১২:২২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মে ২০২৪

ডায়াবেটিস থাকলেও খাওয়া যাবে যেসব আইসক্রিম

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০২:০৯:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ জুলাই ২০২২
  • / ৪২৩৩ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: ডায়াবেটিস নিয়ে প্রতিনিয়ত সতর্ক করছেন চিকিৎসকরা। সুস্থ থাকার জন্য দিচ্ছেন নানা পরামর্শ। সুস্থ থাকতে হলে ওষুধ নয়, প্রথমেই দরকার নিয়ম শৃঙ্খলা। নিয়মের মধ্যে বেঁধে ফেলতে পারলে তবেই ভালো থাকা যাবে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

প্রতিটা মানুষই নিজেকে নিয়ে অনেক বেশি ব্যস্ত। খাওয়ার সময়ও যেন নেই। তাই খিদে পেলে ভরসা সেই ফাস্টফুড। প্রতিদিন বেপরোয়াভাবে ফাস্টফুড খাওয়ার ফলে বাড়ছে ওজন। সঙ্গে আছে আরও একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যা। যার মধ্যে অন্যতম ডায়াবেটিস। ওজন বাড়লেই বাড়বে শর্করার পরিমাণ। শরীরে একাধিক হরমোনের ভারসাম্যে সমস্যা দেখা দেয়। আর তাই প্রথমেই ক্যালোরি, কার্বোহাইড্রেট এসব কম পরিমাণে খাওয়ার কথা বলা হয়। মিষ্টি, আইসক্রিম, কোল্ডড্রিংক প্রথমেই বাদ পড়ে যায় তালিকা থেকে। তবে নতুন এক গবেষণা ভিন্ন কথা বলেছে। ওই গবেষণা বলছে, আইসক্রিম খেলেই নিয়ন্ত্রণে থাকবে সুগার।

কোন স্বাদের আইসক্রিম সুগারের রোগীদের জন্য সেরা?

ব্লু বেরি আইসক্রিম: ব্লু বেরির মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি। যা শরীরের জন্য ভালো। তাই ব্লু বেরি থেকে তৈরি আইসক্রিম খেতে পারেন সুগারের রোগীরা। এক্ষেত্রে প্রতি কাপ ব্লু বেরি আইসক্রিমে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ মাত্র ২০ গ্রাম।

ক্রিম ভ্যানিলা: ছোট-বড় সবারই পছন্দের ফ্লেভার ভ্যানিলা। ভ্যানিলা স্বাদে আইসক্রিমের মধ্যে ক্যালোরির পরিমাণও কম। মাত্র ১৭ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট থাকে হাফ কাপ আইসক্রিমের মধ্যে। মোট কথা কৃত্রিম মিষ্টি রয়েছে বা অতিরিক্ত চিনি রয়েছে এরকম আইসক্রিম এড়িয়ে চলতে হবে।

নিউটেলা: চকোলেট ফ্লেভারের মধ্যে সব সময় ক্যালোরি বেশি থাকে। মিষ্টি বেশি থাকে। পরিবর্ত হিসেবে তাই নিউটেলার থেকে তৈরি আইসক্রিম খাওয়ার কথা বলছেন পুষ্টিবিদরা। এই আইসক্রিমের মধ্যে অতিরিক্ত ক্যালোরি বা কার্বোহাইড্রেট থাকে না। যদি বাড়িতে আইসক্রিম বানান তাহলে কিন্তু অতিরিক্ত এক চামচও চিনি দেওয়া যাবে না।

এছাড়াও আরও যা কিছু মাথায় রাখতে হবে—

প্রোটিন পাউডার দিয়েও বানিয়ে নিতে পারেন আইসক্রিম। এর সঙ্গে যোগ করতে পারেন ভ্যানিলা এসেন্স।

ডেজার্ট হিসেবে আইসক্রিম খেতে ভালো লাগে নিঃসন্দেহে, তবে নিয়মিত খাওয়া একেবারেই চলবে না।

রক্তে শর্করার পরিমাণ, ওজন, উচ্চতা এবং অন্যান্য শারীরিক সমস্যার নিরিখে বিচার করে তবেই আইসক্রিম খান। কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ একটা সীমার মধ্যে রাখুন।

তবে সব আইসক্রিম যে সুগার ফ্রি বা কম ক্যালোরির এরকম কিন্তু একেবারেই নয়। আইসক্রিমের মধ্যে স্যাচুরেটেড ফ্যাট বেশি পরিমাণে থাকে। যা বাড়িয়ে দেয় হৃদরোগের ঝুঁকি। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের প্রথমেই আইসক্রিম থেকে দূরে থাকার কথা বলা হয়। রক্তে শর্করার মাত্রা বিচার করে তবেই খান আইসক্রিম। প্রয়োজনে ডায়াটেশিয়ানের থেকে ডায়েট চার্ট নিতে কিন্তু ভুলবেন না।

সতর্কতা : এই প্রতিবেদনটি শুধু তথ্যের জন্য, কোনো চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।

