১১:১৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

দফায় দফায় লোকসান সত্ত্বেও গেম্বলিং আইটেমে বিনিয়োগকারীদের ঝোঁক

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১১:১৫:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ এপ্রিল ২০২১
  • / ৪৫৫০ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল ডেস্কঃ খেলাপি ঋণ, আর্থিক কেলেঙ্কারি ও সুশাসন নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোর আর্থিক ও ব্যবসায়িক সক্ষমতা অন্যান্য খাতের অনেক কোম্পানির চেয়ে ভালো। বিশেষ করে বীমা খাতের কোম্পানিগুলোর চেয়ে তো বটেই। তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোর অনেকেই সর্বশেষ সমাপ্ত হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য আকর্ষণীয় লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। যদিও এর প্রতিফলন নেই ব্যাংকের শেয়ারদরে। অন্যদিকে সাধারণ বীমা খাতের কোম্পানিগুলো ব্যাংকের চেয়ে কম লভ্যাংশ ঘোষণা করলেও বর্তমানে পুঁজিবাজারে এ খাতের শেয়ারদর চাঙ্গা। গত এক মাসের লেনদেনপ্রবণতা পর্যালোচনায় দেখা যায়, ব্যাংক খাতের লেনদেন কমার বিপরীতে সাধারণ বীমা খাতের লেনদেন বাড়ছে। বাজারের এ প্রবণতাকে বিনিয়োগকারীদের মৌলভিত্তি ছেড়ে গ্যাম্বলিং শেয়ারের দিকে ঝোঁকার সঙ্গে তুলনা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মোট লেনদেনের ৪ দশমিক ৭৮ শতাংশ ছিল ব্যাংক খাতের শেয়ারের। এক্সচেঞ্জটির বাজার মূলধনের ১৩ দশমিক ৫ শতাংশ ব্যাংক খাতের দখলে। এর আগের পাঁচ সপ্তাহের লেনদেন পর্যালোচনায় দেখা যায়, ১৫ এপ্রিল শেষে ব্যাংকের লেনদেন ছিল ৭ দশমিক ৫ শতাংশ এবং বাজার মূলধন ছিল ১৩ দশমিক ৮ শতাংশ। ৮ এপ্রিল শেষে পুঁজিবাজারে ব্যাংকের লেনদেন ছিল ১১ শতাংশ আর বাজার মূলধন ছিল ১৩ দশমিক ৯ শতাংশ। ১ এপ্রিল শেষে লেনদেনের ১২ শতাংশ এবং বাজার মূলধনের ১৪ শতাংশ ছিল ব্যাংক খাতের। গত ২৫ মার্চ শেষে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৩ দশমিক ৮ শতাংশ এবং বাজার মূলধনের ১৪ শতাংশ ছিল ব্যাংকের অবদান। আর ১৮ মার্চ শেষ হওয়া সপ্তাহে ব্যাংকের লেনদেন ছিল ৭ দশমিক ৯ শতাংশ এবং বাজার মূলধন ছিল ১৩ দশমিক ৫ শতাংশ।

অন্যদিকে সাধারণ বীমা খাতের লেনদেন পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল ডিএসইর লেনদেনের ২৬ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ ছিল সাধারণ বীমা কোম্পানিগুলোর। গতকাল বাজার মূলধনে এ খাতের কোম্পানিগুলোর অবদান ছিল ২ দশমিক ৫ শতাংশ। এর আগের পাঁচ সপ্তাহের লেনদেন পর্যালোচনায় দেখা যায়, ১৫ এপ্রিল শেষে পুঁজিবাজারের লেনদেনের ৩৭ দশমিক ৫ শতাংশ এবং বাজার মূলধনের ২ দশমিক ৪ শতাংশ ছিল সাধারণ বীমা খাতের দখলে। ৮ এপ্রিল শেষে লেনদেনের ২৩ দশমিক ৪ শতাংশ এবং বাজার মূলধনের ২ দশমিক ৩ শতাংশ ছিল এ খাতের শেয়ারের। ১ এপ্রিল শেষে ডিএসইর লেনদেনের ১৩ দশমিক ৯ শতাংশ এবং বাজার মূলধনের ২ দশমিক ১ শতাংশ ছিল সাধারণ বীমা খাতের। ২৫ মার্চ শেষে খাতটির অবদান ছিল লেনদেনের ৯ দশমিক ৩ শতাংশ এবং বাজার মূলধনের ২ শতাংশ। আর গত ১৮ মার্চ শেষ হওয়া সপ্তাহে সাধারণ বীমা খাতের লেনদেন ছিল ৩ দশমিক ৯ শতাংশ এবং বাজার মূলধন ছিল ১ দশমিক ৯ শতাংশ।

