০৭:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

তোয়াব খানের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৩:৪৫:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ অক্টোবর ২০২২
  • / ৪১৪৮ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: একুশে পদকপ্রাপ্ত বর্ষীয়ান সাংবাদিক ও দৈনিক বাংলার সম্পাদক তোয়াব খানের (৮৭) মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রেস সচিবেরও দায়িত্ব পালন করেছিলেন তোয়াব খান।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে আজ শনিবার পাঠানো এক শোকবার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে। শোকবার্তায় শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানানো হয়।

বার্ধক্যজনিত জটিলতায় অসুস্থ হলে তোয়াব খানকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে আজ শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।

১৯৩৪ সালের ২৪ এপ্রিল সাতক্ষীরা জেলার রসুলপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তোয়াব খান। সাংবাদিক হিসেবে সুদীর্ঘ ও বর্ণাঢ্য কর্মজীবন তার। ২০১৬ সালে একুশে পদকে ভূষিত হন তোয়াব খান। একই বছর তাকে বাংলা একাডেমি সম্মানীত ফেলো নির্বাচিত করে।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রেস সেক্রেটারি ছিলেন তোয়াব খান। পরে রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদ এবং প্রথম অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা সাহাবুদ্দীন আহমদের প্রেস সচিবের দায়িত্বও পালন করেন তিনি।

ছাত্রজীবন থেকেই তোয়াব খান তৎকালীন বিভিন্ন পত্রিকায় সমকালীন ইস্যু নিয়ে লেখালেখি করতেন। ১৯৫৩ সালে তার সাংবাদিকতা জীবনের শুরু। ১৯৫৫ সালে যোগ দেন দৈনিক সংবাদে। ১৯৬১ সালে দৈনিক সংবাদের বার্তা সম্পাদক হন। ১৯৬৪ সালে যোগ দেন দৈনিক পাকিস্তানে।

মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে শব্দসৈনিকের ভূমিকা পালন করেন তোয়াব খান। সে সময় তার আকর্ষণীয় উপস্থাপনায় নিয়মিত প্রচারিত হয় ‘পিণ্ডির প্রলাপ’ নামের অনুষ্ঠান।

দেশ স্বাধীনের পর দৈনিক পাকিস্তান থেকে বদলে যাওয়া দৈনিক বাংলার প্রথম সম্পাদক ছিলেন তোয়াব খান। ১৯৭২ সালের ১৪ জানুয়ারি তিনি এই দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এরপর ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রেস সচিব ছিলেন তিনি। দেশের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা ও প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের মহাপরিচালকের দায়িত্বও পালন করেন এই যশস্বী সাংবাদিক। নিউজবাংলা ও দৈনিক বাংলার সম্পাদক হিসেবে যোগ দেওয়ার আগে সবশেষ দৈনিক জনকণ্ঠের উপদেষ্টা সম্পাদক ছিলেন তোয়াব খান।

আরও পড়ুন: তোয়াব খান ছিলেন সাংবাদিকতার পথিকৃৎ: রাষ্ট্রপতি

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x
English Version

তোয়াব খানের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক

আপডেট: ০৩:৪৫:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ অক্টোবর ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: একুশে পদকপ্রাপ্ত বর্ষীয়ান সাংবাদিক ও দৈনিক বাংলার সম্পাদক তোয়াব খানের (৮৭) মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রেস সচিবেরও দায়িত্ব পালন করেছিলেন তোয়াব খান।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে আজ শনিবার পাঠানো এক শোকবার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে। শোকবার্তায় শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানানো হয়।

বার্ধক্যজনিত জটিলতায় অসুস্থ হলে তোয়াব খানকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে আজ শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।

১৯৩৪ সালের ২৪ এপ্রিল সাতক্ষীরা জেলার রসুলপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তোয়াব খান। সাংবাদিক হিসেবে সুদীর্ঘ ও বর্ণাঢ্য কর্মজীবন তার। ২০১৬ সালে একুশে পদকে ভূষিত হন তোয়াব খান। একই বছর তাকে বাংলা একাডেমি সম্মানীত ফেলো নির্বাচিত করে।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রেস সেক্রেটারি ছিলেন তোয়াব খান। পরে রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদ এবং প্রথম অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা সাহাবুদ্দীন আহমদের প্রেস সচিবের দায়িত্বও পালন করেন তিনি।

ছাত্রজীবন থেকেই তোয়াব খান তৎকালীন বিভিন্ন পত্রিকায় সমকালীন ইস্যু নিয়ে লেখালেখি করতেন। ১৯৫৩ সালে তার সাংবাদিকতা জীবনের শুরু। ১৯৫৫ সালে যোগ দেন দৈনিক সংবাদে। ১৯৬১ সালে দৈনিক সংবাদের বার্তা সম্পাদক হন। ১৯৬৪ সালে যোগ দেন দৈনিক পাকিস্তানে।

মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে শব্দসৈনিকের ভূমিকা পালন করেন তোয়াব খান। সে সময় তার আকর্ষণীয় উপস্থাপনায় নিয়মিত প্রচারিত হয় ‘পিণ্ডির প্রলাপ’ নামের অনুষ্ঠান।

দেশ স্বাধীনের পর দৈনিক পাকিস্তান থেকে বদলে যাওয়া দৈনিক বাংলার প্রথম সম্পাদক ছিলেন তোয়াব খান। ১৯৭২ সালের ১৪ জানুয়ারি তিনি এই দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এরপর ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রেস সচিব ছিলেন তিনি। দেশের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা ও প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের মহাপরিচালকের দায়িত্বও পালন করেন এই যশস্বী সাংবাদিক। নিউজবাংলা ও দৈনিক বাংলার সম্পাদক হিসেবে যোগ দেওয়ার আগে সবশেষ দৈনিক জনকণ্ঠের উপদেষ্টা সম্পাদক ছিলেন তোয়াব খান।

আরও পড়ুন: তোয়াব খান ছিলেন সাংবাদিকতার পথিকৃৎ: রাষ্ট্রপতি

ঢাকা/এসএ