১২:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

শর্টটার্ম শেয়ার ট্রেডিংয়ে সফল হবার কৌশল: পর্ব-২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১০:৩৩:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ মে ২০২১
  • / ৪৪৩১ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল ডেস্কঃ আজকের বিষয়- টেকনিক্যাল এনালাইসিসের অতীত – বর্তমান: আমরা যদি শেয়ার মার্কেট এনালাইসিস করতে চাই তাহলে প্রয়োজন হবে ৩টি জিনিষের,

১) ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিস

২) টেকনিক্যাল এনালাইসিস

৩) সেন্টিমেন্টাল বা নিউজ এনালাইসিস।

একটি ছাড়া অন্যটি অচল। অনেককে দেখা যায় শুধু মাত্র একটি এনালাইসিস-এর উপর নির্ভর করে শেয়ার ব্যবসায় নেমে পড়েন এবং লাভ-লোকসান যাই হোক না কেন নিজের ভাগ্য বলে মেনে নেন।

আমাদের মনে রাখতে হবে, যে কোন শেয়ারে সফলভাবে লাভবান হতে হলে টেকনিক্যাল এনালাইসিস, ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিস, সেন্টিমেন্টাল বা নিউজ এনালাইসিসের দিকে সবসময় নজর রাখতে হবে। আজ থেকে আমরা টেকনিক্যাল এনালাইসিসের উপর জানা শুরু করব।

সহজ করে বলতে গেলে, একটি শেয়ারের অতীতের কিছু Price Movement-এর উপর ভিত্তি করে ভবিষ্যতে এর মূল্য কেমন হতে পারে, তা খুঁজে বের করার পদ্ধতিকেই বলে টেকনিক্যাল এনালাইসিস। সব মিলিয়ে বলা যায়, একটি কোম্পানির শেয়ার অতীতে কোন সময় কোথায় ছিল, বর্তমানে শেয়ারের গতি কোনদিকে, ঠিক কোন অবস্থায় গিয়ে শেয়ারটি ক্রয়-বিক্রয় করা নিরাপদ আর লাভজনক-এসব বিষয় চার্টের মাধ্যমে খুঁজে বের করাই হল টেকনিক্যাল এনালাইসিস।

টেকনিক্যাল এনালাইসিসের উৎপত্তিঃ

টেকনিক্যাল এনালাইসিসের মূলনীতিগুলো আসলে শত শত বছরের পুরোনো। ১৭শ শতাব্দীতে ডাচ্ শেয়ার মার্কেটে জোসেফ ডি লা ভেগা’ প্রথম কিছুটা টেকনিক্যাল এনালাইসিস শুরু করেন। তারপর, জাপানে ১৮শ শতকের প্রথম দিকে হোমা মুনিহিসা ক্যান্ডেলস্টিক টেকনিক’ (Candlestick Techniques) ব্যবহার করে টেকনিক্যাল এনালাইসিসের ধারনা দেন। যা বর্তমানে টেকনিক্যাল এনালাইসিসের অন্যতম জনপ্রিয় চার্টিং টুল হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তিনি এই এনালাইসিস ব্যবহার করে শেয়ার কেনাবেচায় প্রায় ১০০ বিলিয়ন ডলার (আজকের হিসাবে) মুনাফা করেন।

টেকনিক্যাল এনালাইসিসের বিস্তারঃ

১৯২০ এবং ১৯৩০ সালে রিচার্ড ডব্লিউ স্ক্যাবাকার বেশ কিছু বই প্রকাশ করেন, যেমন চার্লস ডউ (Charles Dow)-এর
স্টক মার্কেট থিওরি’ এবং উইলিয়াম পিটার হ্যামিলটনের প্র্যাকটিস এন্ড টেকনিক্যাল এনালাইসিস’। তবে এই বিষয়ে ১৯৪৮ সালে রবার্ট ডি এডয়ার্ডস এবং জন মিগি’র লেখা টেকনিক্যাল এনালাইসিস অফ স্টক ট্রেন্ডস’ একটি উল্লেখযোগ্য বই। এটা বিশেষ করে ট্রেন্ড এনালাইসিস এবং চার্ট প্যাটার্ন এর উপর নির্ভর করে লেখা করা হয়।

অতীতে যেহেতু কম্পিউটার বিজ্ঞানের এত প্রসার ছিলনা। তাই হাতে আঁকা চার্ট এনালাইসিসের উপরেই নির্ভর করত সব কিছু। চার্লস ডউ সর্বপ্রথম পয়েন্ট এবং চার্ট এনালাইসিস শুরু করেন।
ডউ থিউরি’ বলতে আসলে চার্লস ডউ-এর সমস্ত লেখাগুলোর একটা সংকলনকে বোঝায়। যা ১৯ শতকের প্রথম দিকে তিনি লেখা শুরু করেন। টেকনিক্যাল এনালাইসিস নিয়ে কাজ করেছেন এমন আরও যারা পথিকৃৎ আছেন, তাঁদের মধ্যে উল্লখযোগ্য হলেন রালফ নেলসন ইলিওট, উইলিয়াম ডেলবার্ট গান, রিচার্ড ইকফ।

আধুনিক টেকনিক্যাল এনালাইসিসঃ

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কম্পিউটারের উপর ভিত্তি করে অনেক টেকনিক্যাল এনালাইসিসের সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়। এগুলো দিয়ে টেকনিক্যাল এনালাইসিস আরো সমৃদ্ধ ও জনপ্রিয় হয়েছে এবং আগের তুলনায় অনেক নিখুঁতভাবে করা যায়।

তবে মনে রাখতে হবে, আবহাওয়া অধিদপ্তরের প্রকাশিত পূর্বাভাস যেমন সবসময় সঠিক হয়না। ঠিক তেমনি টেকনিক্যাল এনালাইসিস দিয়ে আপনি একটা শেয়ারের ভবিষ্যৎ মূল্য কেমন হবে, তা সব সময় ১০০% অনুমান করে নিতে পারবেন না।-চলবে….

ঢাকা/এইচকে

আরও পড়ুন-

শর্টটার্ম শেয়ার ট্রেডিংয়ে সফল হবার কৌশল: পর্ব-১

শেয়ার করুন

x
English Version

শর্টটার্ম শেয়ার ট্রেডিংয়ে সফল হবার কৌশল: পর্ব-২

আপডেট: ১০:৩৩:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ মে ২০২১

বিজনেস জার্নাল ডেস্কঃ আজকের বিষয়- টেকনিক্যাল এনালাইসিসের অতীত – বর্তমান: আমরা যদি শেয়ার মার্কেট এনালাইসিস করতে চাই তাহলে প্রয়োজন হবে ৩টি জিনিষের,

১) ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিস

২) টেকনিক্যাল এনালাইসিস

৩) সেন্টিমেন্টাল বা নিউজ এনালাইসিস।

একটি ছাড়া অন্যটি অচল। অনেককে দেখা যায় শুধু মাত্র একটি এনালাইসিস-এর উপর নির্ভর করে শেয়ার ব্যবসায় নেমে পড়েন এবং লাভ-লোকসান যাই হোক না কেন নিজের ভাগ্য বলে মেনে নেন।

আমাদের মনে রাখতে হবে, যে কোন শেয়ারে সফলভাবে লাভবান হতে হলে টেকনিক্যাল এনালাইসিস, ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিস, সেন্টিমেন্টাল বা নিউজ এনালাইসিসের দিকে সবসময় নজর রাখতে হবে। আজ থেকে আমরা টেকনিক্যাল এনালাইসিসের উপর জানা শুরু করব।

সহজ করে বলতে গেলে, একটি শেয়ারের অতীতের কিছু Price Movement-এর উপর ভিত্তি করে ভবিষ্যতে এর মূল্য কেমন হতে পারে, তা খুঁজে বের করার পদ্ধতিকেই বলে টেকনিক্যাল এনালাইসিস। সব মিলিয়ে বলা যায়, একটি কোম্পানির শেয়ার অতীতে কোন সময় কোথায় ছিল, বর্তমানে শেয়ারের গতি কোনদিকে, ঠিক কোন অবস্থায় গিয়ে শেয়ারটি ক্রয়-বিক্রয় করা নিরাপদ আর লাভজনক-এসব বিষয় চার্টের মাধ্যমে খুঁজে বের করাই হল টেকনিক্যাল এনালাইসিস।