পর্যালোচনায় দেখা যায়, বাজার মূলধনে ব্যাংকের অবস্থানে খুব বেশি পরিবর্তন না হলেও গত এক মাসে পুঁজিবাজারে ব্যাংক খাতের লেনদেনের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। অন্যদিকে এ সময়ে সাধারণ বীমা খাতের লেনদেন ৩ দশমিক ৯ থেকে ২৬ দশমিক শূন্য ৭ এবং বাজার মূলধন ১ দশমিক ৯ থেকে ২ দশমিক ৫ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।

মৌলভিত্তির ব্যাংক খাতের তুলনায় দুর্বল ভিত্তির ও স্বল্প মূলধনি সাধারণ বীমা খাতের শেয়ারের লেনদেন ও শেয়ারদর অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাওয়ার বিষয়টিকে কারসাজি হিসেবে অভিহিত করেছেন বাজারসংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, আকর্ষণীয় লভ্যাংশ দিলেও ব্যাংক খাতের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ নেই। অথচ তুলনামূলক কম লভ্যাংশ দিলেও সবাই ছুটছে সাধারণ বীমার শেয়ারের পেছনে। কারসাজির মাধ্যমে এ খাতের কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর বাড়ানো হচ্ছে এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীরা সেই প্রলোভনের ফাঁদে পড়ছে। গত বছরের মতোই এবারো শেষ পর্যন্ত এসব গ্যাম্বলিং শেয়ারে বিনিয়োগ করে লোকসান গুনতে হবে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অনারারি অধ্যাপক ড. আবু আহমেদ বলেন, ব্যাংকগুলো আকর্ষণীয় হারে লভ্যাংশ দিলেও এ খাতের শেয়ারদরে এর প্রভাব নেই। উল্টো ব্যাংকের লভ্যাংশ ঘোষণার পরদিনই দাম কমে গেছে এমন উদাহরণও রয়েছে। অন্যদিকে মৌলভিত্তির হিসাবে ব্যাংকের চেয়ে অনেক পিছিয়ে থাকলেও সাধারণ বীমা খাতের কোম্পানিগুলোর শেয়ার নিয়েই বিনিয়োগকারীদের যত আগ্রহ। বর্তমানে বাজারে যে প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, তাতে এখানে মৌলভিত্তির কোনো বালাই নেই, সবাই জুয়ার পেছনে ছুটছে।

এরই মধ্যে তালিকাভুক্ত ব্যাংক ও সাধারণ বীমা খাতের বেশকিছু কোম্পানি ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২০ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এক্ষেত্রেও সাধারণ বীমার চেয়ে ব্যাংক এগিয়ে রয়েছে। অগ্রণী ইন্স্যুরেন্স ২০২০ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৫ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল ৫০ টাকা ২০ পয়সা। কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স সর্বশেষ সমাপ্ত হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৬ শতাংশ নগদ ও ৪ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। কোম্পানিটির শেয়ার গতকাল সর্বশেষ ৪৪ টাকা ৯০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে। ইস্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্স ২০২০ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৭ শতাংশ নগদ ও ৩ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। কোম্পানিটির শেয়ার গতকাল ৩২ টাকা ৬০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে। গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স বিনিয়োগকারীদের জন্য সর্বশেষ সমাপ্ত হিসাব বছরে ২৪ দশমিক ৫ শতাংশ নগদ ও ৭ দশমিক ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছে। বর্তমানে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৫৮ টাকা ৮০ পয়সা। নিটল ইন্স্যুরেন্স ২০২০ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ প্রদানের ঘোষণা দিয়েছে। গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল ৫৫ টাকা ৪০ পয়সা।

