০৮:৩৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

দাউদকান্দিতে ইদের কেনাকাটায় শপিংমলে-ফুটপাতে উপচেপড়া ভিড়!

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৪:২০:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ মে ২০২১
  • / ৪১৪৩ বার দেখা হয়েছে

অসিম সরকার, দাউদকান্দি (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ কুমিল্লা জেলাধীন দাউদকান্দির উপজেলার গৌরীপুর বাজারের করোনা ভীতি উপেক্ষা করে ঈদের কেনাকাটায় মহাব্যস্ত ক্রেতারা। এক মার্কেট থেকে অন্য মার্কেটে ছুটছেন বিভিন্ন বয়সী মানুষ তাদের পছন্দের জিনিসপত্র কিনতে। প্রতিটি মার্কেটেই ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়। এক্ষেত্রে তাদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বা স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো তাড়না নেই। কিছু কিছু মার্কেটে পা ফেলার জায়গাও পাওয়া দুষ্কর।

৩ মে সোমবার শপিংমল ও মার্কেট সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে কিংবা দোকানের ভেতরে মনে হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। এমনকি অনেকের মুখে ছিল না মাস্ক। অনেকে শপিংমলগুলোতে ঘুরতে বেরিয়েছেন। দেখছেন নতুন কী কী কাপড়চোপড় কিংবা জিনিসপত্র এসেছে। এতে করেও লোকজনদের ভিড় বাড়ছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: বিজনেসজার্নালবিজনেসজার্নাল.বিডি

উপজেলার বাসিন্দা মিজান ভূঁইয়া বেরিয়েছিলেন সবজি কিনতে, কথা হয় তার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘পাশের দেশ ভারতে প্রতিদিনই করোনায় আক্রান্ত হয়ে বহু মানুষ মারা যাচ্ছেন। এসব দেখেও আমরা সচেতন হচ্ছি না। আমরা ঈদে নতুন কাপড় কিনতে শপিংমলে ছুটছি। খুবই দুঃখজনক।’

বিক্রেতারা বলছেন, আজ ভিড় বেশি। কিন্তু বেচা-বিক্রি অনেক কম। যে পরিমাণ জনসমাগম রয়েছে সবাই যদি একটি করে জিনিসও কিনতেন তাহলে আমাদের দোকানের জিনিসপত্র অনেক কমে যেত। কেনাকাটা হচ্ছে কম, সবাই জিনিসপত্র দেখছেন।

উল্লেখ্য, করোনা মহামারিতে প্রতিদিন বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। বাড়ছে সংক্রমণও। সরকারের কঠোর বিধিনিষেধ জারির পরও জনসাধারণের মধ্যে যেন কোনো ধরনের করোনা ভীতি নেই। এই সংকটকালেও নিশ্চিন্তে ঈদের কেনাকাটা করছেন তারা। সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দোকানপাট ও শপিংমল খোলা থাকছে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবাইকে বেচাকেনা করতে হবে বলে জানানো হয় নির্দেশনায়।

ঢাকা/এসএ

আরও পড়ুন:

শেয়ার করুন

x
English Version

দাউদকান্দিতে ইদের কেনাকাটায় শপিংমলে-ফুটপাতে উপচেপড়া ভিড়!

আপডেট: ০৪:২০:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ মে ২০২১

অসিম সরকার, দাউদকান্দি (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ কুমিল্লা জেলাধীন দাউদকান্দির উপজেলার গৌরীপুর বাজারের করোনা ভীতি উপেক্ষা করে ঈদের কেনাকাটায় মহাব্যস্ত ক্রেতারা। এক মার্কেট থেকে অন্য মার্কেটে ছুটছেন বিভিন্ন বয়সী মানুষ তাদের পছন্দের জিনিসপত্র কিনতে। প্রতিটি মার্কেটেই ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়। এক্ষেত্রে তাদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বা স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো তাড়না নেই। কিছু কিছু মার্কেটে পা ফেলার জায়গাও পাওয়া দুষ্কর।

৩ মে সোমবার শপিংমল ও মার্কেট সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে কিংবা দোকানের ভেতরে মনে হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। এমনকি অনেকের মুখে ছিল না মাস্ক। অনেকে শপিংমলগুলোতে ঘুরতে বেরিয়েছেন। দেখছেন নতুন কী কী কাপড়চোপড় কিংবা জিনিসপত্র এসেছে। এতে করেও লোকজনদের ভিড় বাড়ছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: বিজনেসজার্নালবিজনেসজার্নাল.বিডি

উপজেলার বাসিন্দা মিজান ভূঁইয়া বেরিয়েছিলেন সবজি কিনতে, কথা হয় তার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘পাশের দেশ ভারতে প্রতিদিনই করোনায় আক্রান্ত হয়ে বহু মানুষ মারা যাচ্ছেন। এসব দেখেও আমরা সচেতন হচ্ছি না। আমরা ঈদে নতুন কাপড় কিনতে শপিংমলে ছুটছি। খুবই দুঃখজনক।’

বিক্রেতারা বলছেন, আজ ভিড় বেশি। কিন্তু বেচা-বিক্রি অনেক কম। যে পরিমাণ জনসমাগম রয়েছে সবাই যদি একটি করে জিনিসও কিনতেন তাহলে আমাদের দোকানের জিনিসপত্র অনেক কমে যেত। কেনাকাটা হচ্ছে কম, সবাই জিনিসপত্র দেখছেন।

উল্লেখ্য, করোনা মহামারিতে প্রতিদিন বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। বাড়ছে সংক্রমণও। সরকারের কঠোর বিধিনিষেধ জারির পরও জনসাধারণের মধ্যে যেন কোনো ধরনের করোনা ভীতি নেই। এই সংকটকালেও নিশ্চিন্তে ঈদের কেনাকাটা করছেন তারা। সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দোকানপাট ও শপিংমল খোলা থাকছে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবাইকে বেচাকেনা করতে হবে বলে জানানো হয় নির্দেশনায়।

ঢাকা/এসএ

আরও পড়ুন: