০৫:৫৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

জাহাজ নির্মাণে পুনঃঅর্থায়ন স্কিমের অর্থ তিন কিস্তিতে হস্তান্তরের নির্দেশ

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১২:০৮:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জুন ২০২২
  • / ৪১৩৫ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: জাহাজ নির্মাণ শিল্পে গঠিত দুই হাজার কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন স্কিম থেকে একসঙ্গে ঋণের সব অর্থ নিতে পারবে না কোনো গ্রাহক। অন্তত তিন কিস্তিতে এই অর্থ গ্রাহকের কাছে হস্তান্তর করার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বুধবার (২২ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফ-সাইট সুপারভিশন থেকে এ সংক্রান্ত একাটি সার্কুলার জারি করা হয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এ অর্থ পেতে গ্রাহককে এক মাস বা ৩০ দিন আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের অফ-সাইট সুপারভিশন বরাবর আবেদন করতে হবে। পাশাপাশি কোনো প্রতিষ্ঠানের রপ্তানি বিল বাকি থাকলে ওই গ্রাহক এই তহবিল থেকে ঋণ পাবেন না বলেও জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এর আগে গত ২৬ মে দেশের জাহাজ নির্মাণ শিল্পের উন্নয়নে ২ হাজার কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন তহবিল গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। জাহাজ নির্মাণ শিল্প উন্নয়ন নীতিমালা-২০২১-এর আওতায় এ তহবিল গঠন করা হয়।

প্রজ্ঞাপনে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলে,  জাহাজ নির্মাণকারী রপ্তানিমুখী ও স্থানীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠানসহ জাহাজ নির্মাণ শিল্পের উন্নয়ন, পরিচালনা ও বিকাশের জন্য এ তহবিল থেকে ঋণ মিলবে। তহবিলটির আওতায় সর্বোচ্চ সাড়ে ৪ শতাংশ সুদে ঋণ মিলবে। আর ব্যাংকগুলো ১ শতাংশ সুদে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পুনঃঅর্থায়ন সুবিধা নিতে পারবে।

তবে আজকের সার্কুলারে এ ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে বেশ কিছু বিধিনিষেধও জুড়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বলেছে, ডক ইয়ার্ড নির্মাণ, জমি কেনা বা ইজারার বিপরীতে কেউ এ তহবিল থেকে ঋণ নিতে পারবেন না। ঋণ নিয়ে অন্য কোনো ঋণ বা ঋণের সুদও পরিশোধ করা যাবে না।

তহবিল পরিচালনার ক্ষেত্রে অংশগ্রহণকারী ব্যাংক ও বাংলাদেশে কার্যরত সব তফসিলি ব্যাংক এ পুনঃ অর্থায়ন সুবিধার যোগ্য বলে বিবেচিত হবে। পুনঃঅর্থায়ন নিতে আগ্রহী ব্যাংককে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে একটি অংশগ্রহণ চুক্তি করতে হবে।

সার্কুলারে আরও বলা হয়, গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী ব্যাংকগুলো সর্বোচ্চ তিন বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ সর্বোচ্চ ১২ বছর (৩ বছর+৯ বছর) মেয়াদে ঋণ বিতরণ করতে পারবে।

কোনো ব্যাংক নিজস্ব তহবিল থেকে এক বছর মেয়াদে চলতি মূলধন ঋণ নিতে পারবে। এ ক্ষেত্রে ব্যাংক প্রচলিত নিয়মানুযায়ী ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ঋণ দেবে এবং ব্যবসায়িক লেনদেন সন্তোষজনক হলে তা নবায়ন করতে পারবে। তবে নবায়নের মাধ্যমে কোনো গ্রাহক সর্বোচ্চ তিন বছর এ তহবিলের আওতায় ঘোষিত সুবিধা নিতে পারবে। বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজন বিবেচনায় চলতি মূলধন বাবদ দেওয়া ঋণের বিপরীতে এ তহবিলের আওতায় সুবিধার সময় কমাতে বা বাড়াতে পারবে।

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

x
English Version

জাহাজ নির্মাণে পুনঃঅর্থায়ন স্কিমের অর্থ তিন কিস্তিতে হস্তান্তরের নির্দেশ

আপডেট: ১২:০৮:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জুন ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: জাহাজ নির্মাণ শিল্পে গঠিত দুই হাজার কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন স্কিম থেকে একসঙ্গে ঋণের সব অর্থ নিতে পারবে না কোনো গ্রাহক। অন্তত তিন কিস্তিতে এই অর্থ গ্রাহকের কাছে হস্তান্তর করার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বুধবার (২২ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফ-সাইট সুপারভিশন থেকে এ সংক্রান্ত একাটি সার্কুলার জারি করা হয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এ অর্থ পেতে গ্রাহককে এক মাস বা ৩০ দিন আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের অফ-সাইট সুপারভিশন বরাবর আবেদন করতে হবে। পাশাপাশি কোনো প্রতিষ্ঠানের রপ্তানি বিল বাকি থাকলে ওই গ্রাহক এই তহবিল থেকে ঋণ পাবেন না বলেও জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এর আগে গত ২৬ মে দেশের জাহাজ নির্মাণ শিল্পের উন্নয়নে ২ হাজার কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন তহবিল গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। জাহাজ নির্মাণ শিল্প উন্নয়ন নীতিমালা-২০২১-এর আওতায় এ তহবিল গঠন করা হয়।

প্রজ্ঞাপনে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলে,  জাহাজ নির্মাণকারী রপ্তানিমুখী ও স্থানীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠানসহ জাহাজ নির্মাণ শিল্পের উন্নয়ন, পরিচালনা ও বিকাশের জন্য এ তহবিল থেকে ঋণ মিলবে। তহবিলটির আওতায় সর্বোচ্চ সাড়ে ৪ শতাংশ সুদে ঋণ মিলবে। আর ব্যাংকগুলো ১ শতাংশ সুদে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পুনঃঅর্থায়ন সুবিধা নিতে পারবে।

তবে আজকের সার্কুলারে এ ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে বেশ কিছু বিধিনিষেধও জুড়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বলেছে, ডক ইয়ার্ড নির্মাণ, জমি কেনা বা ইজারার বিপরীতে কেউ এ তহবিল থেকে ঋণ নিতে পারবেন না। ঋণ নিয়ে অন্য কোনো ঋণ বা ঋণের সুদও পরিশোধ করা যাবে না।

তহবিল পরিচালনার ক্ষেত্রে অংশগ্রহণকারী ব্যাংক ও বাংলাদেশে কার্যরত সব তফসিলি ব্যাংক এ পুনঃ অর্থায়ন সুবিধার যোগ্য বলে বিবেচিত হবে। পুনঃঅর্থায়ন নিতে আগ্রহী ব্যাংককে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে একটি অংশগ্রহণ চুক্তি করতে হবে।

সার্কুলারে আরও বলা হয়, গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী ব্যাংকগুলো সর্বোচ্চ তিন বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ সর্বোচ্চ ১২ বছর (৩ বছর+৯ বছর) মেয়াদে ঋণ বিতরণ করতে পারবে।

কোনো ব্যাংক নিজস্ব তহবিল থেকে এক বছর মেয়াদে চলতি মূলধন ঋণ নিতে পারবে। এ ক্ষেত্রে ব্যাংক প্রচলিত নিয়মানুযায়ী ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ঋণ দেবে এবং ব্যবসায়িক লেনদেন সন্তোষজনক হলে তা নবায়ন করতে পারবে। তবে নবায়নের মাধ্যমে কোনো গ্রাহক সর্বোচ্চ তিন বছর এ তহবিলের আওতায় ঘোষিত সুবিধা নিতে পারবে। বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজন বিবেচনায় চলতি মূলধন বাবদ দেওয়া ঋণের বিপরীতে এ তহবিলের আওতায় সুবিধার সময় কমাতে বা বাড়াতে পারবে।

ঢাকা/টিএ