প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স সর্বশেষ সমাপ্ত হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ২০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশের ঘোষণা দিয়েছে। আর সর্বশেষ গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ার ১১১ টাকা ১০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে। প্রাইম ইন্স্যুরেন্স সর্বশেষ সমাপ্ত হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ প্রদানের ঘোষণা দিয়েছে। গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল ৪৩ টাকা ১০ পয়সা। প্রভাতী ইন্স্যুরেন্স ২০২০ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১৭ শতাংশ স্টক লভ্যাংশের ঘোষণা দিয়েছে। বর্তমানে কোম্পানিটির শেয়ারদর ১২৫ টাকা ৫০ পয়সা। রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স সর্বশেষ সমাপ্ত হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ প্রদানের ঘোষণা দিয়েছে। গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ার ৫৭ টাকা ৩০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে। ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্স ২০২০ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আর গতকাল সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল ৪৭ টাকা ৫০ পয়সা।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোর মধ্যে বাজার মূলধনের দিক দিয়ে শীর্ষে রয়েছে ব্র্যাক ব্যাংক। সর্বশেষ সমাপ্ত ২০২০ হিসাব বছরে ব্যাংকটি বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। ডিএসইতে সর্বশেষ গতকাল ব্যাংকটির শেয়ার ৪২ টাকায় লেনদেন হয়েছে। সিটি ব্যাংক সর্বশেষ সমাপ্ত হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য সাড়ে ১৭ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। বর্তমানে ব্যাংকটির শেয়ারদর ২৩ টাকা ৩০ পয়সা। ডাচ্-বাংলা ব্যাংক ২০২০ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১৫ শতাংশ নগদ ও ১৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। গতকাল ব্যাংকটির শেয়ার সর্বশেষ ৫৮ টাকায় লেনদেন হয়েছে। ইস্টার্ন ব্যাংক সর্বশেষ সমাপ্ত হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য সাড়ে ১৭ শতাংশ নগদ ও সাড়ে ১৭ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। ডিএসইতে গতকাল ব্যাংকটির শেয়ারদর ছিল ৩৯ টাকা ৫০ পয়সা। আইএফআইসি ব্যাংক বিনিয়োগকারীদের জন্য সর্বশেষ সমাপ্ত হিসাব বছরে ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আর সর্বশেষ গতকাল ব্যাংকটির শেয়ারদর ছিল ১০ টাকা ৩০ পয়সা।

যমুনা ব্যাংক ২০২০ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য সাড়ে ১৭ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। ডিএসইতে সর্বশেষ গতকাল ব্যাংকটি শেয়ার ১৬ টাকা ৯০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে। মার্কেন্টাইল ব্যাংক সর্বশেষ সমাপ্ত হিসাব বছরে ১০ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। ব্যাংকটির শেয়ার বর্তমানে ১১ টাকায় লেনদেন হচ্ছে। ওয়ান ব্যাংক ২০২০ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৬ শতাংশ নগদ ও সাড়ে ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। ডিএসইতে গতকাল ব্যাংকটির শেয়ারদর ছিল ১০ টাকা ৩০ পয়সা। প্রিমিয়ার ব্যাংক সর্বশেষ সমাপ্ত হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য সাড়ে ১২ শতাংশ নগদ ও সাড়ে ৭ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। গতকাল ডিএসইতে ব্যাংকটির শেয়ারদর ছিল ১০ টাকা ৮০ পয়সা। প্রাইম ব্যাংক বিনিয়োগকারীদের জন্য ২০২০ হিসাব বছরে ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। বর্তমানে ব্যাংকটির শেয়ারদর ১৭ টাকা ২০ পয়সা। পূবালী ব্যাংক সর্বশেষ সমাপ্ত হিসাব বছরে সাড়ে ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। সর্বশেষ গতকাল ডিএসইতে ব্যাংকটির শেয়ার ২৪ টাকায় লেনদেন হয়েছে। শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক ২০২০ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৭ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। গতকাল ব্যাংকটির শেয়ারদর ছিল ১৯ টাকা ৮০ পয়সা। উত্তরা ব্যাংক বিনিয়োগকারীদের জন্য সর্বশেষ সমাপ্ত হিসাব বছরে সাড়ে ১২ শতাংশ নগদ ও সাড়ে ১২ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। বর্তমানে ব্যাংকটির শেয়ারদর ২৫ টাকা ২০ পয়সা।

