০৬:১৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

কঠোর বিধিনিষেধ চলবে ১৬ মে পর্যন্ত

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৩:৩৪:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ মে ২০২১
  • / ৪২১৮ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: করোনা মহামারির বিস্তার ঠেকাতে চলমান বিধিনিষেধ আরেক দফা বাড়িয়ে ১৬ মে পর্যন্ত করা হয়েছে। গত ৫ এপ্রিল থেকে এ বিধিনিষেধ কয়েক দফায় ৫ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল।

সোমবার (৩ মে) সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ৬ মে থেকে আন্তঃজেলা গণপরিবহন চলবে। তবে চলবে না দূরপাল্লার বাস। লঞ্চ এবং ট্রেন চলাচলও বন্ধ থাকবে। অর্থাৎ ঢাকার বাস ঢাকায় আর গাজীপুরের বাস গাজীপুরে, এভাবেই চলাচল করতে হবে। অন্য জেলায় যেতে পারবে না। গণপরিবহনে অর্ধেক আসন খালি রাখতে হবে।

লঞ্চ এবং ট্রেন চলাচল বন্ধই থাকবে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এ সিদ্ধান্ত আগামী ১৬ মে পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। আজ থেকে মার্কেটে পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন অভিযান চালাবে। মাস্ক না পরলে, স্বাস্থ্যবিধি না মানা হলে মার্কেট বন্ধ করে দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, এবার ঈদে পোশাক শ্রমিকদের তিন দিনের বেশি ছুটি দেওয়া যাবে না।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: বিজনেসজার্নালবিজনেসজার্নাল.বিডি

সচিব বলেন, ‘গণপরিবহন মালিকরা আমাদের কথা দিয়েছেন, কোনভাবেই গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করা হবে না। লঙ্ঘন করা হলে বন্ধ করে দেওয়া হবে। সেই নির্দেশনাও দেওয়া আছে। সেটা আমরা দেখব।’

ঈদুল ফিতর ১৪ মে (শুক্রবার) হতে পারে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোনো বন্ধ দেওয়া যাবে না। ঈদের ছুটি তিনদিনের মধ্যে দুটি পড়েছে শুক্র ও শনিবার। শিল্পকারখানাও এ সময়ে বন্ধ দিতে পারবে না।’

সরকারি অফিস বন্ধ সেগুলোর বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত আছে কিনা- জানতে চাইলে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘যেগুলো যেভাবে আছে সেভাবেই থাকবে।’

করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় ৫ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত এবং পরে ২ দিন বিধিনিষেধ বাড়িয়ে দেওয়া হলেও তা খুব একটা কার্যকর হয়নি। ফলে ১৪ এপ্রিল থেকে শুরু হয় এক সপ্তাহের কঠোর বিধিনিষেধ। এটি বাড়িয়ে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়। যদিও শপিং মল খোলাসহ বেশকিছু বিষয়ে বিধিনিষেধের শর্ত শিথিল করে সরকার। সবশেষ ২৮ এপ্রিল বিধিনিষেধের সময় ৫ মে পর্যন্ত বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন:

শেয়ার করুন

x
English Version

কঠোর বিধিনিষেধ চলবে ১৬ মে পর্যন্ত

আপডেট: ০৩:৩৪:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ মে ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: করোনা মহামারির বিস্তার ঠেকাতে চলমান বিধিনিষেধ আরেক দফা বাড়িয়ে ১৬ মে পর্যন্ত করা হয়েছে। গত ৫ এপ্রিল থেকে এ বিধিনিষেধ কয়েক দফায় ৫ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল।

সোমবার (৩ মে) সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ৬ মে থেকে আন্তঃজেলা গণপরিবহন চলবে। তবে চলবে না দূরপাল্লার বাস। লঞ্চ এবং ট্রেন চলাচলও বন্ধ থাকবে। অর্থাৎ ঢাকার বাস ঢাকায় আর গাজীপুরের বাস গাজীপুরে, এভাবেই চলাচল করতে হবে। অন্য জেলায় যেতে পারবে না। গণপরিবহনে অর্ধেক আসন খালি রাখতে হবে।

লঞ্চ এবং ট্রেন চলাচল বন্ধই থাকবে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এ সিদ্ধান্ত আগামী ১৬ মে পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। আজ থেকে মার্কেটে পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন অভিযান চালাবে। মাস্ক না পরলে, স্বাস্থ্যবিধি না মানা হলে মার্কেট বন্ধ করে দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, এবার ঈদে পোশাক শ্রমিকদের তিন দিনের বেশি ছুটি দেওয়া যাবে না।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: বিজনেসজার্নালবিজনেসজার্নাল.বিডি

সচিব বলেন, ‘গণপরিবহন মালিকরা আমাদের কথা দিয়েছেন, কোনভাবেই গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করা হবে না। লঙ্ঘন করা হলে বন্ধ করে দেওয়া হবে। সেই নির্দেশনাও দেওয়া আছে। সেটা আমরা দেখব।’

ঈদুল ফিতর ১৪ মে (শুক্রবার) হতে পারে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোনো বন্ধ দেওয়া যাবে না। ঈদের ছুটি তিনদিনের মধ্যে দুটি পড়েছে শুক্র ও শনিবার। শিল্পকারখানাও এ সময়ে বন্ধ দিতে পারবে না।’

সরকারি অফিস বন্ধ সেগুলোর বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত আছে কিনা- জানতে চাইলে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘যেগুলো যেভাবে আছে সেভাবেই থাকবে।’

করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় ৫ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত এবং পরে ২ দিন বিধিনিষেধ বাড়িয়ে দেওয়া হলেও তা খুব একটা কার্যকর হয়নি। ফলে ১৪ এপ্রিল থেকে শুরু হয় এক সপ্তাহের কঠোর বিধিনিষেধ। এটি বাড়িয়ে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়। যদিও শপিং মল খোলাসহ বেশকিছু বিষয়ে বিধিনিষেধের শর্ত শিথিল করে সরকার। সবশেষ ২৮ এপ্রিল বিধিনিষেধের সময় ৫ মে পর্যন্ত বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন: