০৫:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪

তিন বছরে পাটবীজ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে: কৃষিমন্ত্রী

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৫:২৬:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ মার্চ ২০২২
  • / ৪১৩৭ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন তিন বছরের মধ্যে পাটবীজ উৎপাদনে দেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, পাটবীজের জন্য আমরা কোনো দেশের ওপর নির্ভরশীল না থেকে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে চাই। সে লক্ষ্যে কৃষি মন্ত্রণালয় রোডম্যাপ প্রণয়ন করেছে।

রোববার (৬ মার্চ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় পাট দিবসের আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

ভারত অনুর্বর জমিতে পাটবীজ চাষ করে কম দামে আমাদের দেশে রপ্তানি করে জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের কৃষকেরা অন্যান্য ফসলের তুলনায় পাটবীজ চাষে খুব বেশি আগ্রহী না। তবে এরই মধ্যে আমাদের পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা পাটের উন্নত জাত উদ্ভাবন করেছে, যা ভারতের জাতের চেয়ে অনেক ভালো।

‘কৃষকদের মধ্যে এটির চাষ জনপ্রিয় করতে কাজ চলছে। আমরা আশা করছি, আগামী তিন বছরের মধ্যে বাংলাদেশ পাটবীজ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে। তিন বছর পরে ভারত থেকে পাটবীজ আর আমদানি করতে হবে না।’

ভারতকে পাটের ক্ষেত্রে এন্টি-ডাম্পিং না করার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা অনেকবার ভারতকে বলেছি এন্টি ডাম্পিং না করতে কিন্তু তারা কথা শোনে না। তবে বর্তমান সরকার অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে পাটের উৎপাদন ও রপ্তানি বৃদ্ধিতে কাজ করছে, যাতে করে ভারতের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে আমরা টিকে থাকতে পারি। সোনালি আঁশের সুদিন আবার ফিরিয়ে আনতে পারি।

ড. রাজ্জাক বলেন, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে পাট ও পাটপণ্যের চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে। পাটের সম্ভাবনার সঙ্গে শাকসবজি ও ফলমূল রপ্তানির সম্ভাবনাকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে পারলে, বছরে কৃষিপণ্যের রপ্তানি আয় শিগগিরই ১০ বিলিয়ন ছাড়িয়ে যাবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক। সভাপতিত্ব করেন বস্ত্র ও পাট সচিব মো. আব্দুর রউফ। স্বাগত বক্তব্য দেন পাট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আতাউর রহমান। অনুষ্ঠানে পাট উৎপাদন ও ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন অংশীজনের প্রতিনিধিরা পাট ও পাটশিল্পের সমস্যাগুলো তুলে ধরে বক্তব্য দেন।

এসময় বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ১১ জনকে জাতীয় পাট পুরস্কার দেওয়া হয়। এর আগে সকালে পাট দিবস উপলক্ষে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি আয়োজন করা হয় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে।

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

x

তিন বছরে পাটবীজ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে: কৃষিমন্ত্রী

আপডেট: ০৫:২৬:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ মার্চ ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন তিন বছরের মধ্যে পাটবীজ উৎপাদনে দেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, পাটবীজের জন্য আমরা কোনো দেশের ওপর নির্ভরশীল না থেকে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে চাই। সে লক্ষ্যে কৃষি মন্ত্রণালয় রোডম্যাপ প্রণয়ন করেছে।

রোববার (৬ মার্চ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় পাট দিবসের আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

ভারত অনুর্বর জমিতে পাটবীজ চাষ করে কম দামে আমাদের দেশে রপ্তানি করে জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের কৃষকেরা অন্যান্য ফসলের তুলনায় পাটবীজ চাষে খুব বেশি আগ্রহী না। তবে এরই মধ্যে আমাদের পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা পাটের উন্নত জাত উদ্ভাবন করেছে, যা ভারতের জাতের চেয়ে অনেক ভালো।

‘কৃষকদের মধ্যে এটির চাষ জনপ্রিয় করতে কাজ চলছে। আমরা আশা করছি, আগামী তিন বছরের মধ্যে বাংলাদেশ পাটবীজ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে। তিন বছর পরে ভারত থেকে পাটবীজ আর আমদানি করতে হবে না।’

ভারতকে পাটের ক্ষেত্রে এন্টি-ডাম্পিং না করার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা অনেকবার ভারতকে বলেছি এন্টি ডাম্পিং না করতে কিন্তু তারা কথা শোনে না। তবে বর্তমান সরকার অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে পাটের উৎপাদন ও রপ্তানি বৃদ্ধিতে কাজ করছে, যাতে করে ভারতের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে আমরা টিকে থাকতে পারি। সোনালি আঁশের সুদিন আবার ফিরিয়ে আনতে পারি।

ড. রাজ্জাক বলেন, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে পাট ও পাটপণ্যের চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে। পাটের সম্ভাবনার সঙ্গে শাকসবজি ও ফলমূল রপ্তানির সম্ভাবনাকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে পারলে, বছরে কৃষিপণ্যের রপ্তানি আয় শিগগিরই ১০ বিলিয়ন ছাড়িয়ে যাবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক। সভাপতিত্ব করেন বস্ত্র ও পাট সচিব মো. আব্দুর রউফ। স্বাগত বক্তব্য দেন পাট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আতাউর রহমান। অনুষ্ঠানে পাট উৎপাদন ও ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন অংশীজনের প্রতিনিধিরা পাট ও পাটশিল্পের সমস্যাগুলো তুলে ধরে বক্তব্য দেন।

এসময় বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ১১ জনকে জাতীয় পাট পুরস্কার দেওয়া হয়। এর আগে সকালে পাট দিবস উপলক্ষে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি আয়োজন করা হয় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে।

ঢাকা/টিএ