভিযোগ নিষ্পত্তি করার দায়িত্বও থাকবে এই কর্তৃপক্ষের।

পেনশন আইনে অর্থমন্ত্রীর নেতৃত্বে ১৬ সদস্য বিশিষ্ট একটি পেনশন পরিচালনা পর্ষদও গঠন করা হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর, অর্থ সচিব, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব, এফবিসিসিআই’র সভাপতি, বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের সভাপতি, বাংলাদেশ উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি প্রমুখ এর সদস্য হবেন।

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

x
English Version

জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ গঠন

আপডেট: ১০:৫৭:৫৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

‘সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন-২০২৩’ এর আওতায় জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ গঠন করেছে সরকার। দেশে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা চালু করতে এ কর্তৃপক্ষ গঠন করা হয়েছে বলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।

সোমবার (১৩ফেব্রুয়ারি) বিকেলে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. গোলাম মোস্তফা স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, দেশের সর্বস্তরের জনগণকে টেকসই পেনশন কাঠামোয় অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্যে প্রণীত সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২৩-এর ৪(১) ধারা অনুযায়ী ‘জতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ’ প্রতিষ্ঠা করা হলো। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

তবে, অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে পেনশন কর্তৃপক্ষের গঠন সম্পর্কে বিস্তারিত আর কিছু বলা হয়নি। জাতীয় সংসদে পাস হওয়ার পর গত ৩১ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২৩-এর অনুমোদন দেন। তার পরেই এটি গেজেট আকারে প্রকাশ এবং আইনটির ক্ষমতা বলে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা করা হয়।

আরও পড়ুন: আজ ঢাকায় আসছেন শোলেট

পেনশন আইনে কর্তৃপক্ষকে একটি বিধিবদ্ধ সংস্থা হিসেবে অভিহিত করে বলা হয়েছে, কর্তৃপক্ষের স্থায়ী ধারাবাহিকতায় একটি সিলমোহর থাকবে। এর কার্যালয় হবে ঢাকায়।

কর্তৃপক্ষের একজন নির্বাহী চেয়ারম্যান ও চারজন সদস্য থাকবেন। তারা সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হবেন। তাদের চাকরির মেয়াদ ও শর্ত বিধি দ্বারা নির্ধারিত হবে। কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হবেন নির্বাহী চেয়ারম্যান। কর্তৃপক্ষসহ সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানের ব্যয় সরকার বহন করবে।

গঠিত কর্তৃপক্ষ স্থাবর বা অস্থাবর উভয় প্রকার সম্পত্তি অর্জন, সম্পত্তি অধিকারে রাখতে ও হস্তান্তর করতে পারবে এবং সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে নিজ নামে ঋণ নিতে পারবে। কর্তৃপক্ষ নিজ নামে মামলা দায়ের এবং আদালতের মাধ্যমে সম্পত্তি ও ব্যাংক হিসাব ক্রোক করতে পারবে। কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করারও সুযোগ রাখা হয়েছে আইনে।

কর্তৃপক্ষের কার্যপরিধি হিসেবে ১২টি কাজের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষের প্রথম কাজ হবে সর্বজনীন পেনশন পদ্ধতি চালু, সুষ্ঠু ব্যস্থাপনা ও উন্নয়ন নিশ্চিতকরণ। সর্বজনীন পেনশন পদ্ধতির আওতায় এর চাঁদাদাতাদের স্বার্থ সংরক্ষণ, পেনশন স্কিমে চাঁদাদাতাদের জমাকৃত অর্থের সুরক্ষা নিশ্চিতকরণ এবং চাঁদাদাতাদের অভিযোগ নিষ্পত্তি করার দায়িত্বও থাকবে এই কর্তৃপক্ষের।

পেনশন আইনে অর্থমন্ত্রীর নেতৃত্বে ১৬ সদস্য বিশিষ্ট একটি পেনশন পরিচালনা পর্ষদও গঠন করা হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর, অর্থ সচিব, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব, এফবিসিসিআই’র সভাপতি, বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের সভাপতি, বাংলাদেশ উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি প্রমুখ এর সদস্য হবেন।

ঢাকা/টিএ