০১:৩৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

জীবন যুদ্ধের অদম্য সৈনিক কৃষক মুকুব আলী

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৯:৫৩:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২১
  • / ৪১৩৪ বার দেখা হয়েছে
বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: কৃষক মুকুব আলী দেশের অহংকার, সকলের পথ প্রদর্শক। বাড়ি নরসিংদীর চরসিন্দুর সুলতানপুর গ্রাম। একজন বাংলার অদম্য কৃষি শ্রমিক। মকবুল আলিকে দেখলে মনে হয় আবহমান কালের চিরন্তন বাংলার মুখ দেখিয়াছি।
সত্যি আজকের আলেখ্য সেই দ্যুতিমান জীবন সংগ্রামী এক চাষাত্তোম কৃষকের গল্প। বাংলাদেশ কৃষিনির্ভর। দেশের অনেকেই প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কৃষির উপর নির্ভরশীল। যে কোন বয়সের লোকই একটু সময় হলেও কৃষিকাজে দিয়ে থাকে তেমনি পলাশ উপজেলার চরসিন্দুর ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামে দেখা মেলে একজন বয়োজ্যেষ্ঠ কৃষকের সাথে। 
যিনি নিজে লেখাপড়া না জানলেও সন্তানদের করেছেন সুশিক্ষিত। এ বয়সেও হার না মানা একজন কৃষক দেখতে পেয়ে বেশ বিস্মিত হতে হয়। দীর্ঘ সময় কথা হয় উনার সাথে। গল্পের এক ফাঁকে জানেছি এ বয়সেও কৃষি কাজ করতে বেশ ভালো লাগে তাঁর। নিজের হাতেই ক্ষেতের ধান কেটে অল্প অল্প করে বাড়ি ফিরছেন তিনি। 
তিনি আরো জানান, কাজ করি বলেইতো এখনও এই বয়সে বেশ সুস্থ্য আছি। ওনার কথায় বেশ সাহস এবং অনুপ্রেরণার স্পর্শে মনটা ভরে উঠলো। বেঁচে থাকার আনন্দটা বুকে আন্দোলিত হয়ে আর একবার বাজলো। 
হজ্ব করে আসা মুকুব আলী প্রতিবেশী কেউ মারা গেলে মৃত ব্যক্তির গোসলের কাজ স্বেচ্ছায় করে থাকেন। এপর্যন্ত বহু মৃত ব্যক্তিদের গোছল তিনি করিয়েছেন। ব্যক্তি জীবনে ৩ ছেলে ও ২ মেয়ের জনক কৃষক মুকুব আলী।
এলাকায় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, মুকুব আলী একজন সহজ সরল ও সাদা মনের মানুষ। বেশ মিশুক ও সদাহাস্যজ্বল তিনি। এমন ভালো মানের মানুষকে দেখতে পেলে কারনা ভালো লাগে।
তিনি সব মানুষের জন্য মঙ্গল ও দোয়া চান। উনার মেজ ছেলে জানান,  আমার বাবার মতো বাবা আর হয়না। নিজে লেখা পড়া না করেও আমাদের ভাই বোনদের মোটামোটি শিক্ষিত করেছে। অক্লান্ত পরিশ্রম করে আমাদের বড় করেছেন। 
এই ঋণ দুনিয়াতে কেন আখেরাতে ও শোধ করতে পারবো আমরা।  সন্তানেরা অনেক বারণ করেও কৃষি কাজ থেকে বিরত করতে পারছেনা। তিনি কৃষিকে এতোই ভালোবাসেন যে কারো কথা শোনেন না । মুকুব আলী’র  ইচ্ছে জীবনে কৃষি কাজ করে বড় হয়েছি, তাই যতদিন শরীর ভালো ততদিন কৃষি কাজ করে যাবো।
তাই এবয়সেও প্রতিনিয়ত সময় দিয়ে যাচ্ছেন কৃষিকাজে। এত বয়োজ্যেষ্ঠ লোক কৃষিকাজে সম্পৃক্ততা আছে আজকাল এমনটা কোথাও চোখে পড়েনা। কিন্তু মুকুব আলী শেষ বয়সেও এক অদম্য জীবন সৈনিক। তিনি সকল মানুষের পথ প্রদর্শক। দেশের অহংকার। জাতিকে কাজের মধ্যেই জয়, এই অনুপ্রেরণা ও মন্ত্রে শিক্ষা দিয়ে যাক এই কামনা সবার।
নরসিংদী/বোরহান