ঢাকা/এসএম

শেয়ার করুন

x

ডায়াবেটিস থাকলেও খাওয়া যাবে যেসব আইসক্রিম

আপডেট: ০২:০৯:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ জুলাই ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: ডায়াবেটিস নিয়ে প্রতিনিয়ত সতর্ক করছেন চিকিৎসকরা। সুস্থ থাকার জন্য দিচ্ছেন নানা পরামর্শ। সুস্থ থাকতে হলে ওষুধ নয়, প্রথমেই দরকার নিয়ম শৃঙ্খলা। নিয়মের মধ্যে বেঁধে ফেলতে পারলে তবেই ভালো থাকা যাবে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

প্রতিটা মানুষই নিজেকে নিয়ে অনেক বেশি ব্যস্ত। খাওয়ার সময়ও যেন নেই। তাই খিদে পেলে ভরসা সেই ফাস্টফুড। প্রতিদিন বেপরোয়াভাবে ফাস্টফুড খাওয়ার ফলে বাড়ছে ওজন। সঙ্গে আছে আরও একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যা। যার মধ্যে অন্যতম ডায়াবেটিস। ওজন বাড়লেই বাড়বে শর্করার পরিমাণ। শরীরে একাধিক হরমোনের ভারসাম্যে সমস্যা দেখা দেয়। আর তাই প্রথমেই ক্যালোরি, কার্বোহাইড্রেট এসব কম পরিমাণে খাওয়ার কথা বলা হয়। মিষ্টি, আইসক্রিম, কোল্ডড্রিংক প্রথমেই বাদ পড়ে যায় তালিকা থেকে। তবে নতুন এক গবেষণা ভিন্ন কথা বলেছে। ওই গবেষণা বলছে, আইসক্রিম খেলেই নিয়ন্ত্রণে থাকবে সুগার।

কোন স্বাদের আইসক্রিম সুগারের রোগীদের জন্য সেরা?

ব্লু বেরি আইসক্রিম: ব্লু বেরির মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি। যা শরীরের জন্য ভালো। তাই ব্লু বেরি থেকে তৈরি আইসক্রিম খেতে পারেন সুগারের রোগীরা। এক্ষেত্রে প্রতি কাপ ব্লু বেরি আইসক্রিমে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ মাত্র ২০ গ্রাম।

ক্রিম ভ্যানিলা: ছোট-বড় সবারই পছন্দের ফ্লেভার ভ্যানিলা। ভ্যানিলা স্বাদে আইসক্রিমের মধ্যে ক্যালোরির পরিমাণও কম। মাত্র ১৭ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট থাকে হাফ কাপ আইসক্রিমের মধ্যে। মোট কথা কৃত্রিম মিষ্টি রয়েছে বা অতিরিক্ত চিনি রয়েছে এরকম আইসক্রিম এড়িয়ে চলতে হবে।

নিউটেলা: চকোলেট ফ্লেভারের মধ্যে সব সময় ক্যালোরি বেশি থাকে। মিষ্টি বেশি থাকে। পরিবর্ত হিসেবে তাই নিউটেলার থেকে তৈরি আইসক্রিম খাওয়ার কথা বলছেন পুষ্টিবিদরা। এই আইসক্রিমের মধ্যে অতিরিক্ত ক্যালোরি বা কার্বোহাইড্রেট থাকে না। যদি বাড়িতে আইসক্রিম বানান তাহলে কিন্তু অতিরিক্ত এক চামচও চিনি দেওয়া যাবে না।

এছাড়াও আরও যা কিছু মাথায় রাখতে হবে—

প্রোটিন পাউডার দিয়েও বানিয়ে নিতে পারেন আইসক্রিম। এর সঙ্গে যোগ করতে পারেন ভ্যানিলা এসেন্স।

ডেজার্ট হিসেবে আইসক্রিম খেতে ভালো লাগে নিঃসন্দেহে, তবে নিয়মিত খাওয়া একেবারেই চলবে না।

রক্তে শর্করার পরিমাণ, ওজন, উচ্চতা এবং অন্যান্য শারীরিক সমস্যার নিরিখে বিচার করে তবেই আইসক্রিম খান। কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ একটা সীমার মধ্যে রাখুন।

তবে সব আইসক্রিম যে সুগার ফ্রি বা কম ক্যালোরির এরকম কিন্তু একেবারেই নয়। আইসক্রিমের মধ্যে স্যাচুরেটেড ফ্যাট বেশি পরিমাণে থাকে। যা বাড়িয়ে দেয় হৃদরোগের ঝুঁকি। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের প্রথমেই আইসক্রিম থেকে দূরে থাকার কথা বলা হয়। রক্তে শর্করার মাত্রা বিচার করে তবেই খান আইসক্রিম। প্রয়োজনে ডায়াটেশিয়ানের থেকে ডায়েট চার্ট নিতে কিন্তু ভুলবেন না।

সতর্কতা : এই প্রতিবেদনটি শুধু তথ্যের জন্য, কোনো চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।

ঢাকা/এসএম