দেশের বেসরকারি খাতের ভালো ব্যাংকগুলোর একটি ব্যাংক এশিয়া। গতকাল পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এ ব্যাংকটির শেয়ারদর ছিল ১৬ টাকা ৩০ পয়সা। অথচ ব্যাংক এশিয়ার শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য ২৩ টাকার বেশি। প্রতি বছরই শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ দিয়ে আসছে ব্যাংকটি। ২০২০ হিসাব বছরের জন্যও ব্যাংক এশিয়া ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।

পুঁজিবাজারে ব্যাংকের শেয়ার অবমূল্যায়িত বলে মনে করেন ব্যাংক এশিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আরফান আলী। তিনি বলেন, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোর শেয়ার যে দরে হাতবদল হচ্ছে সেটি প্রত্যাশিত নয়। শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্যের চেয়ে শেয়ারদর কম হলে বোঝা যায়, শেয়ারটি অবমূল্যায়িত। পুঁজিবাজারে এমন কোম্পানির শেয়ারও উচ্চ দামে বেচাকেনা হচ্ছে, যেগুলোর উৎপাদন বন্ধ।

সংবাদ সূত্রঃ বনিক বার্তা

শেয়ার করুন

x
English Version

দফায় দফায় লোকসান সত্ত্বেও গেম্বলিং আইটেমে বিনিয়োগকারীদের ঝোঁক

আপডেট: ১১:১৫:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ এপ্রিল ২০২১

বিজনেস জার্নাল ডেস্কঃ খেলাপি ঋণ, আর্থিক কেলেঙ্কারি ও সুশাসন নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোর আর্থিক ও ব্যবসায়িক সক্ষমতা অন্যান্য খাতের অনেক কোম্পানির চেয়ে ভালো। বিশেষ করে বীমা খাতের কোম্পানিগুলোর চেয়ে তো বটেই। তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোর অনেকেই সর্বশেষ সমাপ্ত হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য আকর্ষণীয় লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। যদিও এর প্রতিফলন নেই ব্যাংকের শেয়ারদরে। অন্যদিকে সাধারণ বীমা খাতের কোম্পানিগুলো ব্যাংকের চেয়ে কম লভ্যাংশ ঘোষণা করলেও বর্তমানে পুঁজিবাজারে এ খাতের শেয়ারদর চাঙ্গা। গত এক মাসের লেনদেনপ্রবণতা পর্যালোচনায় দেখা যায়, ব্যাংক খাতের লেনদেন কমার বিপরীতে সাধারণ বীমা খাতের লেনদেন বাড়ছে। বাজারের এ প্রবণতাকে বিনিয়োগকারীদের মৌলভিত্তি ছেড়ে গ্যাম্বলিং শেয়ারের দিকে ঝোঁকার সঙ্গে তুলনা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মোট লেনদেনের ৪ দশমিক ৭৮ শতাংশ ছিল ব্যাংক খাতের শেয়ারের। এক্সচেঞ্জটির বাজার মূলধনের ১৩ দশমিক ৫ শতাংশ ব্যাংক খাতের দখলে। এর আগের পাঁচ সপ্তাহের লেনদেন পর্যালোচনায় দেখা যায়, ১৫ এপ্রিল শেষে ব্যাংকের লেনদেন ছিল ৭ দশমিক ৫ শতাংশ এবং বাজার মূলধন ছিল ১৩ দশমিক ৮ শতাংশ। ৮ এপ্রিল শেষে পুঁজিবাজারে ব্যাংকের লেনদেন ছিল ১১ শতাংশ আর বাজার মূলধন ছিল ১৩ দশমিক ৯ শতাংশ। ১ এপ্রিল শেষে লেনদেনের ১২ শতাংশ এবং বাজার মূলধনের ১৪ শতাংশ ছিল ব্যাংক খাতের। গত ২৫ মার্চ শেষে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৩ দশমিক ৮ শতাংশ এবং বাজার মূলধনের ১৪ শতাংশ ছিল ব্যাংকের অবদান। আর ১৮ মার্চ শেষ হওয়া সপ্তাহে ব্যাংকের লেনদেন ছিল ৭ দশমিক ৯ শতাংশ এবং বাজার মূলধন ছিল ১৩ দশমিক ৫ শতাংশ।

