০২:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪

ডিমের কুসুমের রঙ আলাদা হয় কেন?

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৪:৪৫:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ অক্টোবর ২০২৩
  • / ৪১৬১ বার দেখা হয়েছে

ডিম অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি খাবার। শিশু থেকে বয়স্ক সবারই পছন্দের খাবার ডিম। কোনো কোনো ডিমের কুসুম হয় একটু সাদাটে। আবার কোনো কোনোটির ক্ষেত্রে গাঢ় হলুদ বা কমলা। অনেকেই বলেন, এই দুই ধরনের ডিমের পুষ্টিগুণ একদম আলাদা।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

অনেকেরই ধারণা, কুসুমের রং যত গাঢ় হয়, ওই ডিম তত স্বাস্থ্যকর। কিন্তু এই কথাটি কি ঠিক? একটু তলিয়ে দেখা যাক। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, আমেরিকার ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অব এগ্রিকালচার (ইউএসডিএ)-এর গবেষকরা জানিয়েছেন, একটি ৫০ গ্রাম ওজনের ডিমে ৭২ ক্যালরি ও ৪ দশমিক ৭৫ গ্রাম ফ্যাট থাকে।

এবার আসা যাক, রঙের প্রশ্নে। গবেষকরা বলছেন, ডিমের কুসুমের রং নির্ভর করে মুরগির খাবারের উপর। কুসুমের রং কমলা হয় ক্যারোটিনয়েড নামের এক রকম রাসায়নিকের প্রভাবে। মুরগি খোলা জায়গায় যত বেশি ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ পাবে, তার ডিম ততই গাঢ় রঙের হবে। বেশ কিছু খামারে ক্যারোটিনয়েড সমৃদ্ধ খাবার দেয়া হয় মুরগিকে। এর মধ্যে রয়েছে লাল বেল পেপার। যার প্রভাবে ওই সব মুরগির ডিমের কুসুমের রং কমলা হয়।

তাদের মতে, দু’টি কারণে কুসুমের রং গাঢ় হতে পারে। প্রথমত, যদি মুরগিটি খোলা জায়গায় ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ পায় এবং প্রাকৃতিক খাবার থেকে পুষ্টি পায় তাহলে। দ্বিতীয়টি হল, যদি মুরগিটিকে বিশেষ ধরনের খাবার খাওয়ানো হয় তাহলে।

আরও পড়ুন : নিমপাতা শরীরের জন্য কতটা উপকারী জানেন

গবেষণায় দেখা গেছে, খামার বা পোলট্রির মুরগির চেয়ে প্রাকৃতিক উপায়ে পুষ্টিকর খাবার খুঁজে খাওয়া মুরগির ডিমে ভিটামিন ই, ভিটামিন এ আর ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। আর ডিমের রংও গাঢ় হয়।

কিন্তু দুই ধরনের রঙের ডিমে পুষ্টিগুণের পার্থক্য কতটা? গবেষণা বলছে, কুসুমের খাদ্যগুণ বা পুষ্টিগুণে খুব একটা পার্থক্য হয় না। সাদা ও লাল ডিমে এই পুষ্টিগুণের পরিমাণ প্রায় এক। এ কারণে লাল বা সাদা যাই হোক না কেন দু’ধরনের ডিমই সমান ভালো।

ঢাকা/এসএম

ট্যাগঃ

শেয়ার করুন

x
English Version

ডিমের কুসুমের রঙ আলাদা হয় কেন?

আপডেট: ০৪:৪৫:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ অক্টোবর ২০২৩

ডিম অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি খাবার। শিশু থেকে বয়স্ক সবারই পছন্দের খাবার ডিম। কোনো কোনো ডিমের কুসুম হয় একটু সাদাটে। আবার কোনো কোনোটির ক্ষেত্রে গাঢ় হলুদ বা কমলা। অনেকেই বলেন, এই দুই ধরনের ডিমের পুষ্টিগুণ একদম আলাদা।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

অনেকেরই ধারণা, কুসুমের রং যত গাঢ় হয়, ওই ডিম তত স্বাস্থ্যকর। কিন্তু এই কথাটি কি ঠিক? একটু তলিয়ে দেখা যাক। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, আমেরিকার ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অব এগ্রিকালচার (ইউএসডিএ)-এর গবেষকরা জানিয়েছেন, একটি ৫০ গ্রাম ওজনের ডিমে ৭২ ক্যালরি ও ৪ দশমিক ৭৫ গ্রাম ফ্যাট থাকে।

এবার আসা যাক, রঙের প্রশ্নে। গবেষকরা বলছেন, ডিমের কুসুমের রং নির্ভর করে মুরগির খাবারের উপর। কুসুমের রং কমলা হয় ক্যারোটিনয়েড নামের এক রকম রাসায়নিকের প্রভাবে। মুরগি খোলা জায়গায় যত বেশি ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ পাবে, তার ডিম ততই গাঢ় রঙের হবে। বেশ কিছু খামারে ক্যারোটিনয়েড সমৃদ্ধ খাবার দেয়া হয় মুরগিকে। এর মধ্যে রয়েছে লাল বেল পেপার। যার প্রভাবে ওই সব মুরগির ডিমের কুসুমের রং কমলা হয়।

তাদের মতে, দু’টি কারণে কুসুমের রং গাঢ় হতে পারে। প্রথমত, যদি মুরগিটি খোলা জায়গায় ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ পায় এবং প্রাকৃতিক খাবার থেকে পুষ্টি পায় তাহলে। দ্বিতীয়টি হল, যদি মুরগিটিকে বিশেষ ধরনের খাবার খাওয়ানো হয় তাহলে।

আরও পড়ুন : নিমপাতা শরীরের জন্য কতটা উপকারী জানেন

গবেষণায় দেখা গেছে, খামার বা পোলট্রির মুরগির চেয়ে প্রাকৃতিক উপায়ে পুষ্টিকর খাবার খুঁজে খাওয়া মুরগির ডিমে ভিটামিন ই, ভিটামিন এ আর ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। আর ডিমের রংও গাঢ় হয়।

কিন্তু দুই ধরনের রঙের ডিমে পুষ্টিগুণের পার্থক্য কতটা? গবেষণা বলছে, কুসুমের খাদ্যগুণ বা পুষ্টিগুণে খুব একটা পার্থক্য হয় না। সাদা ও লাল ডিমে এই পুষ্টিগুণের পরিমাণ প্রায় এক। এ কারণে লাল বা সাদা যাই হোক না কেন দু’ধরনের ডিমই সমান ভালো।

ঢাকা/এসএম