০৯:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪

ডিসেম্বরে আট দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ৫৩ কোটি ডলার

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৬:০৪:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ৪১৪৭ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ডিসেম্বর মাসের  প্রথম ৮ দিনে প্রবাসী বাংলাদেশিরা বৈধ পথে ও ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ৫৩ কোটি ২৭ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। দৈনিক এসেছে গড়ে ৬ কোটি ৬৫ লাখ ৯৩ হাজার মার্কিন ডলার করে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তথ্য অনুযায়ী, ডিসেম্বরের প্রথম ৮ দিনে এসেছে ৫৩ কোটি ২৭ লাখ ৫০ হাজার ডলার। এর মধ্যে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৫ কোটি ৬২ লাখ ১০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের মধ্যে এক ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১ কোটি ৩২ লাখ ৭০ হাজার ডলার। আর বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪৬ কোটি ১৮ লাখ ৮০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৩ লাখ ৯০ হাজার ডলার।

আলোচ্য আট দিনে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি এমন ব্যাংকের সংখ্যা ১০টি। এর মধ্যে রয়েছে- রাষ্ট্র মালিকানাধিন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল, বিশেষায়ীত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বা রাকাব, বেসরকারি কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেনস ব্যাংক, আইসিবি ব্যাংক, বিদেশি খাতের ব্যাংক আল-ফালাহ, হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া এবং উরি ব্যাংক।

অন্যদিকে সদ্য বিদায়ী নভেম্বর মাসে মোট ১৯৩ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রতি ডলার ১০৯ টাকা ৭৫ পয়সা ধরে যার পরিমাণ ২১ হাজার ১৮১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। এটি আগের মাস অক্টোবরের চেয়ে প্রায় ৪ কোটি ডলার কম এসেছে। অক্টোবর মাসে এসেছিল প্রায় ১৯৭ কোটি ডলার। তবে গত বছরের একই মাসের চেয়ে ৩৩ কোটে ডলার বেশি এসেছে। গত বছরের নভেম্বর মাসে এসেছিল প্রায় ১৬০ কোটি ডলার।

আরও পড়ুন: ৯.৬৫ মিলিয়ন ডলার অনুদান দিচ্ছে দ. কোরিয়া

দেশের মধ্যে ডলার বাজারের অস্থিরতা নতুন নয়। সংকট ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। বৈদেশিক এ মুদ্রার অভাবে আমদানিতে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। সংকট নিরসনে রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংকে। পরিস্থিতি সামাল দিতে রিজার্ভ থেকে ডলার সরবরাহ করা হচ্ছে। তবুও কোনো উদ্যোগই কাজে আসছে না।

তবে আশার দিকও রয়েছে। বিজয়ের মাসে আইএমএফ লোনের দ্বিতীয় কিস্তি আর এডিবির লোন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে রিজার্ভ বাড়বে কিছুটা। বিজয়ের মাসে আরও ইতিবাচক হয়েছে বৈদেশিক মুদ্রার অন্যতম উৎস রেমিট্যান্স। রেমিট্যান্স আসার এ ধারা অব্যাহত থাকলে চলতি মাস শেষে রেমিট্যান্স দুই বিলয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x
English Version

ডিসেম্বরে আট দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ৫৩ কোটি ডলার

আপডেট: ০৬:০৪:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৩

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ডিসেম্বর মাসের  প্রথম ৮ দিনে প্রবাসী বাংলাদেশিরা বৈধ পথে ও ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ৫৩ কোটি ২৭ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। দৈনিক এসেছে গড়ে ৬ কোটি ৬৫ লাখ ৯৩ হাজার মার্কিন ডলার করে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তথ্য অনুযায়ী, ডিসেম্বরের প্রথম ৮ দিনে এসেছে ৫৩ কোটি ২৭ লাখ ৫০ হাজার ডলার। এর মধ্যে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৫ কোটি ৬২ লাখ ১০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের মধ্যে এক ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১ কোটি ৩২ লাখ ৭০ হাজার ডলার। আর বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪৬ কোটি ১৮ লাখ ৮০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৩ লাখ ৯০ হাজার ডলার।

আলোচ্য আট দিনে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি এমন ব্যাংকের সংখ্যা ১০টি। এর মধ্যে রয়েছে- রাষ্ট্র মালিকানাধিন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল, বিশেষায়ীত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বা রাকাব, বেসরকারি কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেনস ব্যাংক, আইসিবি ব্যাংক, বিদেশি খাতের ব্যাংক আল-ফালাহ, হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া এবং উরি ব্যাংক।

অন্যদিকে সদ্য বিদায়ী নভেম্বর মাসে মোট ১৯৩ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রতি ডলার ১০৯ টাকা ৭৫ পয়সা ধরে যার পরিমাণ ২১ হাজার ১৮১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। এটি আগের মাস অক্টোবরের চেয়ে প্রায় ৪ কোটি ডলার কম এসেছে। অক্টোবর মাসে এসেছিল প্রায় ১৯৭ কোটি ডলার। তবে গত বছরের একই মাসের চেয়ে ৩৩ কোটে ডলার বেশি এসেছে। গত বছরের নভেম্বর মাসে এসেছিল প্রায় ১৬০ কোটি ডলার।

আরও পড়ুন: ৯.৬৫ মিলিয়ন ডলার অনুদান দিচ্ছে দ. কোরিয়া

দেশের মধ্যে ডলার বাজারের অস্থিরতা নতুন নয়। সংকট ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। বৈদেশিক এ মুদ্রার অভাবে আমদানিতে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। সংকট নিরসনে রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংকে। পরিস্থিতি সামাল দিতে রিজার্ভ থেকে ডলার সরবরাহ করা হচ্ছে। তবুও কোনো উদ্যোগই কাজে আসছে না।

তবে আশার দিকও রয়েছে। বিজয়ের মাসে আইএমএফ লোনের দ্বিতীয় কিস্তি আর এডিবির লোন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে রিজার্ভ বাড়বে কিছুটা। বিজয়ের মাসে আরও ইতিবাচক হয়েছে বৈদেশিক মুদ্রার অন্যতম উৎস রেমিট্যান্স। রেমিট্যান্স আসার এ ধারা অব্যাহত থাকলে চলতি মাস শেষে রেমিট্যান্স দুই বিলয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।

ঢাকা/এসএ