০৫:৪৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪

ডলার নয়, সোনা দিয়ে তেল কিনতে চায় ঘানা

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১২:৩৬:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ নভেম্বর ২০২২
  • / ৪১৫৩ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল ডেস্ক: নিজেদের অর্থনৈতিক ভারসাম্য ও বিশেষ করে ডলারের মজুত বাঁচাতে স্বর্ণের বিনিময়ে তেল কেনার পরিকল্পনা করছে ঘানা। দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহামুদু বাওউমিয়া গত বৃহস্পতিবার ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে এ পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। খবর আল-জাজিরার

বৈশ্বিক মন্দায় আন্তর্জাতিক বিনিময় মুদ্রা হিসেবে ব্যবহৃত ডলারের চাহিদা বেড়েছে। বিশেষ করে জ্বালানি তেল আমদানি করতে হয়, এমন দেশে ডলারের মজুত কমছে প্রতিনিয়তই। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে উচ্চ মূল্যস্ফীতি। এমন এক পরিস্থিতিতে ডলার–সংকট কাটাতে এ পরিকল্পনার কথা জানায় ঘানা।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

সরকারি হিসাব অনুযায়ী ২০২১ সালের শেষে ৯৭০ কোটি ডলার মজুত ছিল দেশটিতে। গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট বৈদেশিক মুদ্রার মজুত কমে দাঁড়ায় প্রায় ৬৬০ কোটি ডলারে। হাতে থাকা এই ডলার দিয়ে দেশটি তাদের তিন মাসের আমদানি ব্যয় পরিশোধ করতে পারবে।

এমন পরিস্থিতিতে ২০২৩ সালের শুরু থেকে সোনা দিয়ে আমদানি করা জ্বালানির মূল্য পরিশোধের পরিকল্পনা করছে ঘানা। দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহামুদু বাওউমিয়া বলেছেন, ‘সরকারের নেওয়া নতুন নীতি আমাদের বিনিময় ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনবে। এতে করে দেশীয় মুদ্রার ক্রমাগত অবমূল্যায়ন অনেকটা হ্রাস পাবে।’

আরও পড়ুন: তুর্কি ধর্মগুরুর ৮ হাজার ৬৫৮ বছরের কারাদণ্ড!

তিনি বলেন, ‘সোনা দিয়ে তেল আমদানি করলে মুদ্রা বিনিময় হার সরাসরি জ্বালানি বিলের ওপর প্রভাব ফেলবে না। কারণ, দেশীয় বিক্রেতাদের তেল বা তেলজাতীয় পণ্য আমদানিতে তখন আর বৈদেশিক মুদ্রার প্রয়োজন হবে না। সোনা দিয়ে তেল আমদানি বিনিময়ব্যবস্থায় কাঠামোগত পরিবর্তন আনবে।’

ঘানা অপরিশোধিত জ্বালানি তেল উৎপাদন করে। তবে ব্যবহার করার জন্য পরিশোধন করতে পারে না। ২০১৭ সাল থেকে ঘানা এ সমস্যায় আছে। সে বছর ভয়াবহ এক বিস্ফোরণে দেশটির একটি তেল পরিশোধনাগার বন্ধ হয়ে যায়। সেটিই ছিল দেশটির একমাত্র জ্বালানি তেল শোধনাগার।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x

ডলার নয়, সোনা দিয়ে তেল কিনতে চায় ঘানা

আপডেট: ১২:৩৬:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ নভেম্বর ২০২২

বিজনেস জার্নাল ডেস্ক: নিজেদের অর্থনৈতিক ভারসাম্য ও বিশেষ করে ডলারের মজুত বাঁচাতে স্বর্ণের বিনিময়ে তেল কেনার পরিকল্পনা করছে ঘানা। দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহামুদু বাওউমিয়া গত বৃহস্পতিবার ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে এ পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। খবর আল-জাজিরার

বৈশ্বিক মন্দায় আন্তর্জাতিক বিনিময় মুদ্রা হিসেবে ব্যবহৃত ডলারের চাহিদা বেড়েছে। বিশেষ করে জ্বালানি তেল আমদানি করতে হয়, এমন দেশে ডলারের মজুত কমছে প্রতিনিয়তই। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে উচ্চ মূল্যস্ফীতি। এমন এক পরিস্থিতিতে ডলার–সংকট কাটাতে এ পরিকল্পনার কথা জানায় ঘানা।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

সরকারি হিসাব অনুযায়ী ২০২১ সালের শেষে ৯৭০ কোটি ডলার মজুত ছিল দেশটিতে। গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট বৈদেশিক মুদ্রার মজুত কমে দাঁড়ায় প্রায় ৬৬০ কোটি ডলারে। হাতে থাকা এই ডলার দিয়ে দেশটি তাদের তিন মাসের আমদানি ব্যয় পরিশোধ করতে পারবে।

এমন পরিস্থিতিতে ২০২৩ সালের শুরু থেকে সোনা দিয়ে আমদানি করা জ্বালানির মূল্য পরিশোধের পরিকল্পনা করছে ঘানা। দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহামুদু বাওউমিয়া বলেছেন, ‘সরকারের নেওয়া নতুন নীতি আমাদের বিনিময় ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনবে। এতে করে দেশীয় মুদ্রার ক্রমাগত অবমূল্যায়ন অনেকটা হ্রাস পাবে।’

আরও পড়ুন: তুর্কি ধর্মগুরুর ৮ হাজার ৬৫৮ বছরের কারাদণ্ড!

তিনি বলেন, ‘সোনা দিয়ে তেল আমদানি করলে মুদ্রা বিনিময় হার সরাসরি জ্বালানি বিলের ওপর প্রভাব ফেলবে না। কারণ, দেশীয় বিক্রেতাদের তেল বা তেলজাতীয় পণ্য আমদানিতে তখন আর বৈদেশিক মুদ্রার প্রয়োজন হবে না। সোনা দিয়ে তেল আমদানি বিনিময়ব্যবস্থায় কাঠামোগত পরিবর্তন আনবে।’

ঘানা অপরিশোধিত জ্বালানি তেল উৎপাদন করে। তবে ব্যবহার করার জন্য পরিশোধন করতে পারে না। ২০১৭ সাল থেকে ঘানা এ সমস্যায় আছে। সে বছর ভয়াবহ এক বিস্ফোরণে দেশটির একটি তেল পরিশোধনাগার বন্ধ হয়ে যায়। সেটিই ছিল দেশটির একমাত্র জ্বালানি তেল শোধনাগার।

ঢাকা/এসএ