অন্যদিকে সাধারণ বীমা খাতের লেনদেন পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল ডিএসইর লেনদেনের ২৬ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ ছিল সাধারণ বীমা কোম্পানিগুলোর। গতকাল বাজার মূলধনে এ খাতের কোম্পানিগুলোর অবদান ছিল ২ দশমিক ৫ শতাংশ। এর আগের পাঁচ সপ্তাহের লেনদেন পর্যালোচনায় দেখা যায়, ১৫ এপ্রিল শেষে পুঁজিবাজারের লেনদেনের ৩৭ দশমিক ৫ শতাংশ এবং বাজার মূলধনের ২ দশমিক ৪ শতাংশ ছিল সাধারণ বীমা খাতের দখলে। ৮ এপ্রিল শেষে লেনদেনের ২৩ দশমিক ৪ শতাংশ এবং বাজার মূলধনের ২ দশমিক ৩ শতাংশ ছিল এ খাতের শেয়ারের। ১ এপ্রিল শেষে ডিএসইর লেনদেনের ১৩ দশমিক ৯ শতাংশ এবং বাজার মূলধনের ২ দশমিক ১ শতাংশ ছিল সাধারণ বীমা খাতের। ২৫ মার্চ শেষে খাতটির অবদান ছিল লেনদেনের ৯ দশমিক ৩ শতাংশ এবং বাজার মূলধনের ২ শতাংশ। আর গত ১৮ মার্চ শেষ হওয়া সপ্তাহে সাধারণ বীমা খাতের লেনদেন ছিল ৩ দশমিক ৯ শতাংশ এবং বাজার মূলধন ছিল ১ দশমিক ৯ শতাংশ।

পর্যালোচনায় দেখা যায়, বাজার মূলধনে ব্যাংকের অবস্থানে খুব বেশি পরিবর্তন না হলেও গত এক মাসে পুঁজিবাজারে ব্যাংক খাতের লেনদেনের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। অন্যদিকে এ সময়ে সাধারণ বীমা খাতের লেনদেন ৩ দশমিক ৯ থেকে ২৬ দশমিক শূন্য ৭ এবং বাজার মূলধন ১ দশমিক ৯ থেকে ২ দশমিক ৫ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।