টেকনিক্যাল এনালাইসিসের উৎপত্তিঃ

টেকনিক্যাল এনালাইসিসের মূলনীতিগুলো আসলে শত শত বছরের পুরোনো। ১৭শ শতাব্দীতে ডাচ্ শেয়ার মার্কেটে জোসেফ ডি লা ভেগা’ প্রথম কিছুটা টেকনিক্যাল এনালাইসিস শুরু করেন। তারপর, জাপানে ১৮শ শতকের প্রথম দিকে হোমা মুনিহিসা ক্যান্ডেলস্টিক টেকনিক’ (Candlestick Techniques) ব্যবহার করে টেকনিক্যাল এনালাইসিসের ধারনা দেন। যা বর্তমানে টেকনিক্যাল এনালাইসিসের অন্যতম জনপ্রিয় চার্টিং টুল হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তিনি এই এনালাইসিস ব্যবহার করে শেয়ার কেনাবেচায় প্রায় ১০০ বিলিয়ন ডলার (আজকের হিসাবে) মুনাফা করেন।

টেকনিক্যাল এনালাইসিসের বিস্তারঃ

১৯২০ এবং ১৯৩০ সালে রিচার্ড ডব্লিউ স্ক্যাবাকার বেশ কিছু বই প্রকাশ করেন, যেমন চার্লস ডউ (Charles Dow)-এর
স্টক মার্কেট থিওরি’ এবং উইলিয়াম পিটার হ্যামিলটনের প্র্যাকটিস এন্ড টেকনিক্যাল এনালাইসিস’। তবে এই বিষয়ে ১৯৪৮ সালে রবার্ট ডি এডয়ার্ডস এবং জন মিগি’র লেখা টেকনিক্যাল এনালাইসিস অফ স্টক ট্রেন্ডস’ একটি উল্লেখযোগ্য বই। এটা বিশেষ করে ট্রেন্ড এনালাইসিস এবং চার্ট প্যাটার্ন এর উপর নির্ভর করে লেখা করা হয়।

অতীতে যেহেতু কম্পিউটার বিজ্ঞানের এত প্রসার ছিলনা। তাই হাতে আঁকা চার্ট এনালাইসিসের উপরেই নির্ভর করত সব কিছু। চার্লস ডউ সর্বপ্রথম পয়েন্ট এবং চার্ট এনালাইসিস শুরু করেন।
ডউ থিউরি’ বলতে আসলে চার্লস ডউ-এর সমস্ত লেখাগুলোর একটা সংকলনকে বোঝায়। যা ১৯ শতকের প্রথম দিকে তিনি লেখা শুরু করেন। টেকনিক্যাল এনালাইসিস নিয়ে কাজ করেছেন এমন আরও যারা পথিকৃৎ আছেন, তাঁদের মধ্যে উল্লখযোগ্য হলেন রালফ নেলসন ইলিওট, উইলিয়াম ডেলবার্ট গান, রিচার্ড ইকফ।

আধুনিক টেকনিক্যাল এনালাইসিসঃ

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কম্পিউটারের উপর ভিত্তি করে অনেক টেকনিক্যাল এনালাইসিসের সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়। এগুলো দিয়ে টেকনিক্যাল এনালাইসিস আরো সমৃদ্ধ ও জনপ্রিয় হয়েছে এবং আগের তুলনায় অনেক নিখুঁতভাবে করা যায়।

তবে মনে রাখতে হবে, আবহাওয়া অধিদপ্তরের প্রকাশিত পূর্বাভাস যেমন সবসময় সঠিক হয়না। ঠিক তেমনি টেকনিক্যাল এনালাইসিস দিয়ে আপনি একটা শেয়ারের ভবিষ্যৎ মূল্য কেমন হবে, তা সব সময় ১০০% অনুমান করে নিতে পারবেন না।-চলবে….

ঢাকা/এইচকে

আরও পড়ুন-

শর্টটার্ম শেয়ার ট্রেডিংয়ে সফল হবার কৌশল: পর্ব-১