শেয়ার করুন

x
English Version

জীবন যুদ্ধের অদম্য সৈনিক কৃষক মুকুব আলী

আপডেট: ০৯:৫৩:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২১
বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: কৃষক মুকুব আলী দেশের অহংকার, সকলের পথ প্রদর্শক। বাড়ি নরসিংদীর চরসিন্দুর সুলতানপুর গ্রাম। একজন বাংলার অদম্য কৃষি শ্রমিক। মকবুল আলিকে দেখলে মনে হয় আবহমান কালের চিরন্তন বাংলার মুখ দেখিয়াছি।
সত্যি আজকের আলেখ্য সেই দ্যুতিমান জীবন সংগ্রামী এক চাষাত্তোম কৃষকের গল্প। বাংলাদেশ কৃষিনির্ভর। দেশের অনেকেই প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কৃষির উপর নির্ভরশীল। যে কোন বয়সের লোকই একটু সময় হলেও কৃষিকাজে দিয়ে থাকে তেমনি পলাশ উপজেলার চরসিন্দুর ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামে দেখা মেলে একজন বয়োজ্যেষ্ঠ কৃষকের সাথে। 
যিনি নিজে লেখাপড়া না জানলেও সন্তানদের করেছেন সুশিক্ষিত। এ বয়সেও হার না মানা একজন কৃষক দেখতে পেয়ে বেশ বিস্মিত হতে হয়। দীর্ঘ সময় কথা হয় উনার সাথে। গল্পের এক ফাঁকে জানেছি এ বয়সেও কৃষি কাজ করতে বেশ ভালো লাগে তাঁর। নিজের হাতেই ক্ষেতের ধান কেটে অল্প অল্প করে বাড়ি ফিরছেন তিনি। 
তিনি আরো জানান, কাজ করি বলেইতো এখনও এই বয়সে বেশ সুস্থ্য আছি। ওনার কথায় বেশ সাহস এবং অনুপ্রেরণার স্পর্শে মনটা ভরে উঠলো। বেঁচে থাকার আনন্দটা বুকে আন্দোলিত হয়ে আর একবার বাজলো। 
হজ্ব করে আসা মুকুব আলী প্রতিবেশী কেউ মারা গেলে মৃত ব্যক্তির গোসলের কাজ স্বেচ্ছায় করে থাকেন। এপর্যন্ত বহু মৃত ব্যক্তিদের গোছল তিনি করিয়েছেন। ব্যক্তি জীবনে ৩ ছেলে ও ২ মেয়ের জনক কৃষক মুকুব আলী।
এলাকায় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, মুকুব আলী একজন সহজ সরল ও সাদা মনের মানুষ। বেশ মিশুক ও সদাহাস্যজ্বল তিনি। এমন ভালো মানের মানুষকে দেখতে পেলে কারনা ভালো লাগে।
তিনি সব মানুষের জন্য মঙ্গল ও দোয়া চান। উনার মেজ ছেলে জানান,  আমার বাবার মতো বাবা আর হয়না। নিজে লেখা পড়া না করেও আমাদের ভাই বোনদের মোটামোটি শিক্ষিত করেছে। অক্লান্ত পরিশ্রম করে আমাদের বড় করেছেন। 
এই ঋণ দুনিয়াতে কেন আখেরাতে ও শোধ করতে পারবো আমরা।  সন্তানেরা অনেক বারণ করেও কৃষি কাজ থেকে বিরত করতে পারছেনা। তিনি কৃষিকে এতোই ভালোবাসেন যে কারো কথা শোনেন না । মুকুব আলী’র  ইচ্ছে জীবনে কৃষি কাজ করে বড় হয়েছি, তাই যতদিন শরীর ভালো ততদিন কৃষি কাজ করে যাবো।
তাই এবয়সেও প্রতিনিয়ত সময় দিয়ে যাচ্ছেন কৃষিকাজে। এত বয়োজ্যেষ্ঠ লোক কৃষিকাজে সম্পৃক্ততা আছে আজকাল এমনটা কোথাও চোখে পড়েনা। কিন্তু মুকুব আলী শেষ বয়সেও এক অদম্য জীবন সৈনিক। তিনি সকল মানুষের পথ প্রদর্শক। দেশের অহংকার। জাতিকে কাজের মধ্যেই জয়, এই অনুপ্রেরণা ও মন্ত্রে শিক্ষা দিয়ে যাক এই কামনা সবার।
নরসিংদী/বোরহান