মৌলভিত্তির ব্যাংক খাতের তুলনায় দুর্বল ভিত্তির ও স্বল্প মূলধনি সাধারণ বীমা খাতের শেয়ারের লেনদেন ও শেয়ারদর অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাওয়ার বিষয়টিকে কারসাজি হিসেবে অভিহিত করেছেন বাজারসংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, আকর্ষণীয় লভ্যাংশ দিলেও ব্যাংক খাতের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ নেই। অথচ তুলনামূলক কম লভ্যাংশ দিলেও সবাই ছুটছে সাধারণ বীমার শেয়ারের পেছনে। কারসাজির মাধ্যমে এ খাতের কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর বাড়ানো হচ্ছে এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীরা সেই প্রলোভনের ফাঁদে পড়ছে। গত বছরের মতোই এবারো শেষ পর্যন্ত এসব গ্যাম্বলিং শেয়ারে বিনিয়োগ করে লোকসান গুনতে হবে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অনারারি অধ্যাপক ড. আবু আহমেদ বলেন, ব্যাংকগুলো আকর্ষণীয় হারে লভ্যাংশ দিলেও এ খাতের শেয়ারদরে এর প্রভাব নেই। উল্টো ব্যাংকের লভ্যাংশ ঘোষণার পরদিনই দাম কমে গেছে এমন উদাহরণও রয়েছে। অন্যদিকে মৌলভিত্তির হিসাবে ব্যাংকের চেয়ে অনেক পিছিয়ে থাকলেও সাধারণ বীমা খাতের কোম্পানিগুলোর শেয়ার নিয়েই বিনিয়োগকারীদের যত আগ্রহ। বর্তমানে বাজারে যে প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, তাতে এখানে মৌলভিত্তির কোনো বালাই নেই, সবাই জুয়ার পেছনে ছুটছে।

এরই মধ্যে তালিকাভুক্ত ব্যাংক ও সাধারণ বীমা খাতের বেশকিছু কোম্পানি ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২০ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এক্ষেত্রেও সাধারণ বীমার চেয়ে ব্যাংক এগিয়ে রয়েছে। অগ্রণী ইন্স্যুরেন্স ২০২০ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৫ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল ৫০ টাকা ২০ পয়সা। কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স সর্বশেষ সমাপ্ত হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৬ শতাংশ নগদ ও ৪ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। কোম্পানিটির শেয়ার গতকাল সর্বশেষ ৪৪ টাকা ৯০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে। ইস্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্স ২০২০ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৭ শতাংশ নগদ ও ৩ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। কোম্পানিটির শেয়ার গতকাল ৩২ টাকা ৬০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে। গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স বিনিয়োগকারীদের জন্য সর্বশেষ সমাপ্ত হিসাব বছরে ২৪ দশমিক ৫ শতাংশ নগদ ও ৭ দশমিক ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছে। বর্তমানে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৫৮ টাকা ৮০ পয়সা। নিটল ইন্স্যুরেন্স ২০২০ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ প্রদানের ঘোষণা দিয়েছে। গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল ৫৫ টাকা ৪০ পয়সা।

প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স সর্বশেষ সমাপ্ত হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ২০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশের ঘোষণা দিয়েছে। আর সর্বশেষ গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ার ১১১ টাকা ১০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে। প্রাইম ইন্স্যুরেন্স সর্বশেষ সমাপ্ত হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ প্রদানের ঘোষণা দিয়েছে। গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল ৪৩ টাকা ১০ পয়সা। প্রভাতী ইন্স্যুরেন্স ২০২০ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১৭ শতাংশ স্টক লভ্যাংশের ঘোষণা দিয়েছে। বর্তমানে কোম্পানিটির শেয়ারদর ১২৫ টাকা ৫০ পয়সা। রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স সর্বশেষ সমাপ্ত হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ প্রদানের ঘোষণা দিয়েছে। গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ার ৫৭ টাকা ৩০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে। ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্স ২০২০ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আর গতকাল সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল ৪৭ টাকা ৫০ পয়সা।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোর মধ্যে বাজার মূলধনের দিক দিয়ে শীর্ষে রয়েছে ব্র্যাক ব্যাংক। সর্বশেষ সমাপ্ত ২০২০ হিসাব বছরে ব্যাংকটি বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। ডিএসইতে সর্বশেষ গতকাল ব্যাংকটির শেয়ার ৪২ টাকায় লেনদেন হয়েছে। সিটি ব্যাংক সর্বশেষ সমাপ্ত হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য সাড়ে ১৭ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। বর্তমানে ব্যাংকটির শেয়ারদর ২৩ টাকা ৩০ পয়সা। ডাচ্-বাংলা ব্যাংক ২০২০ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১৫ শতাংশ নগদ ও ১৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। গতকাল ব্যাংকটির শেয়ার সর্বশেষ ৫৮ টাকায় লেনদেন হয়েছে। ইস্টার্ন ব্যাংক সর্বশেষ সমাপ্ত হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য সাড়ে ১৭ শতাংশ নগদ ও সাড়ে ১৭ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। ডিএসইতে গতকাল ব্যাংকটির শেয়ারদর ছিল ৩৯ টাকা ৫০ পয়সা। আইএফআইসি ব্যাংক বিনিয়োগকারীদের জন্য সর্বশেষ সমাপ্ত হিসাব বছরে ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আর সর্বশেষ গতকাল ব্যাংকটির শেয়ারদর ছিল ১০ টাকা ৩০ পয়সা।

