০৫:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

ডিবেঞ্চারের দায় পরিশোধ করলো বেক্সিমকো

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১১:৩২:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ মে ২০২১
  • / ৪২৪৮ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত বেক্সিমকো লিমিটেড ডিবেঞ্চারের দায় পরিশোধ করেছে। তবে আইন অনুযায়ী ডিবেঞ্চারের সব পাওনা পরিশোধের পরেও হিসাবের সমাপ্তি ঘটানোর আগে ডিবেঞ্চারহোল্ডারদের কারো কোন পাওনা থাকলে, তার দাবি জানিয়ে নোটিশ প্রকাশ করে ট্রাস্টি। এর মাধ্যমে ট্রাস্টি ডিবেঞ্চারহোল্ডারদের কাছ নিজেকে ঝুকিমুক্ত করে। তবে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের দরে।

বেক্সিমকো লিমিটেডের ৩টি ডিবেঞ্চারের ক্ষেত্রেও সব দায় পরিশোধ সত্ত্বেও এই কাজটি করেছে ট্রাস্টি প্রতিষ্ঠান ইনভেষ্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)। তবে আইসিবির প্রকাশিত নোটিশকে কেন্দ্র করে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ হয়েছে। এর মাধ্যমে ডিবেঞ্চারের অর্থ পরিশোধ করতে হবে বলে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে।

বেক্সিমকোর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বেক্সিমকো টেক্সটাইল, বেক্সিমকো ডেনিমস (বর্তমানে বেক্সিমকোর সঙ্গে একীভূত) ও বেক্সিমকো সিনথেটিকস নামের ৩টি ডিবেঞ্চারের সব অর্থ পরিশোধ করা হয়েছে। ফলে প্রত্যয়ন পত্র ও জামানত মুক্ত করে দেওয়ার জন্য গত ২৯ এপ্রিল ট্রাস্টি প্রতিষ্ঠান আইসিবিকে চিঠি দেয়। এর আলোকে আইসিবি শেষবারের মতো কোন ডিবেঞ্চারহোল্ডারের কোন ধরনের পাওনা থাকলে, তার জন্য ৫ জুনের মধ্যে দাবি জানানোর জন্য নোটিশ প্রকাশ করে।

এই নোটিশের আলোকে গত ২৪ মে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। যেখানে বেক্সিমকো লিমিটেড ৩টি ডিবেঞ্চার সমাপ্তি করার উদ্যোগ নিয়েছে এবং ডিবেঞ্চারহোল্ডারদের কোন দাবী থাকলে আগামী ৫ জুনের মধ্যে ট্রাস্ট্রিকে জানাতে বলা হয়েছে। এই বিজ্ঞপ্তিকে কেন্দ্র করেই মূলত গড়ে উঠেছে ভুল বোঝাবুঝি।

অথচ গত ১৮ মে বেক্সিমকো লিমিটেডের ডিবেঞ্চারের সকল পাওনা পরিশোধ করা হয়েছে মর্মে প্রত্যয়ন পত্র দিয়েছে ট্রাস্টি। ওই প্রত্যয়ন পত্রে ট্রাস্টি উল্লেখ করেছে, ইস্যুকৃত ডিবেঞ্চারের বিপরীতে আইসিবি ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োহকারীদেরকে সমুদয় পাওনা পরিশোধ করেছে বেক্সিমকো। ফলে বেক্সিমকো লিমিটেডের বন্ধককৃত দলীল ও চার্জ ডকুমেন্ট অবমুক্ত করার জন্য আবেদন করা হয়েছে।

গণমাধ্যমে ওই খবর প্রকাশের পরে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ডিবেঞ্চারের সমাপ্তিতে বেক্সিমকো লিমিটেডকে অনেক টাকা পরিশোধ করতে হবে এমন সংবাদ ছড়ায়। এমন কি সেই পরিমাণ অর্থ কোম্পানির কাছে নেই বলে বিভ্রান্তি তৈরী হয়। যা বেক্সিমকোর শেয়ার দরে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

গত ২৩ মে বেক্সিমকো লিমিটেডের ৮৮.৭০ টাকার লেনদেন শেষ হয়েছে। তবে ২৫ মে লেনদেন শেষে ৮৬.১০ টাকায় নেমে এসেছে। এক্ষেত্রে কোম্পানিটির শেয়ার দর কমেছে ২.৬০ টাকা বা ২.৯৩ শতাংশ।

বেক্সিমকো ফার্মার শেয়ার দরেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে ডিবেঞ্চারের খবর। ওই খবরের পরে ২৩ মে ১৭৩.৪০ টাকায় লেনদেন শেষ হয়। ২৫ মে দিন শেষে শেয়ারের দর দাঁড়ায় ১৭১.৫০ টাকা। অর্থাৎ ২দিনের ব্যবধানে শেয়ারটির দর কমেছে ১.৯০ টাকা বা ১.১০ শতাংশ।

এ বিষয়ে বেক্সিমকো লিমিটেডের নির্বাহি পরিচালক মোস্তফা জামানুল বাহার বলেন, আমরা তিনটি ডিবেঞ্চারের পাওনা অর্থ ইতিমধ্যে পুরোপুরি পরিশোধ করে দিয়েছি। এ কারনে ট্রাস্টির কাছে জামানত বা বন্ধককৃত দলীল ও চার্জ ডকুমেন্ট অবমুক্ত করে দেওয়ার জন্য চিঠি দেই।

তিনি বলেন, ট্রাস্টি স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার অংশ ও নিজেদেরকে দায়মুক্ত করার জন্য শেষবারের মতো কোন ডিবেঞ্চারহোল্ডারের পাওনা থাকলে, তার জন্য দাবি জানাতে নোটিশ জারি করে। কারণ কারো যদি পাওনা থেকে থাকে, তার জন্যতো ট্রাস্টিকেই জবাবদিহি করতে হবে। তাই সব পাওনা পরিশোধের পরেও ট্রাস্টি কারো পাওনা থাকলে, তার জন্য দাবি জানিয়ে নোটিশ দেয়।

মোস্তফা জামানুল বাহার বলেন, নোটিশ গণমাধ্যমে সংবাদ আকারে প্রকাশের পরেই বিনিয়োগকারীসহ অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি তৈরী হয়েছে। অনেকে মনে করছেন বেক্সিমকো লিমিটেডকে এখন বিপুল অংকের টাকা পরিশোধ করতে হবে। এতে ব্যবসায় নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

ঢাকা/এসআর

শেয়ার করুন

x
English Version

ডিবেঞ্চারের দায় পরিশোধ করলো বেক্সিমকো

আপডেট: ১১:৩২:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ মে ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত বেক্সিমকো লিমিটেড ডিবেঞ্চারের দায় পরিশোধ করেছে। তবে আইন অনুযায়ী ডিবেঞ্চারের সব পাওনা পরিশোধের পরেও হিসাবের সমাপ্তি ঘটানোর আগে ডিবেঞ্চারহোল্ডারদের কারো কোন পাওনা থাকলে, তার দাবি জানিয়ে নোটিশ প্রকাশ করে ট্রাস্টি। এর মাধ্যমে ট্রাস্টি ডিবেঞ্চারহোল্ডারদের কাছ নিজেকে ঝুকিমুক্ত করে। তবে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের দরে।

বেক্সিমকো লিমিটেডের ৩টি ডিবেঞ্চারের ক্ষেত্রেও সব দায় পরিশোধ সত্ত্বেও এই কাজটি করেছে ট্রাস্টি প্রতিষ্ঠান ইনভেষ্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)। তবে আইসিবির প্রকাশিত নোটিশকে কেন্দ্র করে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ হয়েছে। এর মাধ্যমে ডিবেঞ্চারের অর্থ পরিশোধ করতে হবে বলে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে।

বেক্সিমকোর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বেক্সিমকো টেক্সটাইল, বেক্সিমকো ডেনিমস (বর্তমানে বেক্সিমকোর সঙ্গে একীভূত) ও বেক্সিমকো সিনথেটিকস নামের ৩টি ডিবেঞ্চারের সব অর্থ পরিশোধ করা হয়েছে। ফলে প্রত্যয়ন পত্র ও জামানত মুক্ত করে দেওয়ার জন্য গত ২৯ এপ্রিল ট্রাস্টি প্রতিষ্ঠান আইসিবিকে চিঠি দেয়। এর আলোকে আইসিবি শেষবারের মতো কোন ডিবেঞ্চারহোল্ডারের কোন ধরনের পাওনা থাকলে, তার জন্য ৫ জুনের মধ্যে দাবি জানানোর জন্য নোটিশ প্রকাশ করে।

এই নোটিশের আলোকে গত ২৪ মে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। যেখানে বেক্সিমকো লিমিটেড ৩টি ডিবেঞ্চার সমাপ্তি করার উদ্যোগ নিয়েছে এবং ডিবেঞ্চারহোল্ডারদের কোন দাবী থাকলে আগামী ৫ জুনের মধ্যে ট্রাস্ট্রিকে জানাতে বলা হয়েছে। এই বিজ্ঞপ্তিকে কেন্দ্র করেই মূলত গড়ে উঠেছে ভুল বোঝাবুঝি।

অথচ গত ১৮ মে বেক্সিমকো লিমিটেডের ডিবেঞ্চারের সকল পাওনা পরিশোধ করা হয়েছে মর্মে প্রত্যয়ন পত্র দিয়েছে ট্রাস্টি। ওই প্রত্যয়ন পত্রে ট্রাস্টি উল্লেখ করেছে, ইস্যুকৃত ডিবেঞ্চারের বিপরীতে আইসিবি ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োহকারীদেরকে সমুদয় পাওনা পরিশোধ করেছে বেক্সিমকো। ফলে বেক্সিমকো লিমিটেডের বন্ধককৃত দলীল ও চার্জ ডকুমেন্ট অবমুক্ত করার জন্য আবেদন করা হয়েছে।

গণমাধ্যমে ওই খবর প্রকাশের পরে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ডিবেঞ্চারের সমাপ্তিতে বেক্সিমকো লিমিটেডকে অনেক টাকা পরিশোধ করতে হবে এমন সংবাদ ছড়ায়। এমন কি সেই পরিমাণ অর্থ কোম্পানির কাছে নেই বলে বিভ্রান্তি তৈরী হয়। যা বেক্সিমকোর শেয়ার দরে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

গত ২৩ মে বেক্সিমকো লিমিটেডের ৮৮.৭০ টাকার লেনদেন শেষ হয়েছে। তবে ২৫ মে লেনদেন শেষে ৮৬.১০ টাকায় নেমে এসেছে। এক্ষেত্রে কোম্পানিটির শেয়ার দর কমেছে ২.৬০ টাকা বা ২.৯৩ শতাংশ।

বেক্সিমকো ফার্মার শেয়ার দরেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে ডিবেঞ্চারের খবর। ওই খবরের পরে ২৩ মে ১৭৩.৪০ টাকায় লেনদেন শেষ হয়। ২৫ মে দিন শেষে শেয়ারের দর দাঁড়ায় ১৭১.৫০ টাকা। অর্থাৎ ২দিনের ব্যবধানে শেয়ারটির দর কমেছে ১.৯০ টাকা বা ১.১০ শতাংশ।

এ বিষয়ে বেক্সিমকো লিমিটেডের নির্বাহি পরিচালক মোস্তফা জামানুল বাহার বলেন, আমরা তিনটি ডিবেঞ্চারের পাওনা অর্থ ইতিমধ্যে পুরোপুরি পরিশোধ করে দিয়েছি। এ কারনে ট্রাস্টির কাছে জামানত বা বন্ধককৃত দলীল ও চার্জ ডকুমেন্ট অবমুক্ত করে দেওয়ার জন্য চিঠি দেই।

তিনি বলেন, ট্রাস্টি স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার অংশ ও নিজেদেরকে দায়মুক্ত করার জন্য শেষবারের মতো কোন ডিবেঞ্চারহোল্ডারের পাওনা থাকলে, তার জন্য দাবি জানাতে নোটিশ জারি করে। কারণ কারো যদি পাওনা থেকে থাকে, তার জন্যতো ট্রাস্টিকেই জবাবদিহি করতে হবে। তাই সব পাওনা পরিশোধের পরেও ট্রাস্টি কারো পাওনা থাকলে, তার জন্য দাবি জানিয়ে নোটিশ দেয়।

মোস্তফা জামানুল বাহার বলেন, নোটিশ গণমাধ্যমে সংবাদ আকারে প্রকাশের পরেই বিনিয়োগকারীসহ অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি তৈরী হয়েছে। অনেকে মনে করছেন বেক্সিমকো লিমিটেডকে এখন বিপুল অংকের টাকা পরিশোধ করতে হবে। এতে ব্যবসায় নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

ঢাকা/এসআর