যমুনা ব্যাংক ২০২০ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য সাড়ে ১৭ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। ডিএসইতে সর্বশেষ গতকাল ব্যাংকটি শেয়ার ১৬ টাকা ৯০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে। মার্কেন্টাইল ব্যাংক সর্বশেষ সমাপ্ত হিসাব বছরে ১০ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। ব্যাংকটির শেয়ার বর্তমানে ১১ টাকায় লেনদেন হচ্ছে। ওয়ান ব্যাংক ২০২০ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৬ শতাংশ নগদ ও সাড়ে ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। ডিএসইতে গতকাল ব্যাংকটির শেয়ারদর ছিল ১০ টাকা ৩০ পয়সা। প্রিমিয়ার ব্যাংক সর্বশেষ সমাপ্ত হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য সাড়ে ১২ শতাংশ নগদ ও সাড়ে ৭ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। গতকাল ডিএসইতে ব্যাংকটির শেয়ারদর ছিল ১০ টাকা ৮০ পয়সা। প্রাইম ব্যাংক বিনিয়োগকারীদের জন্য ২০২০ হিসাব বছরে ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। বর্তমানে ব্যাংকটির শেয়ারদর ১৭ টাকা ২০ পয়সা। পূবালী ব্যাংক সর্বশেষ সমাপ্ত হিসাব বছরে সাড়ে ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। সর্বশেষ গতকাল ডিএসইতে ব্যাংকটির শেয়ার ২৪ টাকায় লেনদেন হয়েছে। শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক ২০২০ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৭ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। গতকাল ব্যাংকটির শেয়ারদর ছিল ১৯ টাকা ৮০ পয়সা। উত্তরা ব্যাংক বিনিয়োগকারীদের জন্য সর্বশেষ সমাপ্ত হিসাব বছরে সাড়ে ১২ শতাংশ নগদ ও সাড়ে ১২ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। বর্তমানে ব্যাংকটির শেয়ারদর ২৫ টাকা ২০ পয়সা।

দেশের বেসরকারি খাতের ভালো ব্যাংকগুলোর একটি ব্যাংক এশিয়া। গতকাল পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এ ব্যাংকটির শেয়ারদর ছিল ১৬ টাকা ৩০ পয়সা। অথচ ব্যাংক এশিয়ার শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য ২৩ টাকার বেশি। প্রতি বছরই শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ দিয়ে আসছে ব্যাংকটি। ২০২০ হিসাব বছরের জন্যও ব্যাংক এশিয়া ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।

পুঁজিবাজারে ব্যাংকের শেয়ার অবমূল্যায়িত বলে মনে করেন ব্যাংক এশিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আরফান আলী। তিনি বলেন, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোর শেয়ার যে দরে হাতবদল হচ্ছে সেটি প্রত্যাশিত নয়। শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্যের চেয়ে শেয়ারদর কম হলে বোঝা যায়, শেয়ারটি অবমূল্যায়িত। পুঁজিবাজারে এমন কোম্পানির শেয়ারও উচ্চ দামে বেচাকেনা হচ্ছে, যেগুলোর উৎপাদন বন্ধ।

সংবাদ সূত্রঃ বনিক বার্তা